প্রকৃতির লীলা ভূমি মিঠামইন, কিশোরগঞ্জের ভিডিওগ্রাফী || Videography of Mithamain, Kishore Ganj, a beautiful natural landscape||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভরাত্রি প্রাণপ্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার❤️। সবাই বেশ ভালো আছেন নিশ্চয়। আজও আপনাদের সবার সুস্থ্যতা কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ❤️। নিজের মনের কোথাগুলো, নিজের ভালো লাগা আর মন্দ লাগা, নিজের ভিতর লুকানো কষ্টগুলো কে ভুলে যেতে প্রতিনিয়ত চলে আসি আপনাদের মাঝে। চলে আসি মনের মাঝে জমে থাকা হাজারো কালো মেঘগুলো সরিয়ে আপনাদের সাথে নিজের সুখ কে ভাগাভাগি করে নিতে। কতটুকু কি উপহার আপনাদের কে দিতে পারি জানিনা। তবে সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য নতুন কিছু উপহার দিতে। কিছু ভিন্ন ধরনের ক্রেয়েটিভিটি দিয়ে নিজের যোগ্যতাকে তুলে ধরে কিছু করতে পারি আর নাই বা পারি। আপনাদের মত কিছু প্রিয় বন্ধু তো পেয়েছি😍। আর তাই তো আজও আবার চলে আসলাম আরও একটি পোস্ট নিয়ে। আজ চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য একটি ভিডিও গ্রাফি পোস্ট করার। না ভিডিওগ্রাফি আমার পেশা নয়। তবে নেশা বলা যায়। আর কেমন হলো আমার আজকের ভিডিওগ্রাফী তা জানার অপেক্ষায় থাকবো। তাহলে চলুন দেখে আসি আমার আজকের ভিডিও গ্রাফী।
অপরূপ রূপ বৈচিত্র নিয়ে সৃষ্টি এ দেশের প্রকৃতি। প্রকৃতির রূপের তুলনা যেন সে নিজেই। আর বর্ষাকাল আসলে যেন সেই রূপ আরও অনেকগুন বেড়ে যায়। নদীমাতৃক এ দেশের নদনদীগুলো ভরে উঠে বর্ষার পানিতে। আর তখনই যেন প্রকৃতির রূপ আরও বেড়ে যেতে থাকে। বদলাতে থাকে মানুষের মনের রংও। আর তাইতো মানুষগুলো কিছুটা শান্তির জন্য এ সময়ে ছুটে যায় প্রকৃতির মাঝে। নিজেকে শীতল করে নেয় বর্ষার পানিতে। ছুটে যায় এপাশ হতে ওপাশে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে। কখনও নৌকায়, তো কখনও নদীর পাড়ে। এসময়ে কিন্তু নদীতে নৌকায় চড়তেও এক অন্য রকমের ভালোবাসা আর ভালো লাগা কাজ করে। এ সময়ে প্রকৃতির রং এর সাথে সাথে কিন্তু আকাশের রংও বদলাতে শুরু করে। আকাশে ডানা মেলে ঘুরে বেড়ায় মেঘের ভেলা গুলো। আর আকাশ আর নদী গুলো তখন মিশে যায় কোন দূর দিগন্তে।
মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওড় এলাকা। বর্ষার মৌসুমে এই হাওড়ের সৌন্দর্য এত গুন বেড়ে যায় যে যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে হাজারও মানুষ আসে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দুপাশে নদী আর মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে রাস্তা। আর দুপাশের এই নদীর দৃশ্য দেখে যেন মনে হয় এ এক অন্য জগৎ-এ চলে এসেছি। যেখানে একবার গেলে আর ফিরে আসতে মনে চায় না। মনে চায় না প্রকৃতির এমন অপরূপ রূপ বৈচিত্র কে ফেলে দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে আনতে। যতই দেখি এই প্রকৃতিকে আরও যেন দেখার ইচেছ জাগে।
আর এখানকার বিকেলের রূপ বৈচিত্রের কথা নাই বা বললাম। কি যে অপরূপ রূপ তখনকার । দূর দুরান্তে যেন আকাশ নদীর সাথে মিশে গেছে। বিকেলের সূর্য ঢলে পড়েছে নদীর বুকে। দূর থেকে দেখলে যেন মনে হয় নদীর বুকেই সূর্য জেগে উঠেছে। আর এমন সুন্দর দৃশ্য গুলো কি আমি ক্যামেরা বন্দী না করে পারি? তাই তো আপনাদের জন্য কিছু অংশ ভিডিও গ্রাফী করে নিয়ে আসলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবারও আসবো আপনাদের মাঝে। সেই অবদি সকলে ভালো ও সুস্থ্য থাকেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য এর আশায় রইলাম।
পোস্টের ধরন | ভিডিওগ্রাফী |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ভিডিওগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ |
আপু আপনি খুব সুন্দর ভিডিওগ্ৰাফী শেয়ার করেছেন। আমি কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওড়ের কথা শুনেছি কিন্তু মিঠামইন হাওড় এর কথা জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে আজ খুব সুন্দর একটি হাওড় এর ভিডিওগ্ৰাফী দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভিডিওগ্ৰাফী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু অপরূপ রূপ বৈচিত্র নিয়ে সৃষ্টি এ দেশের প্রকৃতি আসলে অনেক সুন্দর। আমাদের বাংলাদেশ টা আসলে অনেক সুন্দর। কিশোরগঞ্জে অনেক বার যাওয়ার প্লান করা হয়েছে কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও যাওয়া হয়নি। খুব সুন্দর একটা জায়গা দেখেছি এবং শুনেছি। দুই পাশে পানি মাঝখান দিয়ে রাস্তা অপরূপ এক সৌন্দর্য। আপনার ভিডিও মাধ্যমে আবারও আজকে দেখতে পেলাম সৌন্দর্য কিশোরগঞ্জ।
মিঠামইন হাওড় যে এত সুন্দর তা এর আগে জানা ছিল না।এবার আপনার মাধ্যমে তা জানতে পারলাম।আসলে আমাদের দেশ অপরুপ সৌন্দর্যের দেশ।আর আপনার সুন্দর ভিডিওগ্ৰাফীর মাধ্যমে তা চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,মিঠামইন হাওড় এর এত সুন্দর ভিডিওগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।