গল্প-একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ২৫)||
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।কিন্তু সময়ের অভাবে হয়তো সেটা হয়ে উঠে না।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ২৫) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ২৫):

Source
ছাবিনা এইসব সারপ্রাইজ দেখে ভীষণ অবাক হয়ে যায়।আর অয়ন কে বলে ফেলে আমার ব্যর্থতায় আপনার বুঝি আনন্দ হচ্ছে। এজন্য আপনি এসবের আয়োজন করেছেন? কিন্তু ছাবিনা তো জানতো না আসলে তার জন্য এত কিছু করেছে। এরপর সকলে করে আওয়াজ করে হেসে।আর পারি স্প্রে দেয় সারা ঘরে।
এরপর ছাবিনা বলে কি এমন অপরাধ করলাম যে সবাই এভাবে হাসছে। আমাকে নিয়ে উপহাস করছে সবাই তাই না। এরপর অনি বলে না ভাবি আসলে আপনি কি করেছেন তা আপনি নিজেও জানেন না।এরপর ছাবিনা অবাক হয়ে যায়।সে তো তার স্বপ্নকে পূরণ করতে পারিনি।তাহলে তাই সবাই মজা করছে।এমন ব্যর্থতা দেখে।
এরপর অনি ছাবিনা দিকে তাকিয়ে বলে ভাবি আপনি মেডিকেল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।এই কথা শোনার পর ছাবিনা পড়ে যেতে ধরে।আর সে সময় অয়ন ধরে ফেলে।আসলে ছাবিনা কখনোই এমন বড় উপহার আশা করেনি।সে তো ভেঙ্গে পড়েছিল একদম।সারাদিন এত কষ্টের পরেও যে সুন্দর একটি মুহূর্ত তার জীবনে অপেক্ষা করছিল সেটা ভেবে সে ভীষণ খুশি।
এরপর অয়ন ছাবিনা কে বিছানায় বসায়।আর অনিকে বলে ছাবিনার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসতে।কারণ সে সারাদিন কিছুই খায়নি।তাই তার শরীরটা খারাপ করেছে। এরপর অনি ও চলে যায় নিচে খাবার নিয়ে আসতে। ছাবিনার সাফল্য উপলক্ষে বাড়িতে অনেক মজার মজার খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এসব কিছুর ছাবিনা জানতো না।
কারণ ছাবিনা সারাদিন ছাদে পড়ে ছিল।এরপর যখন অনি খাবার নিয়ে আসে।এরপর অয়ন ছাবিনা কে খাওয়ায় দেয়।এরপর ছাবিনা ও এক লোকমা অয়নকে খাওয়ায় দেয়।সেই সাথে উপস্থিত সবাইকে একটু একটু করে অয়ন খাওয়ায় দেয়।এরপর বাড়ি বড়রা এসে সেখানে হাজির হয়।অয়নের মা তো ছাবিনার জন্য একটি গিফট নিয়ে আসে। অয়নের মা ছাবিনার জন্য একটি সোনার চেইন নিয়ে আসেন।এরপর ছাবিনা কে পরিয়ে দেন।এরপর ছাবিনা পায়ে হাত দিয়ে তার শ্বাশুড়ি মাকে সালাম করে।এরপর হঠাৎ করে বেজে উঠে বাড়ির কলিং বেল।দরজার ওপারে কে ছিল সেটা জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
ডেইলি টাস্ক:

https://x.com/Maria182143171/status/1978419310172225942?t=dmRxxS8SPHhI2Rmi6ldAKA&s=19
https://x.com/Maria182143171/status/1978499516937466300?t=3wgfKHLG7amVdAlX3eZkTQ&s=19