ফটোগ্রাফি পোস্ট- নজরকারা কিছু ডেকোরেশনের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে আমি নিজেও বেশী ভালো নেই। আসলে ভালো আছি কি খারাপ আছি সেটা একমাত্র উপর ওয়ালাই ভালো জানেন। তিনি হলেন বড় কারিগর। কার ভাগ্যে যে কি লুকিয়ে আছে সেটা তিনিই বলতে পারেন। আমরা যতই ভালো থাকার চেষ্টা করি না কেন, উপর ওয়ালা না চাইলে আমরা ভালো থাকতে পারবো না। আর ভালো থাকা সম্ভবই নয়। তবে আশা করবো উপর ওয়ালা তার দয়ায় আমাদের কে ক্ষমা করে দিবেন।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত গর্বিত ইউজার। গর্বিত বলছি এই কারনে যে, আমার চেয়ে ভালো ভালো অনেক ক্রেয়েটিভ মানুষ আছে যারা এমন একটি প্লাটফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে নিজেদের যোগ্যতাকে মেলে ধরার জন্য। অথচ আমি কত ক্ষুদ্র একজন ইউজার, যার নেই তেমন ক্রেয়েটিভিটি। তবুও আমি এমন সুন্দর একটি প্লাটফর্মের একজন ভেরিফাইড ইউজার। তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
আমরা যারা এই প্লাটফর্মে কাজ করি তারা প্রত্যেকেই জানি যে ফটোগ্রাফি করা কতটা সখের বিষয় হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে। আর তাই তো আমরা সবাই চেষ্টা করি কম বেশী ফটোগ্রাফি করার জন্য। এই যে আমি, আমি তো যেখানেই যাই শুধু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। কিন্তু আফসোস হলো আমার এত এত ফটোগ্রাফি সবই হারিয়ে গেল ছিনতাইকারীর জন্য। তাই ভেবেছিলাম হয়তো আপাততঃ আপনাদের মাঝে আমি ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারবো না। যাই হোক বশেষে গুগুল ড্রাইভে পেলারোম খুঁজে হারিয়ে যাওয়া কিছু ফটোগ্রাফি। আর সেখান থেকেই কিছু আর শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
বেশ কিছুদিন আগে একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। আর প্রোগ্রামটি ছিল নারায়ণগঞ্জের একটি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো রেস্টুরেন্টির ভিতরে গিয়ে কিন্তু মনটা বেশ ভরেই গিয়েছিল সেদিন। মন ভরেগিয়েছিল সেই রেস্টুরেন্টটির ডেকোরেশন দেখে। আর মন ভরে গিয়েছিল রেস্টুরেন্টির চারদিকে পরিবেশ দেখে। আমার তো বেশ ভালোই লাগছিল। তাই সেদিন বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আপনাদের মাঝে আস্তে আস্তে শেয়ার করবো। কিন্তু সময় আর সুযোগের অভাবে আর শেয়ার করা হয়নি। অথচ সেই সব ফটোগ্রাফিগুলো রয়েগিয়েছিল আমার আগের মোবাইলে। ভেবেছিলাম সব হারিয়ে গেছে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ফটোগ্রাফি গুলোর কিছু ফটোগ্রাফি রয়েগেছে আমার গুগুর ড্রাইভে। ভাবলাম আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করে নেই। যাতে করে আপনারা সে ফটোগ্রাফি দেখে একটু সুখ পান।
সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি গুলো এতই দারুন যে যে কেউ দেখলে আর চোখ ফেরাতে পারবে না। কারন রেস্টুরেন্টের প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল দারুন। এত সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল যে সেখানে গিয়ে খাবো, নাকি ফটোগ্রাফি করবো সেটাই কিন্তু ভুলেই গিয়েছিলাম। আর একটা ডেকোরেশন থেকে অন্য ডেকোরেশন যেন আলাদা আকর্ষনীয় ছিল। বিভিন্ন কালারের এই ডেকোরেশন গুলো মনে হয় হচ্ছিলো যে এক একটা পটে আকাঁ ছবি। তাই চোখ ফেরানোটাই বেশ কঠিন ছিল।বিভিন্ন রকমের আর্টিফিসিয়াল ফুলের মাধ্যমে সাজানো ছিল রেস্টুরেন্ট টি। কালারফুল এবং লাইটিং সমৃদ্ধ হওয়ায় বেশ দারুন লাগছিল সেদিনের সেই সমস্ত ফুলগুলো।
আমার মনে হয় এমন দারুন দারুন ফুলের কালার দেখে আপনারাও মুগ্ধ হয়েছেন। মুগ্ধ হয়েছেন রেস্টুরেন্টটির পরিবেশ দেখে। আমার কিন্তু প্রতিটি ডেকোরেশন এতই ভালো লেগেছে যে আপনাদের সাথেও একটু শেয়ার করে নিলাম। সত্যি বলতে এমন করে যদি কোন রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন করা হয় তাহলে কিন্তু মানুষ খুশি না হয়ে পারে না। কি দারুন রুচি এই রেস্টুরেন্ট এর মালিকের। আমার তো মনে হয় মানুষ এখানে গেলে শুধু এই ডেকোরেশন দেখার জন্যই বেশী বেশী খাবারের অর্ডার দিবে।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ |
শেষ কথা
শেষ কথা
জানিনা আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের কেমন লাগবে। তবে আমি কিন্তু দারুন উপভোগ করেছি প্রতিটি ফটোগ্রাফি । আশা করি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মতামত গুলো দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আসলে এখন কোন অনুষ্ঠান বাড়ি মানে বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেশন। আর এই ডেকোরেশন এত সুন্দর আধুনিক হওয়ার ফলে কিন্তু অল্প সময়ে মানুষ বড় সংখ্যক জায়গা খুব দ্রুত সময় সাজাতে পারছে। আজ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কতগুলো ডেকোরেশন এর ছবি এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয় আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু একটা রেস্টুরেন্টে এত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা থাকলে খুবই ভালো লাগে। আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। প্রত্যেকটা ডেকোরেশন আসলেই সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু সবাই প্রতিনিয়ত নিজের যোগ্যতাকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আপনি কিন্তু দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। এরকম সুন্দর ডেকোরেশন দেখলে তো সত্যি অনেক ভালো লাগে। মুগ্ধ হলাম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আপু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যাইহোক আপু মোবাইল হারিয়ে গেলেও গুগুল ড্রাইভে ফটোগুলো রয়ে গেল আপনার। আজকে আপনি খুব চমৎকার কিছু ডেকোরেশনের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ডেকোরেশনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এরকম অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ একই সাথে এখানে ডেকোরেশনগুলো যেরকম সুন্দর হয়েছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে তার সৌন্দর্য আরো অনেকটাই বেশি দেখা যাচ্ছে৷
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার রেস্টুরেন্টের নজর কারা ডেকোরেশনের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মধ্যে এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট আমি তো এখনো দেখি নাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো ভালো লেগেছে। একদিন তো অবশ্যই যেতে হয়। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।