জেনারেল পোস্ট- 😂মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই😂 || people called people who are responsible for the world||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
❤️শুভ বিকেল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে❤️। দিনে দিনে বদলে যাচেছ আমাদের চারদিকের পরিবেশ। বদলে যাচেছ মানুষ। আর সেই সাথে বদলে যাচেছ মানুষের ভালোবাসার ধরনও । কিন্তু তবুও মানুষ কে প্রতিনিয়ত বাচার লড়াই করে যেতে হচেছ। কারন লড়াই ছাড়া বর্তমান সময়ে বেচেঁ থাকাটাই বেশ মুশকিল। বেচেঁ থাকতে দরকার বিশুদ্ধ অক্সিজেন। আর দিনের পর দিন এখন দূষিত হয়ে যাচেছ পৃথিবীর বিশুদ্ধ অক্সিজেন। তাহলে তো বুঝাই যাচেছ যে বেচেঁ থাকাটাই এখন এক ধরনের যুদ্ধ।
❤️সকলের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ কামনায় আজ আবার শুরু করলাম নতুন আরও একটি ব্লগ।❤️ এক সময়ে মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা ছিল অবিরাম। ছিল মায়া মমতা আর স্নেহ। ছিল গোলা ভরা দান, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু। তাই আগের সময়ের মানুষের মনও ছিল বিশাল বড়। বিপদে আপদে পাশে পাওয়া যেত একে অপরকে। কিন্তু এখন কেমন যেন মানুষ পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়ে গেছে সময়। প্রিয় ভালোবাসার কমিউনিটি আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে। আশা করি আজকের ব্লগটিও আপনাদের ভালো লাগবে।
এ দুনিয়া এখন তো আর সে দুনিয়া নাই, মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই- সত্যি গানটির কথাগুলো অনেক সুন্দর। এই কথাগুলোর মধেই লুকিয়ে আছে অনেক সুন্দর কিছু কথা আর বার্তা। সত্যি কিন্তু এখন আর আগের দুনিয়া নাই। নাই আগের ভালোবাসা আর মায়া মমতা। এখন কিন্তু পৃথিবীতে মানুষের কমতি নেই। কিন্তু তাতে কি এখনকার মানুষগুলোর মধ্যে আর আগের মানুষের মত ভালোবাসা মায়া মমতা নেই। নেই কোন শ্রদ্ধাবোধ। এখন কার মানুষ যেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। অন্যের কথা ভাবার কোন সময় তাদের নেই। খোঁজ করলে দেখা যাবে যে এখনকার মানুষ গুলোর মধ্যে কিন্তু উপকার করার প্রবনতাও নেই।
এখন তো ভাই বদলে গেছে দিন। কেউ নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কাউকে সময় দিতেই চায় না। আজকাল তো নিজের কষ্টের কথা বলার মত লোকই পাওয়া যায় না। কারন কেউ তো এখন আর কষ্টের কথা শুনতে চায় না। তাই তাদের মূল্যবান সময়টুকুও নষ্ট করতে চায় না। এখন মানুষ শুধু লাভ খোজেঁ। যেখানে লাভ নেই সেখানে কেউ নেই। যেখান স্বার্থ নেই সেখানে মানুষ নেই। মানুষের যেন সময়ের বড্ড অভাব। আজকাল তো অসুস্থ্য হলে প্রতিবেশীও খোজেঁ পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে আজকাল মানু্ষের সময় কে কিনতে হয়।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে হঠাৎ পথে চলতে গেলে বা এলাকায় কোন দূঘর্টনা ঘটে তাহলে মানুষ শুধু দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে তামাশা দেখে। এই ধরেন,কোথাও আগুন লাগলো বা রাস্তায় কোন একটি মানুষ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তখন অন্য মানুষেরা ভিড় জমিয়ে তামাশা দেখে, কেউ বা ব্যস্ত থাকে ফেসবুক লাইভ করতে, কেউ বা ব্যস্ত থাকে সেলফি তুলতে। আর কেউ বা ব্যস্ত থাকে তামাসা দেখতে। কিন্তু আগুন নিভানো বা অসহায় মানুষটিকে সহায়তা করার চিন্তা আর কারো মাথায় আসে না। কেউ আর নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যেতেও চায় না। তাহলে ভাবুন তো আমরা কোন পৃথিবীতে বসবাস করছি। আর আছে কি এখন আর সে দুনিয়া?
আবার আজকাল মানুষ গুলোর মধ্যে কেমন যেন হিংসা কাজ করে। কারো উন্নতি আর কেউ সহ্য করতে পারে না। যদি কেউ বোঝে যায় তার পাশের মানুষটির উন্নতি হচেছ দিনে দিনে। তাহলে তো আর কোন কথা নেই। সে ব্যক্তিকে টেনে নামাতে যত ধরনের ডিজিটাল মই আছে সব ব্যবহার করে ফেলবে। আরে ভাই পৃথিবীতে যার যার যোগ্যতায় সে তার উন্নতি করছে, কেন তার বাড়া ভাতে ছাই দিতে হবে? তার মত করে তাকে থাকতে দিলেই তো হয়। তার মেধা, ক্রেয়েটিভিটি আর যোগ্যতায় সে তার জীবন কে গুছাতে ব্যস্ত। তুমিও যদি পারো তাহলে তোমার জীবন টা গুছিয়ে নাও তোমার মেধা দিয়ে।
নিজে ভালো থাকাটাই এখনকার মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে গেছে। মুখে কথার বুলি সবাই ফলায়। কিন্তু সমাজের হত দরিদ্র মানুষগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, মানুষ কত অসহায়। তাদের কে সাহায্য করার মত প্রকৃত মানুষের আজ বড়ই অভাব। অভাব এখন মানুষিকতার। যদিও সমাজের হত দরিদ্ররা কিছুটা সাহায্য পায়, তাও আবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার জন্য। এখানেও কিন্তু নিজেদের স্বার্থ লুকায়িত রয়েছে। ভালোবাসার বা মায়া মমতার কোন ছিটে ফুটাও এর মধ্যে নেই।
এখনকার মানুষের মধ্যে কমে গেছে উপকার করার মানুষিকতা। এখকার মানুষগুলো সবকিছুতে অর্থের বিনিময় খোজেঁ। হাজার হারিকেন জ্বালিয়েও কিন্তু এখন উপকারি মানুষ খোঁজে পাওয়া যায় না। একবার বিপদে পড়লে বোঝা যায় যে চারদিকে কেমন শূণ্যতায় ভরে যায়। কেমন একা একা লাগে তখন নিজেকে। স্বার্থবাদী ভালোবাসার মানুষগুলো তখন নিজের সম্বল নিয়ে পালিয়ে যায় সীমানা ছেড়ে। অথচ আগের সময়ে মানুষের বিপদে নিজের জীবন দিয়ে ঝাপিয়ে পড়তো মানুষ।
মানষের মধ্যে এখন বিশ্বাস উঠে গেছে। এখন যেন মানুষ কে বিশ্বাস করাটা কষ্টের হয়ে গেছে। কেউ আর কাউকেই বিশ্বাস করতে চায় না। আর বিশ্বাস করবেই বা কি করে ?দিনের পর দিন যে বিশ্বাসের বাধঁন ভেঙ্গে দিচেছ মানুষগুলো। যাকেই বিশ্বাস করা হয়, সেই অকাতরে নিজের স্বার্থের জন্য ভঙ্গ করে ফেলে সেই বিশ্বসের ঘাটি। এখন কিন্তু অর্থ বলেন, আর ভালোবাসাই বলেন সব জায়গায় অবিশ্বাসের ঘর বেশী মজবুত। কাউকেই যেন বিশ্বাস করা যায় না। আর এক সময়ে মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাসের বাধঁন ছিল বিশাল মজবুত।
তাহলে আপনারাই বলেন, এখন কি আর সেই আগের দুনিয়া আছে? আছে আমাদের চারপাশে আগের সেই মানুষগুলো? আছে আগের সে ভালোবাসায় ভরা মমতার বন্ধন? আমার তো মনে হয় এখনকার মানুষ শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। তাই আমার কাছে মনে হয় মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বোঝাই।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলেছেন আপু একে অপরকে উপকার করার প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। আসলে এখন আর কেউ মানুষের উপকার করতে চায় না। সময়ের সাথে সাথে সবার মানসিকতা বদলে গেছে। দারুন লিখেছেন আপনি। সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
আপু ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। মন্তব্য গুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে বাস্তব সময় উপযোগী একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে আগের মানুষের মধ্যে কোন অহংকার ছিল না একে অপরের উপকার করত। কিন্তু এখনকার মানুষের মধ্যে একে অপরের উপকার করার প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে আমাদের এলাকাতে এখন যদি কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে মানুষ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে কোন উপকার করার ইচ্ছা তাদের নেই। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাই তো বলি এ দুনিয়া এখন আর সে দুনিয়া নেই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আগের দিনের একজনের যদি কোন বিপদ হতো তাহলে গ্রামের সবাই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতো, আর এখন একটা মানুষকেও পাশে পাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। এখন সবাই নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। এবং কি সবার মধ্যে হিংসা জড়িয়ে রয়েছে। এখন প্রত্যেকটা মানুষ বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে না, যার কারণে বিশ্বাস করাও যায় না কাউকে। এখন দুনিয়াটা আগের মত একেবারেই নেই। আপনি বাস্তবিক কথার সাথে মিল রেখে আজকের এই পোস্টটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
জি আপু এখনকার মানুষগুলো বেশ বদলে গেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই হয়তো এখন বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে যারা নাম এই মানুষ কিন্তু কাজে-কর্মে না। আসলে মানুষের মতো মানুষ হওয়া প্রয়োজন এই পৃথিবীতে। মানবিক মানুষ এর অনেক অভাব আমাদের এই পৃথিবীতে। আগের দিনে মানুষের মধ্যেই হিংসা অহংকার কিছুই ছিল না। আর এখন প্রত্যেকটা মানুষ একে অপরকে অনেক হিংসা করে নিজের প্রতি অহংকার দেখায়। আসলে সবাই আস্তে আস্তে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। সবাই এখন নিজেদের স্বার্থের জন্য এখন সবকিছুই করতে পারছে।
এখনকার মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা বেশী। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।