নাটক রিভিউ- পারফেক্ট ম্যাচ ||Drama Review||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সবার সুসাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। আনন্দ বা বিনোদন হলো মানুষের জীবনে চরম বন্ধু। আনন্দ আর বিনোদন কিন্তু মানুষের জীবনের জন্য বেশ প্রয়োজন। মানুষ যতক্ষন আনন্দ বা বিনোদনের মধ্যে থাকে ততক্ষনিই সে নিজেকে সুৃখী মনে করে। তাই জীবনে বেচেঁ থাকতে চাইলে কিন্তু আমাদের আনন্দ বা বিনোদন কিছুটা হলেও প্রয়েজন। আর এই জন্যই তো শত ব্যাস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে দু একটি নাটক দেখি সময় নিয়ে। সেখান হতে একটি নাটক আজ আপনাদের মাঝে রিভিউ করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদেরও নাটকটি দেখার ইচ্ছে জাগবে।
নাম | পারফেক্ট ম্যাচ |
---|---|
পরিচালক | ফরহাদ আহমেদ |
রচনা | নাজিম উদ দৌলা |
অভিনয় | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানিয়া বৃষ্টি, রোকেয়া জাহান চমক এবং আরও অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪১মিনিট 0৭ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখ | সেপ্টেম্বর/২০২৩ |
ধরন | নাটক |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রচার | বাংলাভিশন |
★ জিয়াউল ফারুক অপূর্ব-রেজা
★তানিয়া বৃষ্টি- রুমকী
★রোকাইয়া জাহান চমক- শাহনাজ
নাটকের মূল চরিত্র হলো রেজা এবং শাহনাজ। রেজা একজন ক্রেয়েটিভ পারসোন। সে ক্রেয়েটিভ কাজের সাথে জড়িত। এদিকে শাহনাজ একজন ডাক্তার, সে বেশ হিসেব করে খাওয়া দাওয়া করতে পছন্দ করে। সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, সময় মত ঘুমোতে যাওয়া এগুলো হলো শাহনাজের প্রতিদিনের রুটিন। এদিকে রেজার সাথে শাহনাজের বিয়ে প্রস্তাব হলে রেজা শাহনাজের সাথে দেখা করতে রেস্তোরায় যায়। সেখানে যেয়ে শাহনাজের ডাক্তারী কথাবার্তা শুনে রেজা একটু বিরক্ত হয়। তবুও শাহনাজের সরলতা রেজার ভালো লাগায় রেজা শাহনাজ কে বিয়ে করতে রাজি হয় এবং তাদের এনগেইজমেন্ট হয়।
কিছুদিন পর রেজা বুঝতে পারে যে শাহনাজের সাথে তার ম্যাচিং হচ্ছে না। কারন রেজা সবসময় একটু অন্যরকমের জীবন যাপন করতে পছন্দ করে। এই যেমন- সিগেরেট খাওয়া, বাহিরের টং দোকানে খাওয়া, রিক্সায় ঘুরে বেড়ানো, রাত করে ঘুমোতে যাওয়া এসব আর কি। কিন্তু শাহনাজ এগুলোর কিছুই পছন্দ করে না। রেজা শাহনাজের সাথে দেখা করে এসব কথা খুলে বলে। শাহনাজ এগুলো মন দিয়ে শুনে এবং রেজাকে বলে সে এখন থেকে এডজাস্ট করে চলবে। কিন্ত তারপরও শাহনাজ বেশ ব্যাস্তময় সময় কাটায়। রেজা কে দেওয়ার মত তেমন সময় তার নেই। আর শাহনাজের এ সমস্ত বিষয়গুলো রেজা কে বিষণ কষ্ট দেয় এবং টেনশনে ফেলে দেয়।
কিছুদিন পর রেজার অফিসের একটি প্রোগ্রামে তার রুমকীর সাথে দেখা হয়। রুমীকে চা এর মধ্যে চিনি খেতে দেখে রেজার বেশ ভালো লাগে। রেজা রুমকীর সাথে যেয়ে পরিচিত হয়। রেজা রুমকীর সাথে কথা বলে বুঝতে পারে যে, রেজা যে ধরনের ম্যাচিং খুঁজছে রুমকী ঠিক তাই। রুমকী সিগেরেট খাওয়া ছেলে পছন্দ করে। এছাড়া রেজা যে ধরনের মেয়ে পছন্দ করে রুমকী ঠিক তাই। তখন তারা দুজনে দুজন মোবাইল নাম্বার নেয়। তারপর তাদের দুজনের ফোনে কথা হতে লাগে। এমন কি তারা এক সাথে যেয়ে দেখা করে। সেখানেও রেজা দেখে যে রেজার প্রিয় খাবার গুলোও রুমকীর প্রিয়। তাদের দুজনের সেম একই খাবার পছন্দ। এমন কি সব কিছুই। আর এভাবেই রেজার সকল ম্যাচিং এর সাথে রুমকীর পছন্দের ম্যাচিং খুঁজে পায়।
এইদিকে শাহনাজ এবং রেজার সব কেনাকাটাও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শাহনাজ বিষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ায় রেজা কে সময় দিতে পারে না। রেজা রাতে ফোন দিলে শাহনাজ ঠিকমত কথা বলতে পারে না। কারন শাহনাজের বেশ করা ডিউটি। আর রেজা এগুলো তে বেশ বিরক্ত হয়। আর মাত্র কদিন পর তাদের বিয়ে। আর এখন তো কত কথা, কত প্লানিং জমে আছে। কিন্তু শাহনাজ রেজাকে সময় দিতে পারছে না। এদিকে রুমকী রেজাকে ফোনে ম্যাসেজ পাঠায়। আর শাহনাজ এর অনুউপস্থিতিতে রেজা আর রুমকীর মধ্যে গড়ে উঠে আলাদা সম্পর্ক। রেজা এখন বেশ ফুরফুরা মেজাজে থাকে। রেজা এখন নতুন করে সব ভাবনা চিন্তা করতে চায়। যার সাথে তার ম্যাচিং হয় তাকে নিয়ে জীবন গড়তে চায়। কিন্তু তার বন্ধু তাকে বলে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে।
রেজা রুমকীর সাথে দেখা করে। তারপর রুমকী কে সব খুলে বলে যে সে একজনের সাথে কমিটেড। মাস খানেক পর তার বিয়ে। কিন্তু রুমকী রেজার জন্য পারফেক্ট ম্যাচ এটাও রুমকী কে বলে। রুমকী এসব কথা শুনে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে রেজা আর শাহনাজ দুজনে দেখা করে। রেজা শাহনাজ কে বেশ রাগ করে কিছু শুনিয়ে দেয়। রেজা শাহনাজ কে বলে সে যেহেতু লোনলি ফিল করে তাই সে অন্য কারো সাথে কথা বলে। এত সময়ে রেজা অসুস্থতা ফিল করলে রুমকী রাগ করে। কিন্তু রেজা সেটা পছন্দ করে না। সে ডাইরেক্ট শাহনাজ কে বলে দেয় যে শাহনাজ তার জন্য ইউজলেজ। তখন শাহনাজ রেজাকে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলে দেয়। এদিকে আত্নীয় স্বজন সবাইকে দাওয়াত করা হয়ে গেছে। আর এ সময়ে শাহনাজ বিয়ৈ ভেঙ্গে দেওয়ায় পরিবারের লোকজন চিন্তায় পড়ে যায়।
আর অন্য দিকে রুমকী বেশ কষ্ট পায়। রুমকী তার জীবনে কোন প্রবলেম চায় না। তাই সে চলে যেতে চায়। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার আগেই। রেজা রুমকী কে আটকায়। রেজা বলে আমি জানি আমি কাকে পছন্দ করি। কিন্তু আমি তোমাকে আর কনফিউজ করবো না। তুমি থাকো প্রজেক্ট শেষ করে যাও। তারপর রুমকী প্রজেক্ট পর্যন্ত থেকে যায়। এদিকে রেজা বেশ চিন্তায় পড়ে যায় যে, বিয়ে ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু শাহনাজও তার জন্য সঠিক নয়। কিন্তু কি করবে?
শাহনাজ রেজার কে দেখতে আসে। তখন তারা দুজনে নিজেদের ভুল গুলো নিয়ে আলোচনা করে। তারা বুঝতে পারে যে তাদের আরও বেশী সময় নেওয়া দরকার ছিল। দুজন দুজন কে বুঝার দরকার ছিল কিন্তু তারা কেউ কাউকে সময় না দিয়ে শুধু দোষারোপ করেই গেছে। তখন রেজাকে শাহনাজ জিজ্ঞেস করে যে সে কি চায় ? রেজা শাহনাজ কে জানায় যে সে তার ভালোবাসার পরীক্ষায় ১০০ তে ১০০ পেতে চায়। তখন শাহনাজ রেজা কে বলে ঠিক আছে আমি তোমার জন্য সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। আর এর মাঝেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটির মধ্য দিয়ে পরিচালক একটি শিক্ষনীয় বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে যে সব কিছুই পারফেক্ট ম্যাচ হতে হবে তা নয়। দুজন মানুষের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেই একটি সংসার হতে পারে। তার জন্য পারফেক্ট ম্যাচ এর কোন প্রয়োজন নেই। সবার যে সব গুন থাকতে হবে তেমন নয়। পৃথিবীতে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের মধ্যে মিল নেই, কিন্তু ভালোবাসার কোন অভাবও নেই। নাটকটিতে পরিচালক শেষে মিল ঘটাতে পারতেন। এভাবে অপেক্ষায় রেখে নাটকটি শেষ করা মনে হয় ঠিক হয়নি।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন ।
পারফেক্ট ম্যাচ নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। আমি দেখেছিলাম গতকালকে এই নাটকটা। আসলে নাটক দেখতে এবং নাটকের রিভিউ পড়তে দুটোই আমার অনেক বেশি পছন্দের। আর এই নাটকের মাধ্যমে পরিচালক কিন্তু শিক্ষনীয় কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, যা আমার অনেক ভালো লেগেছিল।
জি আপু আপনার মত আমারও নাটকের রিভিউ করতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
নাটকের রিভিউ গুলো সব সময় দারুন লাগে আমার কাছে। সব সময় অনেক সুন্দর ভাবে আপনি নাটকে রিভিউ শেয়ার করেন। অন্যান্য দিনের মত আজকের এই নাটকটার রিভিউ পোস্টও আমার খুব ভালো লেগেছে। দম্পতির মধ্যে মিল না থাকলেও ভালোবাসা অনেক বেশি থাকে। সেখানে ভালোবাসার অভাব হয় না বললে চলে। সুন্দর ছিল নাটকটা।
জি নাটক কিন্তু বেশ দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে এই নাটকটি আমি দেখেছি আপু। অপূর্ব ভাইয়ের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আমি তার সবগুলো নাটক দেখার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
এই নাটকটি কয়েকদিন আগে আমি দেখেছি। নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে পারফেক্ট ম্যাচ না হওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। নাটকটিতে বোঝার মত অনেক কিছুই ছিল। একজন নিজের কাজে ব্যস্ত অন্যজন তার কাছের মানুষটির সঙ্গ চাচ্ছিল।
জি আপু নাটকটি টিতে বোঝার মত অনেক কিছুই ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জি আপু নাটকটি টিতে বোঝার মত অনেক কিছুই ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পারফেক্ট ম্যাচ নাটকটি অনেক সুন্দর একটি নাটক। গতকালকে আরেক জনের রিভিউ তে দেখেছিলাম পড়ে খুবই ভালো লেগেছিল। আবারো আজকে আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। নাটকটি খুব সুন্দর একটি নাটক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে একবার দেখে নিয়েন। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দরভাবে আপনি নাটকের রিভিউ করেছেন৷ এই নাটকটি আমি দেখে নিয়েছি। তবে আজকে আপনার কাছ থেকে আবার এর রিভিউ দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ খুবই ভালোভাবে আপনি নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।