৭৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে যেই মেলা।। ১০ মার্চ ২০২৩ খ্রি.
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
প্রিয় ব্লগারবাসী,
আসসালামু আলাইকুম, স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকলকে জানাই আমার ছালাম। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। জুময়া মোবারক দিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে ৭৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এবং এই মেলা কিভাবে এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তার করেছে তার বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
বাঙ্গালির জাতির ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে বাংলাদেশের চেরাডাঙ্গীর মেলা, ২০২৩ খ্রি. সালে এই মেলার ৭৬তম উদ্ভোদন করা হয়। আজ তাই বাংলাদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহি চেরাডাঙ্গী মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে হারিজ হলাম আপনাদের সামনে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
(গল্পে মজা আছে প্রথম দোকানে)
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী চেরাডাঙ্গী মেলা ৭৬তম উদ্বোধন হয় ৪-ফেব্রুয়ারি/২৩ চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই অনুষ্ঠিত হয় চেরাডাঙ্গাী মেলা। মেলা আয়োজক কমিটি এবং বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি এই অঞ্চলের মানুষদের আগে অভাব অনটন ছিল। পূর্ব পাকিস্তান পার্লামেন্টারিয়ান ফজলে হক এবং স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ মিলে উক্ত একালায় শিক্ষাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পর্যালোচনা পূর্বক মেলা শুরু করে স্থানীয় বসবাসরত বাসিন্দারা। এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার আলো প্রসারের জন্য চেরাডাঙ্গীর মেলা আয়োজন করে লাভের টাকা দিয়ে অর্থ দ্বারা চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় তৈরী করা হয়।
মেলায় ঢুকে একটু সামনে যেতেই চোখে পড়লো হরেক মালের দোকান। দোকানদার ভাইয়ের সাথে কথা বলে বিভিন্ন জিনিসের দাম জিগেস করে বললাম। ভাই আপনার দোকানের একটি ছবি নিব। ভাই উত্তরে বললো- ভাই খারান একটু পোজ দিয়া লই...! বুঝেনা ঐতিহ্যবাহি মেলাত আইছি। ভেচকা দেখাইলে হোবো। আমি মৃদু হেসে বললাম ঠিক আছে। উনি নড়েচড়ে স্টাইল করে বসলো আমি সুন্দর আঙুল দিয়ে আড়াই কপি ছবি তুলে নিলাম। হরেক মাল আমাদের গ্রাম বাংলাসহ মেলার ঐতিহ্য বহন করে। সধারনত হরেক মাল দোকানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়।
উপরে উল্লেখিত শিক্ষা বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়েছে আমারা এ পর্যন্ত জানি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর আরো ভালো শিক্ষা অর্জনের জন্য কলেজের প্রয়োজন তাই না? কলেজ শাখা পর্যন্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করতেই দিনাজপুর শহরের পার্শ্বে কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহিত হয়। বলেন তো আপনারা কোন কলেজ হতে পারে?? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। দিনাজপুর কে.বি.এম কলেজ।
ছোট বেলায় দাদি বলতো খাওনের আগে দেওয়ানির পরে।
সেই কথার উপর ভিত্তি করে বসে পড়লাম খেতে ততক্ষণে আপনারা যারা আমার বাকি পোস্টে কমেন্ট করেন নাই এই ফাকে কমেন্টি করে আসুন। মেলায় ভুরির ভুনা দেখে ঝটপট খেয়ে নিলাম। অনেক সুন্দর রান্না ছিল। খেয়ে মেলা ঘুরতে লাগলাম।
মেলায় মিষ্টান্নের দোকান চোখে পড়লো। অনেক মিষ্টান্ন দোকান খাগড়াই, মুড়কি, কদমা, নিমকি, লাড্ডু, গুড়ের বাতাসা, নকুল দানা, তিলের খাজা, নারিকেলের লাড্ডু, বাদাম পাপড়ি, ছানার সন্দেশ, শনপাপড়ি, আরও বিভিন্ন ধরনের খাবার। দুপুরের খাবারের পর একটু মিষ্টি খেতে মন চাইছে। তাই খাগড়াই একটু খেলাম ভালই লাগছে থেকে। আবারো সামনে মেলা ঘুরতে রওনা হলাম।
কামারের হাতে তৈরী রান্নার কাজে ব্যবহৃত জিনিস গুলো অনেক সুন্দর। তারা কৃষিকাজের হাতিয়ার তৈরী করে থাকেন।
ছোটদের খেলনা দোকান থেকে আমার ছেলের জন্য একটি কেড়কেড়ি গাড়ি কিনলাম। আমিও ছোট বেলায় ছোট ছোট খেলনা কিনতে জিদ ধরতাম। তাই ছোটদের মনের কথাও বুঝতে হয়।
কাঠের তৈরি শোপিজ গুলো বেশ সুন্দর। শোপিজ এর পাশাপাশি রান্নায় ব্যবহার করা কিছু জিনিসও রয়েছে। পোলাও রান্নার কাঠের হাতা, কাঠের ডাল ঘুটনিসহ বিভিন্ন রকমের জিনিস।
এবার চোখে পড়লো কড়াই মাটি, সিলভার, ইস্টিল আর হোলা জাতীয় জিনিস পত্র এগুলো নান্নায় ব্যবহার হয়। কড়াই, পাতিল, হামাদানি, চাছপেন, ছন্না, পাতিলের ঢাকনাসহ আরো অনেক মালামাল।
ছোট বাচ্ছাদের প্লাস্টিকের খেলনা, পতুল এর দোকানে অনেক খেলনা এবং কসমেটিকস আইটেম অনেক। আমি আমার বউকে খুশি করার জন্য দাম কসাকসি করে লিবইস্টিক নিলাম। বাড়ি গেলে ফায়ার হয়ে থাকবে বুঝতে পারছি তাই পূর্ব প্রস্তুতি আরকি।
আচার একটি লোভনীয় খাবার বিশেষ করে মেয়েরা আচারকে পছন্দের ৫০% আচারকে ভালোবাসে। সুদুর নীলফামারী জেলা থেকে এই আচার দোকান এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় আসছে। তার দোকানে অনেক প্রকার আচার আছে। আমি একটু আম সত্য আচার কিনে খেলাম। ভালই লাগলো।
মেলার বিশেষ আর্কষন ডেন্জার কার ও মটর সাইকেল ড্রাইভিং। দেখতে ভালই লাগলো। এখানে ছোট একটু ভুল অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই খেলা দেখলে আপনারা কখনও ড্রাইভারকে ডিসটার্ব করবে না। তাদের মনোযোগ নষ্ট হলেই দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সব শেষে দি নিউ রজনীগন্ধা যাদু বিনোদন সেন্টারে ঢুকলাম। ঢুকেই হয়ে বিপত্তি জাদুকর সাহেব এসেই বলে দিলেন টিকেট কেটে ঢুকেছেন অসুবিধা নাই তবে আমাকে খুশি করতে হবে না হলে ছেলেদের একটা গায়েব হয়ে যাবে। (ছেলেরা অবশ্যই বুঝেছেন) যেই কথা সেই কাজ। একটি আছে বাকিটা উধাও ভয়ের ঠেলায় সবাই মিলে জাদুকর সাহেবকে খুশি করা হলো। তারপর সব সমস্যা সমাধান। যাদু সেন্টার থেকে বের হয়ে আর কোথাও দেরি করি নাই। বলা তো যায় না আবার যদি অন্য কিছু হারায় যায়।
(আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন)
পরিশেষে
সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি ঐতিহ্যবাহী চেরাডাঙ্গী মেলা ভ্রমন গল্প এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভাল থাকবেন এবং পরবর্তী পোস্টে আবার দেখা হবে। ইনশাআল্লাহ।
লোকেশনঃ
চেরাডাঙ্গী মেলা, দিনাজপুর।
আপনার মূল্য সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
চেরাডাঙ্গির মেলাতে আমি গিয়েছিলাম বেশ বড় একটি মেলা।ছোটবেলা থেকেই এই মেলা সম্পর্কে অনেক শুনে আসতেছি তবে কখনো যাওয়া হয়নি। এবার গিয়েছিলাম খুব ভালোই লেগেছিল মেলাতে।বেশ বড় মেলাটি এই মেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্ট সম্পর্কে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ।
লেখা বড় করার কারনে পোস্ট তেমন ভাল দেখাচ্ছে না। লেখাগুলো বোল্ড করবেন না তাহলে পোস্ট খুব একটা ভাল দেখায় না। আর কমেন্ট বানান ভুল করবেন না। পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। একটিভি বজায় রেখে নিয়মিত কাজ করবেন। শুভ কামনা রইলো ধন্যবাদ।
জি অবশ্যই আপনারা এভাবে গাইডলাইন দিলে পরবর্তীতে আরো ভালো করবো ইনশাআল্লাহ। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চেরাডাঙ্গির মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি তবে বাবা দাদাদের মুখে শুনেছি নিজেও যাওয়ার চেষ্টা করব এবার। ছবি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। মেলা নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। মেলার খাবার গুলা বিশেষ করে অনেক সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে একটি মেলার উউপস্থাপন করেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য আমাকে আরো অনুপ্রেরণিত। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
চেরাডাঙ্গীর মেলা আমি এর আগের বার গিয়েছিলাম। এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ ঘুরতে আসে। তবে এবার আমার যাওয়া হয়নি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
যে এবার বেশ জাঁকজমক পূর্ণ পরিবেশ ছিল অনেক ভালো লেগেছে আমাকে। আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
এটি অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা।মেলায় যেতে কার না ভালো লাগে। কোথাও যদি শুনি মেলা হচ্ছে,সব কাজ ফেলে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং ঘুরে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। উপস্থাপনা ছিল যথেষ্ট ভালো।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনি মেলা ভালোবাসেন জানতাম না। আমার পোস্টে তা প্রকাশ করেছেন। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
চেরাডাঙ্গী মেলা হলো অনেক আগের একটা পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলা।এই মেলার অনেক নাম শুনছি কিন্তু জীবনে একবারো যায় নাই। এই মেলায় অনেক কিছু পাওয়া যায়, আবার অনেক ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। আর সব থেকে মেলা হলো ছোট বাচ্চাদের ছোট বাচ্চারা সব থেকে বেশি খুশি হয়, আমি ছোট বেলায় অনেক মেলায় গেছিলাম, মেলায় ঘুড়া ঘুড়ি করতে খুব ভালো লাগে। আপনার তোলা ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাই, এই মেলায় ছোট বাচ্চাদের অনেক ধরনের খেলনা পাওয়া যায়। আপনি খুব সুন্দর লেখছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী চেরাডাঙ্গী মেলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।এই চেরাডাঙ্গী মেলা আমাদের দিনাজপুরের জন্য ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা ।বেশ কয়েকবার এই মেলায় যাওয়া হয়েছে। যদিও গত দুই বছর এই মেলার কোন আয়োজন করা হয়নি। তবে দুই বছর পর এবার এই মেলাটির আয়োজন করা হয় এবং বেশ জাক্রমিকভাবে মেলাটি আয়োজিত হয়েছিল। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মেলা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর ভাবে বলছি আমাদের মাঝে পোস্টটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ।
চেরাডাঙ্গির মেলা অনেক বড় ও জাঁকজমক একটি মেলা।আমি কয়েক বছর আগে এই মেলায় গিয়েছিলাম।মেলায় অনেক সুন্দর কিছু দোকান দেখা যাচ্ছে। আপনি ছবি গুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ