লাইফ স্টাইল- ভালোবাসার উপহার যখন মনের মত হয় || lifestyle by @maksudakawsar ||

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি বেশ ভালো আছেন। কিন্তু চারদিকের যে অবস্থা এখন তো দেখছি ঘরে ঘরে অসুস্থ। আসলে এখন একটু সাবধানে থাকতে হবে। কারন গরমের মাঝে মাঝে হঠাৎ আবার শীত। তাই এমন সময় আমাদের সকলের ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। আর সেই সাথে খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। যাতে করে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই পারে আমাদের কে সুস্থতার কাছে পৌঁছে দিতে।

দিন যেমনই যাক না কেন আমাদের কে কিন্তু সব সময় নিজেদের কাজ কে সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অসুস্থতা বা ব্যাস্ততা কোন প্রকার অজুহাত হতে পারে না। বন্ধুরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নিজের দক্ষতা আর জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে আপনাদের মাঝে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজও আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। আশা করি আজকের পোস্টটিও আপনাদের কে কিছুটা আনন্দ দিবে।

আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো (14).png

Banner credit --@maksudakawsar

ভালোবাসার উপহার যখন মনের মত হয়

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

চলে গেল ফেব্রুয়ারী মাস। আর এই ফ্রেব্রুয়ারী মাস আমার কাছে অনেক স্মৃতির পাহাড়। এই মাসে রয়েছে জীবনের অনেক গুলো গুরুত্ব পুর্ণ দিন। আর সেই সব ‍মূল্যবান দিনগুলো কে কিন্তু আমি বা আমরা কখনও ভুলে যাই না। ভুলে যাই না প্রিয় মানুষটির জন্মদিনের কথাটি। আবার এই মাসেই কিন্তু আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। প্রতি বছরই এই মাস আসলে আমরা কোন না কোন ভাবে দিন গুলো পালন করার চেষ্টা করি। যদিও বিবাহ বার্ষিকীর কথা আমার মনে ছিল না। তাই আগের থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে প্রিয় মানুষটির জন্মদিনে একটি ব্রান্ডের ঘড়ি তাকে গিফট করবো। তাই কিছু টাকা আগের থেকেই আলাদা করে রেখেছিলাম।

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

একটি মজার বিষয় হলো যেদিন আপনাদের ভাইয়ার জন্মদিন সেদিনেই কিন্তু আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। তাই আমরা প্রতি বছর বিবাহ বার্ষিকী পালন করি। কিন্তু এই বার কেন জানি মানুষটির জন্য অনেক কষ্ট হলো। মনে হলো তাকে ঠকানো কিন্তু ঠিক নয়। তাই এবার ভাবলাম তাকে কিছু ভালো উপহার দিতে হবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। সেদিন সন্ধ্যায় বেড়িয়ে পড়লাম শপিং এবং ঘুরাঘুরির উদ্দেশ্যে। অবশ্য ছোট বোন মাহফুজা নীলা কেও নিলাম। অনেক ঘুরাঘুরির পর তাড় জন্য ওয়ালিগো কোম্পনীর একটি ঘড়ি নিয়ে নিলাম ২০০০/- টাকার মধ্যে। তবে ঘড়িটা কিনতে পেরেছি এক শর্ত দিয়ে। আর সেটা হলো আমাকেও কিছু কিনতে হবে। যাই হোক রাজি হয়ে গেলাম। মাগনা পেলে আলকাতরাও খায় বাঙালি। আর সেদিন তো আমার বিবাহ বার্ষিকী। কিছু কিনলে কিন্তু খারাপ হয় না।

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

ঘড়ি কিনে সোজা চলে গেলাম কোকারিজের দোকানে। কারন আমি ভেবে দেখলাম টাকা খরচ করে থ্রি পিস কিনে কি লাভ? ও তো অনেক আছে। তাই ঘরের জিনিস কিনলে কেমন হয়? কিন্তু ওমা সেতো আমাকে থ্রি পিস কিনেই দিবে। কোন কিছুতেই তাকে মানানো যাচেছ না। তারপর দু বোন মিলে বেচারা কে এমন সাইজ করলাম যে সে একেবারে রাজি হয়ে গেল। আরে না না তেমন করে সাইজ করা না। ঠান্ডা মাথায় বুঝানো হলো এই আরকি। তো সাহেব ও রাজি হয়ে গেলাম। তারপর অনেক গুলো দোকান ঘুরে ঘরের জন্য একটি প্লাস্টিকের রেক এবং একটি পানি খাওয়ার বোতল পছন্দ হলো। কিন্তু দোকানদার মামা রে ভাই হেব্বী পিছলা। দাম কমালোই না। এক দাম ১৫০০/- টাকা রেখে দিলো দুটো জিনিসের দাম। তাই জিদে দোকানদার মামারও একটি ছবি তুলে নিলাম হি হি হি।

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

এরপর চলে গেলাম আমাদের প্রিয় একটি কম দামী খাবারের দোকানে। যেখানে বেশ কম দামে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। হায়রে গরীবের বিবাহ বার্ষিকী। তো যেয়েই জিজ্ঞেস করলাম কি আসে মামার দোকানে। সবা আইটেমের কথা শুনে শেষে খাসির মাংসের খিচুড়ি খাওয়ার সখ হলো আমাদের । তিন প্লেট অর্ডার করার পর মনে হলো বোরহানী না হলে কেমন লাগে। তাই সেই বোরহানীরও অর্ডার করলাম। স্বাদে গুনে ভরপুর খাবার খেয়ে বিল দিলাম ৬০০/- টাকা তিন জনের জন্য। ঢাকার শহরে এত কম দামেও খাবার খাওয়া যায়। যাই হোক বেশ স্বাদের খাবার খেয়ে উপহার গুলো ঝুলাতে ‍ঝুলাতে চলে আসলাম বাসায়। আর শেষে হয়ে গেল আামাদের সুন্দর কিছু সময়।

শেষ কথা

সবচেয়ে বড় কথা হলো কোন নির্ধারিত দিন নয় প্রিয় মানুষের জন্য উপহার কিনতে কিন্তু জীবনের সব সময়ই ভালো লাগে। আর সেই ভালো লাগা হতেই তৈরি হয় ভালোবাসা

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  
 4 months ago 
 4 months ago 

আসলে ভালোবাসার মানুষটা যে উপরই দেয় না কেন, অনেক বেশি ভালো লাগে আর উপহার তো উপহারই। আপনাদের বিবাহবার্ষিকী এবং কি ভাইয়ার জন্মদিন একই দিনে, এটা জেনে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি ভাইয়াকে ঘড়ি গিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন। ঘড়িটা কিন্তু সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। নিশ্চয়ই ভাইয়ারও পছন্দ হয়েছিল। আপনাকে কিছু কেনার জন্য বলাতে দেখছি আপনি কুকারিজের দোকানে গিয়েছিলেন। এটা কিন্তু ভালোই একটা আইডিয়া ছিল। তবুও ভাইয়া তো থ্রি পিস কেনার জন্যই বলছিল। যাইহোক বুঝানোর পর তাহলে তিনি রাজি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে খাওয়া দাওয়াও বেশ জমিয়ে করেছিলেন দেখছি। অসম্ভব ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা।

 4 months ago 

বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

বিবাহ বার্ষিকী এবং জন্মদিন যদি একই দিনে হয় তাহলে তো সত্যি খুব ভালো লাগে। আর আপনার প্রিয় মানুষটারও জন্মদিন আপনাদের বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই ছিল। তাই আপনি ওনাকে গিফট দেওয়ার চিন্তা করেছিলেন। আর অনেক সুন্দর একটা ঘড়ি কিনে উনাকে গিফট দিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনি ঘরের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। খাওয়া দাওয়াও মজা করে করেছিলেন তিনজনে মিলে। আপনার পুরো পোস্টটা ভালোভাবে উপভোগ করেছি যেটা আমার অনেক পছন্দ ও হয়েছে।

 4 months ago (edited)

সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 4 months ago (edited)

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 4 months ago 

একটি মজার বিষয় হলো যেদিন আপনাদের ভাইয়ার জন্মদিন সেদিনেই কিন্তু আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।

এরকম ঘটনা কিন্তু সচরাচর দেখা যায় না আপু। আসলে প্রিয় মানুষকে যেকোন গিফট দিলেই সে অনেক বেশি খুশি হয়, সেটা দামী হোক কিংবা কম দামি। তবে আপনি বেশ সুন্দর একটা ঘড়ি উপহার দিয়েছেন আপনার প্রিয় মানুষকে। আমার কাছে কিন্তু ঘড়িটা অনেক বেশি ভালো লাগলো। তাছাড়াও আপনারা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং আপনাকেও কিছু গিফট দিয়েছে আপনার প্রিয় মানুষ, এর থেকে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে!

 4 months ago (edited)

ধন্যবাদ দাদা আপনার হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য।

 4 months ago 

সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57034.02
ETH 3084.35
USDT 1.00
SBD 2.41