লাইফ স্টাইল- ওরিয়েন্টেশনের দায়িত্ব যখন টেনশনের কারন ||lifestyle by @maksudakawsar ||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

ওরিয়েন্টেশনের দায়িত্ব যখন টেনশনের কারন

image.png

শুভ সকাল প্রাণের প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সেই সাথে অবিরাম ভালোবাসা সকলের প্রতি। সকলের সুস্থতা এবং সুন্দর জীবন কামনা করেই আজ আবার শুরু করতে যাচ্ছি আমার আজকের ব্লগটি। কথায় বলে না ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আবার আমি যতই ঝামেলা কে দূরে ঠেলে দেই না কেন, ঝামেলা কিন্তু আমায় ছাড়ে না। আর তাই তো নতুন অফিসে আসার পরও হাজারও ঝামেলায় নিজেকে ডুবিয়ে দিতে হচ্ছে। ঐ যে সব জানতার শমসের হলে যা হয় আর কি।

এই তো কয়েক দিন আগে আমাদের মেডিকেল কলেজে হয়ে গেল বিডিএস পরীক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান। আর অফিস থেকে দায়িত্ব দেওয়া হলো আমাকে সেই প্রোগ্রামের দায়িত্ব পালন করার। কি আর করার। কোমরে কাপড় বেঁধে নেমে যেতে হলো। কারন প্রোগ্রামে কোন ভুল হলে কিন্তু কোন ক্ষমা নেই। শাস্তি অবধারিত। সারাটি জীবন শুনে আসলাম সরকারি চাকরি নাকি আরামের। কিন্তু আমার আর আরাম হলো কই? মনে হয় আমার কপাল টা এমন করেই পাঠানো হয়েছে।

image.png

image.png

তো দায়িত্ব যখন পেলাম সেটা তো সুন্দর করে পালন করতেই হবে, তাই না? তাই দুটো দিন বেশ দৌড়ঝাঁপ করে প্রোগ্রামের সব আয়োজন করে নিলাম। মানে লাইটিং করানো, কলেজ অডিটোরিয়ামের বাহিরে সাজানো, ফুল আনা সহ প্রোগ্রামের যাবতীয় সব প্রোগ্রাম নিজের হাতেই করতে হলো। আর অন্যান্য কাজ তো রয়েছেই। তারপর দেখতে দেখতে চলে আসলো সেই মহেন্দ্রক্ষন। মানে ওরিয়েন্টেশনের দিন। আমার তো সারাটি দিন শুধু টেনশনের ম্যে দিয়েই সময় গেল। কি জানি কি হয়।

image.png

image.png

image.png

সেদিন বেশ সকাল সকাল উঠে চলে আসলাম অফিসে। তারপর অডিটোরিয়ামে গেলাম পুরো টিম নিয়ে। বেশ আস্তে আস্তে অডিটোরিয়াম কে সাজিয়ে নিলাম। যেখানে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বসবে সেই জায়গা, প্রজেক্টর লাগানো, বক্তব্য দেওয়ার জায়গা সহ সব কিছু বেশ ভালো করে তদারকি করতে হলো আমায়। কারন কোন কিছুতেই ভুল থাকা যাবে না। আমিও চেষ্টা করলাম যে সব গুলো কাজ সুন্দর করে গুছিয়ে করতে। তবে অনেক ভয়ে ছিলাম সেদিন। বার বার সব জায়গা গুলো চেক করে নিচ্ছিলাম।

image.png

image.png

যথাসময়ে নতুন ছাত্রছাত্রীরা আসা শুরু করে দিলেন। আর তাদের হাতে নতুন এপ্রোন এবং ক্যারিকুলাম তুলে দেওয়া হলে তারা স্ব স্বা স্থানে যেয়ে বসলেন। এরই মধ্যে অতিথি এবং প্রধান অতিথিরা তাদের আসন গ্রহণ করলেন। তারপর পবিত্র কোনআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু করা হলো সেদিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। এরপর কলেজের পুরাতন ছাত্রীরা নতুনদের বরণ করে নিলেন ফুল দিয়ে। এরপর নতুন পুরাতন ছাত্রছাত্রীদের অভিমত শোনা হলো। এরপর প্রধান অতিথি নতুন ছাত্রছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন।

image.png

image.png

শপথ বাক্য পাঠ করানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল সেদিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। কিন্তু শেষ হলো না নতুনদের আনন্দের জোয়ার। বেশ অনেক সময় ধরে তারা নিজেদের মত আনন্দ আর উদ্দীপনায় ভরে রাখলেন সমস্ত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। সাথে ছিল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাকরা। তাদের এই আনন্দ আর উদ্দীপনা দেখে তো আমার ও বেশ আনন্দ হতে লাগলো। তারপর আমিও কিছুটা সময় বসে তাদের সাথে উপভোগ করতে লাগলাম।

image.png

image.png

তবে ওরিয়েণ্টেশন অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে কি হবে? আমার তো তখন বুক কাপছে ভয়ে ভয়ে। কি করবো বুঝতে পারছি না। কেমন হলো প্রোগ্রামটি? কোথাও কোন ভুল হলো নাকি? ইত্যাদি ইত্যাদি। তো দুপুরে সচিব স্যার তার রুমে ডাকলো। ভয়ে তো গলা শুধু শুকাচ্ছে। তারপর সচিব স্যার খুব সুন্দর করে একটি হাসি দিয়ে আমাকে ধন্যবাদ দিল। বললো যে বেশ দারুন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন। আর এভাবেই আমাকে আগামী প্রোগ্রাম গুলোর দায়িত্বও পালন করতে বললেন। তখন কিন্তু মনটাও ভরে গেল অনেক। সত্যি বলতে কোন কাজ করে যদি তার সফলতা পাওয়া যায় তার চেয়ে শান্তি আর কিছুতেই নেই।

image.png

পোস্টের বিবরন
পোস্টের ধরনলাইফ স্টাইল
ডিভাইসVIVO-Y22S
ফটোগ্রাফার@maksudakawsar
স্থানমোহাম্মদপুর , ঢাকা, বাংলাদেশ

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে । সে পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকবেন। আর কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

image.png

আমার নিজের কিছু কথা

384549715_171479776007493_3210441826564088767_n.jpg
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। পেশাগত জীবনে আমি একজন চাকরি জীবি এবং গৃহীনি। সেই ছেলেবেলা হতেই আমি গল্প আর কবিতা লেখার চেষ্টা করে আসছি। অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করা আমার যেমন সখ, তেমনি ভাবে নিজেকে কিছুটা স্বচছতার মধ্যে পরিচালিত করাও আমার প্রতিজ্ঞা। সেই ছেলেবেলা হতেই গান বেশ ভালোবাসি। গান শুনতে ও গাইতে আমি বেশ পছন্দ করি। সেই সাথে পছন্দ করি গল্প কবিতা লিখতে। আমি ভিডিও এডিটিং সহ অনলাইন প্লাটফর্মের নানাবিধ কাজ করতে পারি। মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে গান করতে বা গান রেকডিং করা আমার এক সময়ের বেশ জনপ্রিয় সখগুলোর একটি। তবে ইচ্ছে আছে নিজের দক্ষতা কে আরও বেশী বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কাজ নিজের আয়ত্বে আনা। অবশ্য আল্লাহ যদি চান। ভালোবাসি প্রাণপ্রিয় মাকে। ‍যিনি মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে চলে গেছেন ওপারে। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো আমার প্রাণপিয় মাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে না পারা। সবার কাছে আমার জান্নাতি মায়ের জন্য দোয়া চাই ।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

image.png

image.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু দায়িত্ব পাওয়ার পর তা সুন্দরভাবে পালনের পর যখন স্বিকৃতি দেওয়া হয় তখন বেশ আনন্দ হয়। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনাদের আয়োজনটি। বেশ কস্ট করেছেন অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য এবং প্রশংসীত হয়েছেন।এভাবেই এগিয়ে যান এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

দায়িত্ব পাওয়ার থেকে পালন করাটা একটু কষ্টকর।আপনি আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন আপনার জায়গা থেকে সবটুকু দিয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য।সবশেষে অনেক সুন্দরভাবে আয়োজনটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।শুভকামনা রইল আপনার জন্য আগামী দিনগুলোতে যেন আপনার আর ভালো কাটে।

 last year (edited)

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এবং সাবলীল একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 79169.45
ETH 3182.99
USDT 1.00
SBD 2.63