ফটোগ্রাফি পোস্ট- শান্তির প্রতীক কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল ভালোবাসার ''STEEM FOR TRADITIONN'' কমিউনিটি পরিবার। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে আবারও চলে আসলাম নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে। বাংলার প্রকৃতি আর ঐতিহ্যের কোন তুলনা নেই। সুজলা শ্যামলা বাংলার প্রকিৃতি আর সৌন্দর্য আর অপরূপ রূপ দেখে চোখ ফেরানো যায় না। আর যায় না নিজেকে ঘরে বন্ধী করে রাখা। মাঝে মাঝে ছুটে যেতে মনে চায় দূর দূরান্তে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের কাছে নিজেকে কিছুটা সতেজ করতে। আর তাই তো সময় পেলেই ছুটে যাই প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির হাজারও সৌন্দের্যকে আর বেশী রাঙিয়ে তুলে আকাশে ভেসে বেড়ানো পাখি গুলো। আর কবুতর হলো তেমনি একটি পাখি।
কবুতর হলো শান্তির প্রতীক। কোন এক সময় এই কবুতর কেই ব্যবহার করা হতো বাহক হিসাবে। পৌষ্য এই পাখিটিকে ভালাবাসে না এমন কেউ নেই। আর আমার আজকের ফটোগ্রাফী পোস্টটি সাজানো হয়েছে শান্তির প্রতীক সেই কবুতর কে নিয়ে। আশা করি আমার ফটোগ্রাফী পোস্টটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
সেদিন যাচিছলাম নদীর পারে ঘুরতে। যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম কিছু কবুতর। আর তখনই সেই কবুতর গুলো দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করা সম্ভব হলো না। দাঁড়িযে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করলাম কবুতর গুলো কে ক্যামেরা বন্দী করতে। আর করেও নিলাম। কি আপন মনে তাড়া দাড়িঁয়ে দাঁড়িয়ে ঠুক ঠুক করে আদার টুকিয়ে টুকিয়ে খাচিছল। সেই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময়। দেখে মনে হচিছল যে ওদের মধ্যে কত প্রেম আর ভালোবাসা লুকানো।
বেশ কিছু দূরে তাকিয়ে দেখলাম আরও কিছু কবুতর ঝাঁক বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। আস্তে আস্তে তাদের কাছে গেলাম। চেষ্টা করলাম গাছের ফাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা কবুতর গুলো কে ক্যামেরা বন্দী করতে। সেটা করেও নিলাম। আসলে কবুতর যে শান্তির প্রতীক। এখনও অনেক অনুষ্ঠান যেগুলো কতবুতর উড়িয়ে উদ্ভোধন করা হয়। যাতে সেই অনুষ্ঠানে শান্তির বারতা বয়ে যায়। কবুতর এমন একটি পোষ্য পাখি যে, যে কেউ সহজেই তার পোষ্য বানিয়ে নিতে পারে। আদিকালে রাজা বাদশাহ চিঠি বহন করার জন্য কিন্তু কবুতরই ব্যবহার করা হতো। তাই কবুতর কিন্তু বাংলার ঐতিহ্য বহন করে।
বর্তমানে দেখা যায় অনেক মানুষই এখন কবুতর কে বাণিজ্যিক পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন করে অনেক মানুষ এখন সাবলম্বীও হয়ে যাচেছ বেশ সহজে। শহর গুলোতেও বাড়ির ছাদে বৃহৎ আকারে কবুতর পালন করা হয়। কবুতরের মাংস কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। দেহের রক্ত বৃদ্ধিতে কবুতরের মাংস বেশ কার্যকর। আর গ্রাম দেশেও তো বাড়িতে বাড়িতে কবুতর পালন কা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার কবুতর পালন করতে করতে এদের প্রেমেও পড়ে যাই । আর এদের কে জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাসি।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | তুরাগ নদী, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। ফুল, পাখি বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পছন্দ করেনা এরকম মানুষ হয়তো পৃথিবীতে খুব কম আছে। কবুতর পাখি হিসেবে দেখতে অনেক সুন্দর। তবে আমাদের ইসলাম ধর্মে কবুতরকে শয়তান রূপে আখ্যা দেয়া হয়েছে। আর কবুতরের মাংস কতটুকু উপকারী তা জানিনা। তবে ব্যথা ও এলার্জি জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে কবুতরের মাংস একদমই নিষিদ্ধ। চমৎকার লিখেছেন আপু ।এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
কবুতর আসলেই শান্তির প্রতীক। কবুতর আমাদের দেশে বেশ পরিমাণে দেখা যায়। আমাদের এলাকায় অনেক কবুতর দেখা যায়। আমাদের এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে সবাই মোটামুটি কবুতর লালন পালন করে। আমাদের এত গুলো ভালোবাসার পোস্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের কষ্টগুলো জানিয়েছি এবং এর মাঝখানে আপনি কবুতর নিয়ে আলোচনা করেছেন কবুতর শান্তির প্রতীক তাই সবার অগোছালো এবং কষ্ট করে জীবনে এভাবে শান্তি চলে আসুক। এটাই চাই ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি এরকম দৃশ্য মনমুগ্ধকর। এরকম দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। তাছাড়া শান্তির প্রতীক এই কবুতর সম্পর্কে চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। এর উপকারী দিক অনেক সুন্দর হবে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগছে পোস্টটি পড়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও সেই দৃশ্য বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথম ফটোগ্রাফিটি একদম মন ছুঁয়ে দিয়েছে আপু। এমন দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। আপনি ঠিক বলেছেন আপু কবুতর হল শান্তির প্রতীক। আগের সময়ই মানুষ কবুতরের দাঁড়ায় চিটিয আদান প্রদান করত। তবে যুগ পরিবর্তন হওয়ায় এখন আর এমন দৃশ্য কখনোই চোখে পরে না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।
কবুতরকে সুখের পায়রা বলা হয়। কবুতর পালন করে অনেকই আজ স্বাবলম্বী। আসলেই কবুতর শান্তির প্রতিক। গ্রাম কিংবা শহরে সব জায়গাতেই কবুতর দেখা যায়। আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করেছেন, অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন আপু, অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । দারুন ফটোগ্রাফি করছেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
কবুতর হলো শান্তির প্রতীক।যেহেতু এটি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট সেহেতু আমি প্রথমেই আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করছি। পাখি জাতীয় প্রাণীর ছবি তোলা খুবই কঠিন। কারন এগুলো সব সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। আপনার তোলার ফটোগুলো দারুন হয়েছে। আগে গ্রামে প্রতি বাড়িতে কবুতর পালন করা হত।এখন এটা আর খুব বেশি দেখা যায় না। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবুতর উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়। তাছাড়া প্রাচীন রাজারা কবুতরের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করতেন।আপনি ঠিকই বলেছেন কবুতরের মাংস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি আমাদের শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। তবে কবুতরের মাংস খুবই এলার্জি। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন কবুতর শান্তির প্রতীক।বর্তমানে কবুতরকে বাণিজ্যিক পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।আপনি কবুতের স্বাস্থ্যের জন্য যেসব কারণে উপকারী তা উল্লেখ করেছেন।আপনার আজকের পোস্টটা ভালোই হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার তোলা কবুতর এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনাগুলোও তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ও সুন্দর একটি সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।