লাইফ স্টাইল- নাইট ওয়ার্ক করতে গিয়ে ডিনার করা ||night walk @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ রাত্রি ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। মানুষের মন যেন কেমন। এক জায়গায় স্থির থাকতে চায় না। আর তার উপর তো আছে ব্যস্ততা। সারাদিনের বা সারা সপ্তাহের বিশ্রামের পর মনটা কিন্তু চায় একটু হলেও প্রশান্তি। আর সবার কথা জানিনা ছুটির দিন হলে আমার কিন্তু ঘরে মনটিকে না । মন চায় উড়ে বেড়াতে। তেমনি ইচ্ছে ছিলো এ সপ্তাহেও দূরে কোথাও ঘুরে আসতে। কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না, কপালে নাই কো ঘি ঠুকঠুকালে হইবো কি। আরে কপালে না থাকলে কি আর কিছু পাওয়া যায়। আর তাই তো এমন বৃষ্টির দুপুরটা বাসায় বসে মন খারাপের মাঝেই কাটিয়ে দিতে হলো। তাতে কি হয়েছে? সন্ধ্যায় কিন্তু সেই মন খারাপটা পুষে গেল। সন্ধ্যায় উনার অনুরোধে চলে গেলাম কিছুটা সময় কাটাতে বাহিরে। বেশ কিছুক্ষন এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে মনের অজান্তেই পেলাম স্পেশাল ট্রিট।
আমাদের বাসা হতে তালতলা মার্কেটটি কিন্তু বেশী দূরে না। আর আমি জানি যেহেতু নীচে নামতে বলছে সেহেতু বেশ কিছু্ক্ষন আমাকে নাইট ওয়ার্ক করতে হতে পারে। তাই নিজের কাপড়ের সু গুলো পড়ে নিলাম।তারপর দুজন মিলে হাটা শুরু করে দিলাম। এবার রাস্তায় হাটতে গিয়ে চোখে পড়ে গেল প্রিয় পানিপুড়ি তাও খেলাম। বেশ কিছুক্ষন হাটাহাটি করার পর বসে পরলাম নিরিবিলি জায়গায় গল্প করতে। প্রায় আধ ঘন্টার মতো দুজনে গল্প আর হাসি মসকরায় সময় পার করে যখন বাসার দিকে আসছিলাম ঠিক সে সময়ই উনার ক্ষুদা লাগলো। আর কি থামানো যায়। ঢুকে গেল পাশের একটি ফুড কর্ণারে।
ভাগ্যিস যে আমার মোবাইলটি সাথে ছিল। তানাহলে কি আর আপনাদের সাথে আমার অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে পারতাম। তো সেখানে যেয়ে দেখি যে বেশ ভিড় সেখানে। রাত বাজে ৯.০০। কিন্তু মানুষ যে কত খেতে পারে সেটাই আমার মাথায় ঢুকে না। আমি শুধু দেখছি আর দেখছি। তো উনি চলে গেলেন নিরিবিলি জায়গা খুঁজতে। সেই ফাকেঁ আমিও ফুড কর্ণারের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের জন্য। তো বেশ কিছুক্ষন পর উনি এসে আমাকে উপরে একটি নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে গেল। আমরা বেশ কিছুটা সময় এখানেও বসলাম। মাগো যে ভিড়। একবার জিদ চড়ে বসলো বাসায় আসার। বাসার এত গাধা গাধা রান্না কে খাবে? কিন্তু না উনি নাছোর বান্দা। খাবে খাবেই। তো কিছুক্ষনের মধ্যে ওয়েটার সাহেব এসে গেলে তাকে সাহেব কি কি যেন অর্ডার করলো। আমি আর ঐদিকে কান দেয়নি।
বেশ কিছুক্ষন পর দেখলাম ওয়েটার সাহেব একজন নয় দুই জন। একজনের কাছে থাই সুপ। আর একজনের কাছে ফ্রাইড রাইস এবং ক্রেসপি চিকেন👌। কিন্তু এই রাত করে এত খাবার খাবে কে? কে খাবে এত এত খাবার? মেজাজ গেলো গরম হয়ে। জেদ করে বসে রইলাম। সব তোমাকেই খেতে হবে। ইসারায় জানিয়ে দিলাম। কিন্তু ভিতরে ভিতরে আবার লোভ ও কাজ করছিল। ইস্ আর একবার যদি সাধে। বেশ কিছুটা সময় পর দেখি আমার এদিকটায় আগেই সার্ভ করে দিয়ে রেখেছে। তারপর ঘ্যান ঘ্যান শুরু হয়ে গেল। খাওয়া শেষ করো, আরে দোকান বন্ধ করবে তো। তারপর ক্রিসপি চিকেন, ফ্রাইড রাইস এবং সুপ কিছুই আর বাকী রাখলাম না খেতে।
এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ হলে চলে আসলো বিলের পর্ব। বাহ্ এমন বড় একটি ’ফুড কর্ণারে মাত্র ৭৭৫/- টাকা বিল! আমি তো বেশ অবাক। এত সব খাওয়ার এত কম দামে খেয়ে নিলাম। কি করে এত কম দামে এত খাবার দিতে পারলো। ভাবছি তো ভাবছি। আরে কিছুক্ষন পর দেখি সাহেবের এক ভদ্র লোক এসে তার সাথে কথা বলছে। পরে জানতে পারলাম যে উনি নাকি উনার বন্ধু। আর এই ফুড কর্ণারের মালিক নাকি সেই লোকটির বাবা। তাই আমাদের কে ডিসকাউন্ট দিয়েছে। না তাই বলে আপনাদের কে কিন্তু ডিসকাউন্ট দিবে না আবার।
মাঝে মাঝে এমন করে বাহিরে খেলে কিন্তু খারাপ হয় না। আমারও সেদিন বেশ ভালো লেগেছিল। বন্ধুরা আজ এখানেই ইতি টানতে হচেছ। আগামীতে আবার আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন।
Tweeter
এটা তো বেশ ভালো হুট করেই প্ল্যান হয়ে গেল, রাতের এই সময়টা খুব ভালো কেটেছে মনে হচ্ছে। রেস্তোরাঁটাও খুব সুন্দর বেশ সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।
ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশ থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।