জেনারেল রাইটিং- বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে | | written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালোই আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে মানসিক ভাবে তেমন ভালো নেই।ব্যস্ত জীবনে অতিরিক্ত কাজের প্রেসার যেন মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার উপর চারদিকের যে অবস্থা তাতে তো ভালো থাকাটাই বেশ মুশকিল। তারপরও সারাদিনের ব্যস্ততার পরও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে আমাদের চারপাশে প্রতিদিন এত সব ঘটনা ঘটে যে সে গুলো নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যাই। আমরা যে নিজেদের কে মাঝে মাঝে কত বড় মাপের স্থানে নিয়ে যাই সেটা আমরা নিজেরাও জানি না। আর আজ আমি আপনাদের সাথে সেই বিষয়টি নিয়েই কিছু লেখার চেষ্টা করছি।
বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে
বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে
Banner credit --@maksudakawsar
আমরা সামাজিক জীবন। আর সমাজ ছাড়া আমরা একেবারেই চলতে পারি না। পারি না নিজেদের কে বন্দী করে ঘরে ভিতরে রেখে দিতে। কিন্তু এই সমাজেই আমার নানা রকমের মানুষের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ। ভালো আর মন্দ সব রকমের মানুষের সাথেই আমাদের কে চলতে হয়। তবে সব মানুষের মানসিকতা তো আর এক হয় না। আর এই মানসিকতা কিন্তু একটি পারিবারিক সম্পদ। যে যেমন পরিবেশে মানুষ হবে সে সেই পরিবেশের আচার ব্যবহারই আয়ত্ব করে নিবে। আর এটাই বাস্তব। তবে ভালো মন্দ যাই হোক না কেন আমাদের কে কিন্তু সমাজের এমন সব মানুষের সাথেই কাধেঁ কাধঁ দিয়ে চলতে হয়। হাত বাড়িয়ে দিতে হয় তাদের বিপদে।
আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের দৃষ্টি ভঙ্গিই থাকে তার চারপাশের মানুষ গুলো কে ছোট করে দেখা। এ ধরনের লোক গুলো তাদের চারপাশের মানুষ গুলো কে সব সময় আন্ডারষ্টিমিট করে থাকে। তার পাশের মানুষটি যতই শিক্ষিত বা মেধাবী হোক না কেন, সেই বিষয়টি সে পাত্তাই দিতে চায় না। কি সততা, কি মানবিক অথবা ধনী। কিছুই যেন তার চোখে পড়ে না। সেই মানুষটি শুধু নিজেকে বড় করে দেখে এবং নিজেকে সবার সামনে বড় বলে জাহির করতেই উস্তাদ। এ ধরনের মানুষ গুলোর মধ্যে সব সময় একটি আত্ম অহংকার কাজ করে। আর এই আত্ম অহংকারের জন্যই সে কখনও তার আশে পাশের মানুষ গুলো কে বড় করে দেখতে পারে না।
সমাজের মধ্যে এমন কিছু কাজ থাকে যে কাজ গুলো দশে মিলে করলে খুব সহজেই সমাধান হয়ে যায়। অথচ এ সকল অহংকারী মানুষ গুলো কে সে সমস্ত কাজে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। হয়তো সমাজের সবাই ভাবে যে দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। কিন্তু আত্ন অহংকারী মানুষ গুলো এমন কথায় বিশ্বাসী নয়। তারা মনে করে নীচু মানুষগুলোর সাথে কাজ করে নিজেকে ছোট করে কি লাভ? আর এরা সব সময় নিজেকেই সবার চেয়ে বড় মনে করে। এমন মানুষ আবার এমনও ভাবে যে তাকে ছাড়া চারপাশের মানুষগুলো অচল। কিন্তু আসলে কি তাই? না তাই না । এমন লোক গুলো সমাজের সবার কাছেই থাকে করুনার পাত্র মাত্র। এদের কে মানুষ কখনও সম্মান বা শ্রদ্ধার চোখে দেখে না।
কিন্তু আমরা যদি বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষগুলোর জীবনের দিকে লক্ষ্য করি, তাহলে আমরা কি দেখবো? আমরা দেখবো যে পৃথিবীতে এমন হাজারও উদাহরণ আছে যে একমাত্র নিজেকে মানুষের চোখে ছোট করেই তারা তাদের জীবনে সাফল্যতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা, শেখ সাদী, কাজী নজরুল ইসলাম সহ এমন হাজারও উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে। যারা বেশ ছোট ছোট কাজ করেও আজ পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা এবংশ্রেষ্ঠ।
তবে কেউ যদি নিজেকে সম্মানের জায়গায় দেখতে চায়, কেউ যদি নিজেকে বড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাহলে কিন্তু তাকে অবশ্যই নিজের ভিতরের শত অহংকার কে মুছে ফেলতে হবে। মিশে যেতে হবে মাটির মানুষ হয়ে সমাজের অসহায় মানুষগুলোর সাথে। বিলিয়ে দিতে হবে নিজের জ্ঞান আর বুদ্ধিকে সবার মাঝে। তাহলেই কিন্তু সে সবার চোখে সম্মান এবং শ্রদ্ধার পাত্র হতে পারবে। আর তখনই সবার চোখে সে বড় হিসাবে গন্য হবে। সুতরাং বড় হতে চাইলে নিজেক অবশ্যই ছোট হিসাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে হবে।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে নিজেকে সেরা এবং শ্রেষ্ঠ হিসাবে দেখে কোন লাভ নেই। যদি না সমাজের মানুষ কাউকে সম্মানের চোখে না দেখে। কারন সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান দিতে জানতে হয়।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
কথায় আছে লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কিন্তু প্রতিটি সমাজে এমন কিছু মহা পন্ডিত রয়েছে, তারা নিজেদেরকে অনেক বড় মনে করে। তাদের সামনে কেউ পাত্তা পায় না। সেসব মানুষদের মনে অহংকার এমনভাবে বাসা বাঁধে যে,তারা দিনদিন আরও অহংকারী হয়ে উঠে। কিন্তু দিনশেষে সেসব মানুষেরা সমাজের কোনো উপকারেই আসে না। লোকজন তাদেরকে মন থেকে একেবারেই পছন্দ করে না। যারা প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ, তারা সমাজের সব শ্রেণীর মানুষদের সাথে মিশে। আর তারাই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর এবং সাবলীল একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া্। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চিরন্তন সত্যি কথা আপু বড় হতে হলে আগে ছোট হতে হয়।এক লাফে কখনও গাছে উঠা যায় না।তাই আমাদের উচিত ছোট থেকে বড় হওয়া।নিজেকে বড় ভাবলেই বড় হওয়া যায় না।মানুষ যদি বড় না বলে।খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি রাইটিং লিখেছেন। ছোটবেলায় এরকম একটা জেনারেল রাইটিং পড়া হয়েছিল। আসলেই মানুষ একেবারে ছোট থেকে কখনোই বড় পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারবেনা৷ ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে৷ নিজেকে নিজে বড় বললে সে কখনোই বড় হতে পারে না৷ সব সময় নিজেকে ছোট করে দেখা উচিত৷ তাহলে একসময় বড় পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারবে। তখন মানুষরাই বলবে সে বড় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷
বেশ সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।