জেনারেল রাইটিং- স্বার্থের বালুচরে যোগ্যতা হারিয়ে যায় নিমিষে | ||written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি।মানবতা বা মানবিক শব্দ দুটো আমাদের বেশ পরিচিত। কিন্তু দুটো শব্দ কে আজকাল মনে হয় খুঁজতে হয় হারিকেন দিয়ে। কারন এই শব্দ গুলো এতই অন্ধকারে তলিয়ে গেছে যে হারিকেন দিয়েও এদের কে খুঁজে বের করতে কষ্ট হয়। আমি মনে করি আমি মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক। আমার ম্ত মানবিক মানুষ পৃথিবীতে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সত্যি কি তাই? সেই বিচার টুকু না হয় আপনারা করবেন।
বন্ধুরা প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি হলেও জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাতের জন্য আরও একটি নতুন জেনারেল পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তবে আমি চেষ্টা করি আমার জেনারেল রাইটিং গুলোতে সামাজিক কিছু অসমঞ্জস্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত করতে। জানিনা আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে। ভালো বা মন্দ দুটো মন্তব্যই আমি গ্রহণ করতে পিছ পা হবো না। কারন পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সব জ্ঞানে জ্ঞানী নয়। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র জ্ঞান হতে মনের কষ্ট গুলো কে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাওয়া।
স্বার্থের বালুচরে যোগ্যতা হারিয়ে যায় নিমিষে
স্বার্থের বালুচরে যোগ্যতা হারিয়ে যায় নিমিষে
Banner credit --@maksudakawsar
Canva দিয়ে তৈরি
আমার বড় ভাই যতো দিন জীবত ছিলেন তার কাছে সামাজিক কোন সমস্যার কথা তুলে ধরলেই তিনি বলতেন যে - ’’কোথায় যাবে? সব জায়গায় একই রকম। আর এর মাঝেই চলতে হবে তোমাকে’’। সত্যি কিন্তু বড় ভাইয়ের কথাটি এখন বুঝতে পারছি আমি হারে হারে। আমরা প্রায় একটি কথা শুনি যে দৃষ্ট ভঙ্গি বদলাও জীবন বদলে যাবে। আসলে সত্যি কি তাই? আসলে কি নিজে পরিবর্তন হলে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। না আমার কিন্তু তা মনে হয় না। এখন তো আমাদের সমাজে ঘুনে ধরে গেছে। আর এই ঘুনে ধরা সমাজের মানুষ গুলো নিজের স্বার্থের টানে ভালো বা মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করতে শিখে গেছে। শিখে গেছে নিজের স্বার্থের জন্য কি করে অন্যায়ের সাথে আপোস করতে হয়।
এখন মসজিদ কমিটির সভাপতি হয় রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে। সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে বড় বড় চেয়ারে শুধু তারাই শোভা পায় যারা ক্ষমতা বা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা শর্তেও হাজার ছেলেমেয়েরা বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বয়ে বেড়াচেছ শুধু মাত্র যোগ্য লোক গুলোর যোগ্যতা কে মূল্যায়ণ না করার কারনে। আজকাল শিক্ষাগত যোগ্যতায় নয় বরং চাকুরী মিলে ক্ষমতা আর অর্থের দাপটে। মুষ্টিমিয় কিছু মানুষের স্বার্থের কাছে সমস্ত মানুষ গুলো যেন মাথা নত করে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছে এই বিষাক্ত সমাজে। শুধু মাত্র নিজের কিছু লাভের জন্য আমরা হাসি মুখে মেনে নিচিছ সকল অন্যায়কে।
জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর সৃজনশীলতা নিয়ে হাজারও মানুষ নিজের যোগ্যতা কে তুলে ধরতে ভুলে যায় যখন তারা দেখে যে তাদের যোগ্যতার মূল্যায়ণ হচেছ না শুধুমাত্র তেলবাজ আর চাটুকারদের ভিড়ে। আর এমনও হাজারও যোগ্য মানুষ তলিয়ে যাচ্ছে হতাশার রাজ্যে শুধু মাত্র তাদের মেধাকে কাজে না লাগাতে পেরে। নিজের স্বার্থ কে মুল্যায়ণ করতে যেয়ে কত কত যোগ্য মানুষকে যে আজকাল অবহেলা করা হচেছ সেটার বিচার করার কেউ নেই। আর কারও আর্বিভাব হবে বলেও আমার মনে হয় না। কারন মানুষ দিনে দিনে বোবা প্রাণীতে পরিনত হয়ে যাচেছ।
মাঝে মাঝে মনে হয় কি লাভ এত বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করে? যেখানে ডিগ্রী প্রাপ্ত মানুষগুলো কে হার মেনে যেতে হয় অন্যায় আর ক্ষমতার কাছে। এখন তো দেখা যায় চারদিকে শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকা মানুষ গুলোর সংখ্যাটাই বৃদ্ধি পাচেছ। এর কারন মনে হয় একটাই। যেখানে স্বার্থের কাছে যোগ্যতা পরাজিত হয় সেখানে একাকিত্বই হচেছ সবচেয়ে বড় মেডিসিন। কারন যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। যেখানে কথা বললেই শাস্তি পেতে হয় সেখানে তো নিরবতা পালন করে দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
সত্যি বলতে আজকাল আমাদের চরিত্রই হয়ে যাচ্ছে স্বার্থবাদি। আমরা নিজের জন্য বা নিজের স্বার্থের জন্য অথবা নিজেকে একটু লাভবান করে তুলার জন্য একজন যোগ্য মানুষ কে সঠিক মূল্যায়ণ করতে ভুলে যাচ্ছি দিনে দিনে। আর এমন করেই স্বার্থের বালুচরে যোগ্যতা আর যোগ্য মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে নিরবে। কিন্তু কতদিন আর এমন দূর্বিসহ জীবন পালন করতে হবে? আমাদের কি এমন অবস্থা হতে পরিত্রান হবে না? জাতির কাছে এই প্রশ্নই রইল।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বেশ খারাপ লাগে যখন দেখি কোন যোগ্যতা সম্পূর্ন মানুষ তার যোগ্যতার কোন মূল্যায়ণ পায় না তখন। খুব খারাপ লাগে তখন, যখন দেখি যোগ্যতা গুলো বিক্রি হয়ে যায় টাকার কাছে। মানবিকতা ফিরে আসুক তাদের মাঝে এই কামনাই করি।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পোস্টটি অনেক ভাল লিখেছেন,সমাজের কিছু চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।দৃষ্টি ভঙ্গি বদলালে সমাজ বদলাবে ঠিকই,তবে সেটা একার দৃষ্টি ভঙ্গি বদলানোর মাধ্যমে সম্ভব না।সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।সবাই যদি নিজেকে পরিবর্তন করে,তবে সমাজ অবশ্যই পরিবর্তন হবে।ধন্যবাদ আপু প্রতিবাদী পোস্টটির জন্য।(কিছু বানান ভুল হয়েছে,আশা করি সেগুলো ঠিক করে নেবেন।)
ধন্যবাদ ভাইয়া উপদেশমূলক একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি৷ আসলেই এখন সকলে নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে আছে৷ কিভাবে নিজের স্বার্থকে রক্ষা করা যায় এরকম চিন্তা-ভাবনা সকলের মধ্যেই রয়েছে৷ এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম করার ফলে যারা যোগ্যবান ব্যক্তি তাদের যোগ্যতার কোন মূল্য দেওয়া হচ্ছে না৷ এর ফলে অনেক মানুষই অনেক ধরনের খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই মন্তব্য পড়ে সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
আপনার বড় ভাই কিন্তু একেবারে ঠিক কথাই বলতো। উনার এই কথাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আমরা যেখানেই যাই না কেন সেখানে এগুলো দেখতে পাবো। তাই আমাদেরকে এক জায়গায় থেকেই এটা মানিয়ে নিতে হবে। তবে অবশ্যই এরকম ভাবে কাজগুলো করে না। বরং ভালোর পথে চলে। আপনার লেখা পোস্টটা সত্যিই শিক্ষনীয় ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে এটা কিন্তু একেবারে ঠিক কথা স্বার্থের এই বালুচরে যোগ্যতা নিমিষেই হারিয়ে যায়। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন এগুলো একেবারে সত্য এবং বাস্তবিক ও শিক্ষনীয় ছিল। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের জন্য সমাজটা একেবারে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। আর এরকমটা প্রত্যেকটা জায়গায়। তাই যেখানেই আমরা যাই না কেন এটা দেখতে পাব অবশ্যই। আপনার কথাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
বর্তমান সময়ের বাস্তবতাকে ঘিরে আপনার লেখা আজকের এই পোস্ট সত্যি আমার ভালো লেগেছে। মানুষের সম্মান আজ নষ্টের পথে যার যে যোগ্যতা শেষ স্থানে অবস্থান নেই। বিভিন্ন রাজনীতির দলীয় মনোভাব ক্ষমতা যারা মানুষের ন্যায্যমূল্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে একটা সমাজ ব্যবস্থা।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর এবং সাবলীল একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি বিষয় আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। আপু সত্যি স্বার্থের দরপতনে বর্তমানে পৃথিবীর সকল শিক্ষিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষগুলো সমাজে আস্তা খরে পড়ে আছে। আবার একই স্বার্থের কারণে অশিক্ষিত আর অযোগ্য মানুষগুলো সমাজে মাথা উঁচু করে বলিয়ান হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপু আপনি খুব সুন্দর সুন্দর বিষয় এবং তার ভিতরের কথাগুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। তবে এখন বর্তমান সমাজে আপু সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে ভাবে। আমার মনে হয় না এই সমাজ আর বদলানোর কোন সম্ভাবনা আছে। ধন্যবাদ আপু। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ হচ্ছে প্রচন্ড স্বার্থপর এবং লোভী টাইপের। চাকরির জন্য গেলে অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরিতে নিয়োগ দেয় তাদের লাভ বা স্বার্থের জন্য। এসব দেখে একজন যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষের মনটা একেবারে ভেঙ্গে যায়। তখন মনের মধ্যে অটোমেটিক প্রশ্ন চলে আসে, এতো পড়াশোনা করে কি লাভ তাহলে। কতো মানুষ যে হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই। এসবের জন্য দায়ী সেই লোভী এবং স্বার্থপর মানুষগুলো,যারা যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষদের যোগ্যতার মূল্য দেয় না। আমাদের দেশের পরিস্থিতি দিনদিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামনে হয়তোবা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিজেকে বদলাতে পারলে সমাজ বদলে যায় আপু, তবে সেই কাজটা করে কয়জন! হয়তো আপনি করছেন সেই কাজটা, বাকি লোক করছে না। এক্ষেত্রে কিন্তু কোন পরিবর্তন পাবেন না। আর এখনকার মানুষ যোগ্যতা দেখে না, দেখে পাওয়ার। যার যত পাওয়ার তার তত বড় পজিশন। সুতরাং শিক্ষিত হয়েও প্রচুর ছেলে বেকার অবস্থায় পড়ে থাকছে।