রেসিপি পোস্ট-মাংসের স্বাদ কে হারমানানো ডাল ডিমের সুস্বাদু রেসিপি || Prepare tasty recipe by @maksudakwasar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল প্রাণেরপ্রিয় ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। ব্যস্ত জীবন। চাইলেও অনেক সময় মনের মত করে রান্না করে খাওয়া হয়ে উঠে না। কারন ব্যস্ততা যেন সময় কে শেষ করে দেয় নিমষেই। আজকাল তো দিন আর রাতের পার্থক্যই বুঝতে বেশ কষ্ট হয়। আর ভালো করে রান্না করবো তো দূরের কথা। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি অনেক টাকার মালিক হতাম তাহলে রান্নার জন্য একজন কে রেখে দিতাম। কিন্তু আবার ভাবী আরে নিজের হাতের রান্নার মত স্বাদ কি আর কিছুতে আছে।
এইতো এই সপ্তাহে ছুটির দিনে আর কোথাও যাওয়া হয় নাই। সারাদিন ঘরে কাটিয়েছি। তবে ছুটির দিনের ব্যস্ততা কিন্তু বেড়ে যায় অন্য দিনের তুলনায় অনেকগুন বেশী। সেই দিন তো আরও সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু সকাল থেকেই মনে হচ্ছিল যে একটু ভিন্ন ধরনের কিছু তৈরি করি। তাই যেই ভাবা সেই কাজ। ভাবতে ভাবতে খুজেঁ পেলাম একটি সুস্বাদু রেসিপি। আর সুস্বাদু হবেই না কেন। ডিম যে আমার বেশ ফেভারিট একটি খাদ্য। তাই ডিম আর ঘরে থাকা ডাল দিয়ে করে নিলা মাংসের স্বাদ কে হারমানানো মজাদার ডিম ডাল রেসিপি। আশা করি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে আজকের রেসিপিটি।
★ মসুর ডাল
★মুরগীর ডিম
★তেল
★কাঁচা মরিচ
★পেঁয়াজ
★লবন
★দারচিনি
★এলাচ
★তেজপাতা
★ আদা বাটা
★রসুন বাটা
★হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★জিরা গুড়া
★ ধনেপাতা
প্রথমে মসুর ডাল গুলো কে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এবং পানি ঝড়িয়ে আলাদা একটি পাত্রে নিতে হবে।
এবার ডিমগুলো কে ভালো করে সেদ্ধ করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল গরম করে নিতে হবে।
এবার চুলার পাত্রের সেই তেলের মধ্যে সামান্য হলুদ মরিচ দিয়ে সেদ্ধ করা ডিম গুলো ভেজে নিতে হবে এবং ডিম গুলো আলাদা একটি বাটিতে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর চুলার পাত্রের বাকী তেল গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে তা ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এবার লাল লাল করে ভেজে নেওয়া সেই পেঁয়াজগুলোর মধ্যে একে একে তেজপাতা, দারচিনি এবং এলাচ দিয়ে আরও ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এবার ভেজে নেওয়া সেই পেঁয়াজের মধ্যে একে একে আদা রসুন বাটা এবং হলুদ মরিচ গুড়া দিয়ে আরও ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।যতক্ষন না মসলার উপর তেল ভেসে উঠে।
এবার কষিয়ে নেওয়া সেই মসলার মধ্যে ধুয়ে রাখা ডাল গুলো আর পরিমান মত লবন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার মিশিয়ে নেওয়া সেই ডালগুলো ভালো করে নেড়ে দিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তবে এর মধ্যে মাঝে মাঝেেএকটু করে নেড়ে দিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষন পর ঢাকনা খুললে দেখা যাবে যে, ডালের পানি শুকিয়ে ডাল গুলো সেদ্ধ হয়ে গেছে। তখন এর মধ্যে একে একে কাচাঁ মরিচ এবং ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।
এবার মিক্সড করা সেই ডালের মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
কিছু সময় পর ডালের পানি শুকিয়ে আসলে তাতে জিরা ফাঁকি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।
এর কিছুক্ষন পর ডালের পানি শুকিয়ে আসলে তাতে কুচি করে নেওয়া ধনে পাতা দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।
এরপর ডালের পানি শুকিয়ে আসলে সেগুলো একটি বাটিতে নামিয়ে নিতে হবে।
এখন নামিয়ে নেওয়া সেই ডাল রান্নার উপর আরও কিছু ধনেপাতা কুচি করে ছড়িয়ে দিয়ে ডাল আর ডিমের এই লোভনীয় রেসিপি পরিবেশন করতে হবে।
জানিনা বিশ্বাস করবেন কিনা, বেশ দারুন স্বাদের ছিল এই রেসিপিটি। গরম গরম পরিবেশন করায় এর স্বাদ যেন আরও অনেক গুন বেড়ে গিয়েছিল। আর পরিবারের সবাই কিন্তু এমন মুখোরোচক খাবার গুলোই বেশী খেতে পছন্দ করেন। একবার বাসায় করে দেখেন না। আশা করি ভালো লাগবে।
পোস্টের ধরন | মাংসের স্বাদ কে হারমানানো ডাল ডিমের সুস্বাদু রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | খিঁলগাও, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ আর নয়। আবার নতুন করে নতুন কোন স্বাদের খাবারের রেসিপি নিয়ে চলে আসবো আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সকলেই ভালো এবং সুস্থ্য থাকেন। আর রেসিপিটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন।
অনেক টাকার মালিক হলেও কিন্তু নিজের রান্না নিজেকেই করে খেতে হয় আপু। কারণ নিজের রান্না খাওয়ার টেস্ট আলাদা। সত্যি আপু আপনার রান্না কিন্তু বেশ ভালো। ডিম এবং ডাল দিয়ে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। ডিম আমার ভীষণ প্রিয়। মাছ মাংস খেতে যতটা না পছন্দ করি ডিম খেতে তার চেয়ে বেশি পছন্দ করি আপু।
আপু খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমার কিন্তু আপু নিজের হাতে রান্না করে খেতেই ভীষণ ভালো লাগে।আপনি জব করেন তাই ক্লান্ত হয়ে যান।যাই হোক আপনি ডিম আর ডাল দিয়ে রেসিপি করেছেন।আমি ডিম ভুনা করি। তবে ডাল দিয়ে আসলে করা হয়নি।রেসিপিটি আমার কাছে নতুন।খেতে খুব মজা হবে দেখেই বুঝতে পারছি। ধনিয়া পাতা কুচি এই রেসিপির স্বাদ বহুগুন বাড়িয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু একবার বাড়িতে তৈরি করে খাওয়ার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজেই পাবেন না। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। বেশ কিছুদিন আগে আমিও এরকম রেসিপি তৈরি করেছিলাম। খেতে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপিটা দেখেও লোভনীয় লাগছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু চিমটি। সত্যি বলছি আপু রেসিপিটি অনেক সাধের হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার সকাল সকাল মনে হয়েছিলো যে, ভিন্ন স্বাদের রেসিপি তৈরি করার তাই রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ডাল আর ডিম দিয়ে যে এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় আপনার রেসিপিটা না দেখলে হয়তো জানতাম না। খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটির রন্ধন পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কি করবো ভাই বলেন ? সারাটা সপ্তাহ দৌড়ঝাপ করে এই একটা দিনই বন্ধ পাই। আমারও তো মনে চায় ভালো-মন্দ খাওয়ার? ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনাদের রেসিপি দেখে কি বলবো খুবই লোভ হচ্ছে। তবে আজকে সন্ধ্যার রান্না করার আগে দেখলে এটি আজকেই খাওয়া যেত। আসলে এভাবে ডাল এবং ডিম রান্না খাবার দে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এটা দে আমি খাবার খেতে অনেক স্বাদ উপভোগ করি। ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা মাংসের স্বাদ কে হার মানায়। আপনার রেসিপির কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে। রেসিপিটা দেখে অনেক টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে নিজের রান্না যেরকম ভালো লাগে খেতে, অন্যের রান্না খেতে খুব একটা তৃপ্তি লাগে না। আসলে এভাবে ডাল এবং ডিম রান্না করলে, তা মুরগির মাংসকে হার মানাতে অবশ্যই বাধ্য হবে। অনেক সুন্দর করে আপনি এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন, যা দেখে আমার তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বুঝতে পারছি অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। একা একা খেয়ে ফেলেছেন আমাদেরকে একটু বললেন না।
চলে আসেন বোনের বাসায় রান্না করে খাওয়াবো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মাঝেমধ্যে ভিন্ন রকম রেসিপি খেতে খুব মজাই লাগে। আজকে আপনি মসুরের ডাল দিয়ে ডিমের রেসিপি করেছেন। ডিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে মসুর ডাল দিয়ে এভাবে ডিমের রেসিপি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি ছুটির দিনে খুব চমৎকার ছবি বানিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কি আর করার ব্যস্তময় জীবন । তাই ছুটির দিনেই বানাতে হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু এইভাবে ডিম দিয়ে ডাল দিয়ে রান্না করলে মাংসের স্বাদ কেউ হার মানায়। রেসিপিটি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।