জেনারেল রাইটিং-কুড়িয়ে পাওয়া দুইটি বিড়াল ছানার গল্প|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি কুড়িয়ে পাওয়া দুইটি বিড়াল ছানার গল্প নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
কুড়িয়ে পাওয়া দুইটি বিড়াল ছানার গল্প:
Source
কমবেশি সকলেই পশু, পাখি ভালোবাসে।আমি ছোট বেলা থেকেই পশু পাখি খুবই পছন্দ করি।কেনো জানি না আমি কোনো পশু পাখি দেখলেই তার মায়ায় পড়ে যাই।আজ আমি বেশ কিছু আগের একটা ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।বেশ কিছু দিন আগে যখন আমি আমার বাবার বাসায় ছিলাম।তখন একদিন খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল।বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে।আমার তো খুবই ভালো লাগে বৃষ্টিতে ভিজতে।
সেইদিন ও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল কিন্তু সেইদিন আর আমার ভেজা হয় নি।কারণ আমার তখন জ্বর ছিল।তাই মা কিছুতেই ভিজতে দেয় নি।তাই জানালায় বসে নীরবে বৃষ্টির দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।এমন সময় বিড়ালের আওয়াজ শুনতে পারছিলাম। কিছু বুঝতেছিলাম না কোথায় থেকে আওয়াজ আসছিল।চারিদিকে উকি দিয়ে খুঁজলাম।কিন্তু কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।এরপর বিকেল বেলায় ছোট বোন ও মেয়ে সহ জানালায় বসে ছিলাম।
তখন আবারও একই আওয়াজ।তখন আমি ও আমার বোন বাসা থেকে বের হয়ে বাহির থেকে জানালার কাছে যাই।গিয়ে দেখি দুইটি ছোট বিড়াল ছানা একদম জড়ো সোরো হয়ে বসে রয়েছে।বৃষ্টিতে ভিজে একাকার অবস্থা।আসে পাশে তাদের মা কে অনেক খুঁজেছি।কিন্তু কোথাও ছিল না।কেও হয়ত বা রেখে গিয়েছে।মানুষের এমন কাজ দেখলে খুবই খারাপ লাগে।কিভাবে মায়ের কাছ থেকে বাচ্চা গুলোকে আলাদা করেছে।এরপর বিড়াল ছানা গুলোকে বাসায় নিয়ে গিয়ে ভালো করে গা মুছিয়ে খাবার খাইয়ে গরম কাপড়ে রেখে দেই।কি যে আনন্দ হচ্ছিল আমার।
বেশ ছোট ছিল যখন আমি তাদের পেয়েছিলাম।এখন বেশ বড় হয়ে গিয়েছে।যদিও তাদের সাথে আনতে পারি নি।কিন্তু খুবই খারাপ লেগেছিল বিড়াল ছাড়া দুটোকে ছেড়ে আসতে।তবে আমার প্রতিদিনই বিড়াল ছানাদের সাথে কথা হয়।আমি এইখান থেকে ডাকলে তারা ফোনের ওই পাশ থেকে সারা দেয়।খুবই মিস করি আমার বিড়াল ছানা দুইটিকে।এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
বিড়াল ছানা দুটো কে আশ্রয় দিয়ে আপনারা অবশ্যই মহত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। এসব সামাজিক প্রাণীদেরকে দেখভাল করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
আশা করি বিড়াল দুটোই এখনও ভাল আছে।
হ্যাঁ বিড়াল গুলো খুবই ভালো রয়েছে। আরো অনেকটা বড় হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কুড়িয়ে পাওয়া দুইটি বিড়াল ছানার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে বিড়াল পুষতে আমার কাছে ভালো লাগে। বিড়াল দেখলে বেশ ভালো লাগে। বিড়াল দুটির দেখাশুনা করছেন বেশ ভালো হলো। বিড়াল ছানা দুটি এখন নিরাপদে রয়েছে নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনার বিড়াল পুষতে ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া বিড়াল ছানা গুলো এখন নিরাপদে রয়েছে ও সুস্থ সবল রয়েছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বিড়ালছানা লালন পালন করতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। তবে আপনি ভাল করেছেন বৃষ্টির মধ্যে বিড়ালছানা দুটোকে বাসায় নিয়ে এসে। হয়তোবা এই বিড়াল ছানা দুটো কেউ এখানে রেখে গিয়েছে। তবে বিড়াল যে লালন পালন করে ওই লোককে বিড়াল দেখলে আওয়াজ দেই। তবে এটি শুনে বেশ ভালো লাগলো বিড়াল ছানা দুটো মোবাইলে আপনি ডাকার পর আওয়াজ দিয়ে ছাড়া দেই। তবে পশু পাখি কেউ যদি তাদেরকে লালন পালন করে তাদের সাথে বেয়াদবি করে না। তবে কুড়িয়ে পাওয়া বিড়াল ছানা দুটোর গল্প পড়ে বেশ ভালই লাগলো।
বিড়াল থানা লালন পালন করতে আমারও অনেক ভালো লাগে৷ আমিও চেষ্টা করি বিড়াল দেখলেই তাদেরকে আদর করার৷ তবে আপনি আজকে এই বৃষ্টির মধ্যে বিড়াল দুটিকে নিজের কাছে রেখেছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ আশা করি সেগুলো এখন আপনার কাছে অনেক ভালোই রয়েছে এবং নিরাপদে রয়েছে৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷