স্পোর্টস পোস্ট- লিওনেল মেসি বিহীন ম্যাচে টিম আর্জেন্টিনার সহজ জয় ||sports post by@maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ রাত্রি ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। মাঝে মাঝে মনটা বেশ ছটফট করে। কি যেন খেতে চায়। এক রকমের খাবার আর খেতে ভালো লাগে না। মনে হয় একটু ভিন্ন ধরনের কিছু রান্না করলে কেমন হয়? কারন আমাদের জীবন টাই এরকম। প্রতি নিয়ত নতুন নতুন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করতে চায়। এক ধরনের কিছু কেউই পছন্দ করে না। আর এজন্যই আমিও বেশ কিছুদিন যাবৎ ভাবছি, আমার পোস্টগুলোর মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা আনার কথা। তাই তো যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আজ নতুন ভাবে নতুন করে একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি টাইটেল দেখে এতক্ষনে আপনারা বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট করতে যাচিছ। তাই না?
খেলাধুলা ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায়। আমার কিন্তু সেই ছেলেবেলা হতেই খেলাধুলা বিষণ প্রিয়। হউক সেটা ফুটবল বা ক্রিকেট। আমি খেলাধুলা দেখতে বেশ পছন্দ করি। মাঝে মাঝে অবসর পেলে খেলা দেখতে বসে পড়ি। আর সেটা যদি হয় প্রিয় কোন দলের খেলা তাহলে তো কথাই নেই। এইতো কদিন আগে হয়ে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার সাথে বলিভিয়ার খেলা। দেখার সময় কই। সকালে তো আবার অফিস মামা আছে। কিন্তু কি করবো পাশে যদি কেউ এ ভাবে বসে বসে খেলা দেখে তাহলে কি আর ঘুম হয়? আমাকেও দেখতে হলো সেদিন আর্জেন্টিনা বনাম বলিভিয়ার মধ্যকার খেলাটি। আর ভাবলাম, দেখলাম যখন তাহলে আপনাদের সাথেও একটু শেয়ার করা যাক।
বলিভিয়ার সাথে ৩-০ গোলে ডোমেনডিং ম্যাচে সহজ জয়পেল আর্জেন্টিনা। বলিভিয়া বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের শুরুর দিকে মাঠের উচ্চতা নিয়ে যে ভয় করা হচিছল সেটা জয় করতে পেরেছে আর্জেন্টিনা দল। খেলার শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে শারীরিক ভাবে নিজেদের কে মানিয়ে নিয়েছেন টিম আর্জেন্টিনার প্লেয়াররা। তবে শুরুর দিকে বেশ মারমুখী ছিল বলিভিয়া দলের প্লেয়াররা। প্রচুর ফাউল করেছিল খেলার প্রথমাংশে। এমনকি রোমেরো কে মারাত্নকভাবে ফাউল করার কারনে লাল লাল কার্ড দেখতে হয় বলিভিয়ার প্লেয়ার কে। বেশ কয়েকটি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল সেদিন বলিভিয়াকে। প্রায় ২৪টির মত ফাউল করেন সেদিন বলিভিয়া।
তবে মেসি ছাড়া খেলায় শুরুর দিকে আর্জেন্টিনা দলকে একটু ভোগান্তিই পোহাতে হয়েছে। দূর থেকে বেশ কয়েকবার শট করলেও সেখান থেকে সফলতা পায়নি আর্জেন্টিনা দল। রাদ্রিগো ডি-পলের করা প্রথম শটটিও টার্গেটে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা দল। এদিকে এনজো ফার্নান্দেজ এর করা একটি শটও মিস হয়ে যায়। তারপর শুরুটা হয় এনজো ফার্নান্দেজের হাত ধরেই। ডান পাশ থেকে দেওয়া ডি-মারিয়ার শট কে কাজে লাগিয়ে সুন্দর একটি গোল করে এনজো ফার্নান্দেজ। এরপর বলিভিয়া দলের ফাউল করার কারনে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। আর ডি-মারিয়ার করা ফ্রি- কিক কে কাজে লাগিয়ে হেড করে দল কে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেয় নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো। আর এর মধ্য দিয়েই আর্জেন্টিনা দল এগিয়ে যায় ২-০ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচে মেসি না খেলার শুন্যতা ডি-মারিয়া বুঝতে দেননি তার তার শীর্ষ এবং ভক্তদের কে। তাই ম্যাচের ক্যাপটেন্সির পাশাপাশি আক্রমন ভাগের দায়িত্বটাও ডি-মারিয়া নিজের ঘাড়ে তুলে নেন। এরপর ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে শেষ দশ মিনিটে। আর এবারের গোলটিও আসে ডি-মারিয়ার দেওয়া বল থেকেই। ডি-মারিয়া ডান দিকে থেকে একটি লং শট দেয় জুলিয়ান আলভারেজ কে। কিন্তু জুলিয়ান আলভারেজ বলটি বেশিক্ষন ধরে রাখতে না পারায় দ্রুত বাড়িয়ে দেয় নিকো-গঞ্জালেস কে। নিকো- গঞ্জালেস কিন্তু বলটি আর মিস করেননি। সাথে সাথে গতিশীল শটে জড়িয়ে দেন গোলকিপারের জালে। এর মধ্য দিয়েই আর্জেন্টিনা দল লিড নিয়ে নেয় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। এখন ম্যাচের জয় টা মাত্র সময়ের ব্যাপার।
ডি-মারিয়া ম্যাচে কোন গোল না পেলেও ম্যাচের প্রতিটি গোলে তার অবদান ছিল। প্রতিটি গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তিনি। ক্যাপটেন্সি আর আক্রমনাত্বক খেলা উপহার দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন টিম আর্জেন্টিনা কে। তবে ম্যাচে আরও বেশি গোল করার সুযোগ ছিল টিম আর্জেন্টিনার। তবে সেদিন আর্জেন্টিনা দলের প্রতি খেলোয়াড়ের খেলা ছিল চোখে পড়ার মত। তবে আলভারেজের কথা না বললেই না। বেশ কয়েকটি ভালো শট খেলেও কোন গোলের দেখা পেলেন না বেচারা।
লিওনেল মেসিকে এই ম্যাচে না খেলানোর অন্যতম কারন হলো তাকে বিশ্রাম দেওয়া। গত এক মাসে অনেক গুলো ম্যাচ খেলেছে মেসি। সামনে আরও কিছু ম্যাচ অপেক্ষা করছে মেসির জন্য। তবে মেসি ম্যাচ না খেললেও গ্যালারিতে থেকে তার সতীর্থদের কে উৎসাহ দিতে কিন্তু একদম ভুল করেননি। আর মেসি ছাড়া দলের এমন একটি জয় অবশ্যই দলের জন্য একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। আগামীতে আর্জেন্টিনা দল আরও ভালো খেলা তার ভক্তদের উপহার দিবে এটাই সবার আশা।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন ।
পোস্টের ধরন | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | vivo-y22s |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্কিন শট | youtube, conmibol channel, conmibol channel |
খেলাটির আমি প্রথম অংশ দেখেছি। দ্বিতীয় অংশ দেখার সুযোগ হয়নি। আসলে আর্জেন্টিনা আমার খুব ফেভারিট দল।আর্জেন্টিনার সহজ জয় জয় পেয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলটি ধরে যাওয়ার জন্য। পরবর্তীতে সোর্স এড করা হয়েছে।
প্রথমে আমিও যখন জানতে পারলাম লিওনেল মেসি খেলবে না আবার বলিভিয়ার নিজের মাঠে খেলা তখন একটু মনের মধ্যে খারাপ লাগা কাজ করছিল যে ফলাফল কী খারাপ আসবে। কিন্তু মেসিকে ছাড়াও আর্জেন্টিনা দল খুবই ভালো হবে ফুটবল খেলেছে। এবং খুবই সুন্দর একটা সহজ জয় পেয়েছে।
জি ভাইয়া মেসিকে ছাড়াও আর্জেন্টিনা দল বেশ ভালো খেলেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মতো আমারও ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা ভীষণ পছন্দ। ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার জন্য প্রায় সারাদিনই মাঠে থাকতাম। আমার ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা এখনো মনে আছে। যদিও তখন খুব ছোট ছিলাম। তবে সবার সাথে বসে রাত জেগে ফাইনাল ম্যাচ দেখেছিলাম। ব্রাজিল ৩-০ গোলে ফ্রান্সের সাথে হারার পর অনেক কেঁদেছিলাম। যাইহোক দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। ডি-মারিয়া খুব ভালো মানের একজন ফুটবলার। মেসি না খেললেও দারুণ ভাবে জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই কিন্তু ডি মারিয়া খুব ভালো মানের একজন প্লেয়ার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খেলাটি বেশ আগ্রহ নিয়ে রাত দুইটার দিকে দেখতে ছিলাম মেসের সবাই মিলে। আসলে মেসি বিহীন আর্জেন্টিনার জয় দেখতে বেশ ভালই লেগেছিল। ডিমারিয়া আর্জেন্টিনার ক্যাপ্টেন এর দায়িত্ব পালন করেছিল সত্যিই এই ব্যাপারটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। হাফ টাইম এর আগেই বিপক্ষ দলের একজন প্লেয়ার লাল কার্ড খেয়ে মাঠ থেকে বসে যায় এই কারণে জয়লাভ করতে আরো বেশি সহজ হয়েছিল আর্জেন্টিনার। অবশেষে 3-0 গোলে জয়লাভ করেছিল আর্জেন্টিনা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি খেলা শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে সম্পূর্ণ খেলাটিই কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।