আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত ভিজিট করেন তারা হয়তো জেনেছেন আমি বেশ কিছুদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম। যে কয়েকদিন ছিলাম ভালই কেটেছিল সময়গুলো। সকাল ও বিকাল এমনকি মাঝে মাঝে দুপুর বেলাতেও গ্রামের এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়েছি।
গ্রামের স্নিগ্ধ কোমল পরিবেশে মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে অন্যরকম এক অনুভূতি হয়েছিল আমার মনে। গ্রামীন পরিবেশের নিজস্ব কিছু ভাষা ও সৌন্দর্য্য আছে। যেমনটা আমরা শহরের ব্যস্ততার মাঝে কখনো খুঁজে পাই না। পরিবেশের চারিদিকে দূষণ ছড়িয়ে আছে। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার কোন অবকাশ নেই।
কিন্তু গ্রামীণ পরিবেশে ভোরবেলা বাইরে বের হলে অপরূপ কিছু সৌন্দর্য্য চোখে পড়ে। আশ্চর্য্য হয়ে তাকিয়ে রইলাম বেশ কিছুক্ষণ। রীতিমত ঠান্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা ধানের চারা রোপন করার জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগা কাজ করে যখন বিশুদ্ধ পরিবেশে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি।
যাইহোক একদিন পড়ন্ত বিকেলে বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। এদিক-সেদিক হাঁটতেই বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল। আমার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 | 
| ফটো | @mayedul | 
| লোকেশন | বাকরেরহাট,উলিপুর | 
বাড়ির পিছন দিক দিয়ে বের হয়েছিলাম মেঠো পথ ধরে ধানক্ষেতের মাঝখানে হাঁটবো। বের হয়ে দেখি আমার ছেলে মেয়ে পুকুর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করছে। আমি ওদের দেখে তাড়াতাড়ি কাছে চলে এলাম। এরা পুকুর-পানি এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। কখন কি অঘটন ঘটবে কে জানে তাই বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 | 
| ফটো | @mayedul | 
| লোকেশন | বাকরেরহাট,উলিপুর | 
এখানে হাঁস ও মাছের যৌথ ও চাষ হয়। বর্তমানে শুকনা মৌসুম হওয়াতে খামারে তেমন হাঁস নেই। যখন বর্ষা শুরুর দিকে হয় তখন খামারে প্রচুর পরিমাণে হাঁস থাকে। এখন খামারের সম্পূর্ণ ঘরটি ফাঁকাই পড়ে আছে।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 | 
| ফটো | @mayedul | 
| লোকেশন | বাকরেরহাট,উলিপুর | 
পাশাপাশি এই দুইটি পুকুর মাঝখান দিয়ে সুন্দর রাস্তা চলে গিয়েছে। পুকুরের চারিদিকে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ। এখানে আম, জাম, কাঁঠাল, চালতা, জলপাই ও বিভিন্ন প্রকার কাঠের গাছ আছে।
এই গাছ গুলো থেকে যেমন বিভিন্ন প্রকার ফল পাওয়া যায় তেমনি কাঠের গাছগুলো থেকে প্রয়োজনে কাঠ সংগ্রহ করা যায়। তাছাড়াও প্রচন্ড গরমের সময় পুকুর পাড়ে এই গাছগুলো অনেক ছায়া প্রদান করে।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 | 
| ফটো | @mayedul | 
| লোকেশন | বাকরেরহাট,উলিপুর | 
পড়ন্ত বিকেলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ যে অপরূপ রূপে সজ্জিত হয় সেটা সবসময় আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে সূর্য্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পরে তখন সূর্য্য'র লাল আভা আমাদের পরিবেশকে যেন রাঙিয়ে দেয়।
এই ফটোগ্রাফিতে সূর্য্য ও মেঘের লুকোচুরি যখন পুকুরে পানিতে প্রতিফলিত হচ্ছে তখন দেখে আমি থমকে দাঁড়াই। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ তারপর মুঠোফোন করব বের করে কয়েকটি ক্লিক ক্লিক।
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 | 
| ফটো | @mayedul | 
| লোকেশন | বাকরেরহাট,উলিপুর | 
ধীরে ধীরে সূর্য্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু যাবার সময় আমাদের পরিবেশকে রাঙিয়ে দিয়ে গেল। পশ্চিম আকাশে সূর্যের লাল আভা দেখে মনে হচ্ছে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছে পুরো পশ্চিম আকাশ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। কিন্তু আমি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলাম আকাশের রং দেখে যে আযান শুনেও দাঁড়িয়ে আছি। তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূর্য্য অস্ত গেল, আমিও তাড়াহুড়ো করে নামাজে চলে বললাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।