জেনারেল পোস্ট- নিজের মত বাঁচতে শিখুন || written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সন্ধ্যা প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আশা করবো আমার পরিবারের সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আজ কদিন যাবৎ কিছুটা সুস্থ। তবে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারিনি। পৃথিবী বিচিত্র, নাকি্ এখানকার মানুষ বিচিত্র? মাঝে মাঝে ভেবে অস্থির হয়ে যাই। তবে এই কথা সত্য যে এই পৃথিবীর মানুষ গুলো কে খুশি করাটা বেশ মুশকিল। কে যে কিসে তুষ্ট হবে সেটা কিন্তু বোঝার কোন উপায় নেই। আজকাল মানুষের কাছে মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। বন্ধুরা আজও সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগটি। আশা করি আমার আজকের পোস্ট পড়ে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
আজকাল তো সমাজের অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে গেছে । স্বার্থ ছাড়া যেন কেউ এক পাও এগোতে চায় না। সবাই কেন জানি নিজের স্বার্থ টাই বেশী বুঝে। অন্যের ভালো দেখলে সবার শুধু গায়ে বাজে। কেউ যেন কারো ভালো সহ্য করতে চায় না। আর এ জন্যই আমাদের কে নিজেকে নিয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। অন্যের স্বার্থের খেলায় নিজেকে বলিদান না দিয়ে নিজের জন্য এতটুকু হলেও ভাবা যে আমাদের বড্ড দরকার। তা না হলে নিজের বিপদের সময়ে নিজেকেই পথ খুঁজে বের করার জন্য হিমশিম খেতে হবে।
আমি বেকার আমার কোন অর্থ নেই। কিন্তু আমি যদি আজ শিক্ষিত বেকার হয়ে কোন ছোট কাজ করি তাহলে সমাজের মানুষের মুখে মুখে হাজারও কথা শুনা যাবে। অথচ বেকার অবস্থায় কিন্তু কেউ আমাকে বা আপনাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আসেন না। সে দিন দেখলাম একজন শিক্ষিত ছেলে রাইড শেয়ার করছে। তার মুখেই শোনা এ নিয়ে তার আত্নীয় স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশী মানুষের মুখে নানা রকম কথা শুনতে হয়। কিন্তু কেন শুনতে হবে? তারা তো আর সেই ছেলের কোন কর্মের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। তাই আমি মনে করি যে যা বলে বলুক গিয়ে। সেগুলোকে পিছনে ফেলে নিজেকে নিয়ে বাচঁতে হবে।
যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষন আশ। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে যতক্ষন পকেটে টাকা থাকে বা নিজের ক্ষমতা থাকে ততক্ষন চারপাশে মৌমাছির আকাল পড়ে না। আসলে নিজের মাথায় তেল থাকলে সবাই একটু করে তেল দেওয়ার চেষ্টা করে। আর যদি নিজের অর্থ বা ক্ষমতা না থাকে তখন দেখা যায় সেই সব মানুষের চেহারা। যারা এক সময়ে তেলের বাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো পায়ে তেল মাখার জন্য তারা আজ ফিরেও তাকায় না। তাই তো বাচঁতে হলে নিজের জন্য বাচাঁ দরকার।ঐ যে কথায় বলে না সময়ে না নোয়ালে বাশঁ, পাকলে করে টুসটাস। এই আর কি। তাই নিজের জন্য নিজেকে বাচঁতে হবে।
বৃদ্ধ বয়সে সব অর্থ বিত্ত আর সম্পত্তি সন্তানদের দিয়ে নিজে নিঃস্ব হয়ে বসে থাকলে দেখা যায় যে সেই সন্তানরাই এক সময়ে বৃদ্ধ পিতামাতাকে বোঝা মনে করে। এক সময়ে সন্তানদের কাছে মাথা নত করে বেচেঁ থাকতে হয় সেই সমস্ত বাবা মা কে। আর যদি সময় থাকতে পিতা মাতা নিজেদের জন্য কিছু করে রাখে তাহলে আর বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে বোঝা হয়ে থাকতে হয় না। তাই তো কে কি ভাবলো আর না ভাবলো সেটা পাত্তা না দিয়ে সন্তান মানুষ করার পাশাপাশি নিজেদের কে নিয়েও কিছু ভাবা প্রয়োজন। আর এটাই হলো নিজের জন্য বাচঁতে শেখা।
নিজের অস্থিত্ব কে বিলিন করে দিয়ে অন্য মানুষ কি ভাবলো এই ধারনা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমার বা আপনার যা ভালো লাগে সেই ভাবেই চলা উচিত। পাশে লোকে কিছু বলে এই প্রবাদ বাক্য কে আকঁড়ে ধরে জীবনের ভালো ভালো সুযোগগুলো কে হাত ছাড়া করলে এক সময়ে দেখা যাবে যে নিজের জন্য আর কোন পথ খোঁজে পাওয়া যাবে না। তাই নিজের যা ভালো লাগে তাই করুন। নিজের মন আর মেধা কে প্রাধান্য দিতে শিখুন। দেখবেন এক সময়ে পিছনে কথা বলা মানুষ গুলোর ভিড় কমে যাবে। অন্যরা কি ভাবলো, অন্যরা কি দেখলো আর অন্যরা কি করলো এই ভাবনা ভাবাটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই আজ হতেই নিজেকে নিয়ে বাচুঁন।
ভেবে দেখুন নিজের যোগ্যতা না থাকলে সমাজের যোগ্য লোক গুলোর পাশে কিন্তু আপনি বেমানান। যোগ্যতার বিচারে আপনি কখনও তাদের কাতারে নিজেকে নিয়ে দাঁড় করাতে পারবেন না। আর নিজে যদি কারো সমানে সমান না হন তাহলে তো তাদের কাছে কোন পাত্তাই পাবেন না। আর সবাই তো পৃথিবীতে সব কিছু পায় না। তাই চারপাশের কথা না ভেবে নিজেকে নিয়েই ভাবটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি? নিজের সময় কে প্রাধান্য দিয়ে, নিজের কর্ম কে প্রাধান্য দিয়ে যদি নিজের জন্য যদি ভালো কিছু পাওয়া যায় তাহলে খারাপ কি? না আমি কিন্তু একবারও বলছি না অন্যের উপকার করবেন না। অবশ্যই অন্যের বিপদে নিজেকে উজার করে দিতে হবে। কিন্তু তার মাঝেও কিন্তু আমাদের নিজেদের জন্যও আমাদের কে বাচঁতে হবে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলেছেন এই সমাজে মানুষগুলো স্বার্থ ছাড়া কিছুই চিনেনা। মানুষ নিজের স্বার্থ ছাড়া এক পাও সামনে যায় না। এবং আপনি যদি প্রতিষ্ঠিত না হোন তাহলে কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানো আপনাকে একদম শোভা পায় না। তাই নিজের মতো করে বাঁচতে শিখুন কথাটি একদম বাস্তব। খুব সুন্দর করে শিক্ষনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ অনেক সুন্দর ভাবে একটি মন্তব্য করার জন্য।
এখনকার বেশিরভাগ মানুষ প্রচন্ড স্বার্থপর হয়ে গিয়েছে। কেউ বিপদে পরলে কেউ এগিয়ে যায় না, উল্টো কোনো সুযোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করে। একটু ভালোভাবে চলাফেরা করলে সমালোচনা করে। আবার কোনো সুযোগ পেলে কটু কথা শোনায়। সমাজের কেউ না খেয়ে থাকলে, সেই মানুষগুলো কাউকে একবেলা খাবার দিবে না। আমি মনে করি বর্তমানে ভালোভাবে বাঁচতে হলে কিছুটা স্বার্থপর হতে হবে আমাদেরকেও। কারো কথায় কান না দেওয়া উত্তম। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই বাস্তবমুখী একটি জেনারেল রাইটিং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটি কথাই চরম সত্য। আসলে আমরা দিন দিন এতটাই স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি যে নিজের স্বার্থটা ছাড়া কোন কিছুই বুঝতে চাই না। কিন্তু এটা আসলে আমাদের কারো করা উচিত নয়। আর এটাও আপু আপনি ঠিকই বলেছেন যখন আমরা কোন চাকরি না পাই বা বেকার থাকি তখন কিন্তু আমাদের আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিবেশী এগিয়ে আসে না কিন্তু যখন একটা শিক্ষিত ছেলে কোন একটা ছোট কাজ করে সেটাকে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে । কিন্তু আমাদের সকলেরই বোঝা উচিত যে প্রত্যেককেই ছোট থেকে একসময় বড় হতে হয় আর যে এই ছোট থেকে বড় হতে শিখবে সেই তা প্রকৃত সাফল্যটা ফিরে পাবে। চমৎকার লিখেছেন আপু পড়ে বেশ ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু চমৎকার লিখেছি কিনা সেটা জানিনা। তবে এতটুকু বলতে পারি কিছু বাস্তব কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Tweet