ডিজিটাল আর্ট পোস্ট- চাঁদনী রাতে নদীর পাড়ে মা মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য ||original ART by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
পৃথিবীতে কার যে কখন কি হয় সেটা কেউ বলতে পারবে না। মানুষ এই ভালো তো এই খারাপ। অসুস্থ্যতা কখনও বলে কয়ে আসে না। এই যেমন কয়েকদিন হলো বেশ অসুস্থ্য আমি। আজ এটা তো কাল ওটা। আর শরীর যেন চলে না। গত দুদিন যাবৎ বেশ জ্বরে ভুগছি আমি। এই অসুস্থতাই কিন্তু মানুষ কে বুঝিয়ে দেয় যে কে আপন আর কে পর।আর এই অসুস্থ্যতাই কিন্তু আমাদের কে বুঝিয়ে দেয় যে সুস্থতার মূল্য কত। তবে আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠি।
শরীরে যতই অসুস্থতা বাসা বাধুক না কেন। আমি তো আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আর সেই অসুস্থ দেহ নিয়েই চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে একটি ডিজিটাল আর্ট নিয়ে। বেশ কষ্ট হয়েছে আর্টটি করতে। কিন্তু কি আর করার। কাজ তো করতেই হবে। আপনাদের যদি আজকের আর্টটি ভালো লাগে তাহলেই আমি স্বার্থক।তাহলে চলুন দেখে আসি অসুস্থ দেহ নিয়ে আমার করা আজকের আর্ট।
ধাপ সমূহ
ধাপ সমূহ
ধাপ-১
ধাপ-১
প্রথমে একটি ৯৭৫*৫৩০ সাইজের একটি সাদা পেইজ নিতে হবে।
ধাপ-২
ধাপ-২
সাদা পেইজটিতে দুই কালারের সেট করি।
ধাপ-৩
ধাপ-৩
এবার পুরো পেইজের রং গুলো কে নির্ধারিত টুল দিয়ে মিক্সড করে নিতে হবে।
ধাপ-৪
ধাপ-৪
এবার পেইজটির নীচে আরও একটু কালার করে দুটি অংশ করে নিতে হবে।
ধাপ-৫
ধাপ-৫
এবার পেইজটির মধ্যে চাঁদনী রাত এবং গাছের ডাল অঙ্কন করে দিতে হবে।
ধাপ-৬
ধাপ-৬
এবার গাছের মধ্যে আরও কিছু ডাল অঙ্কন করে দিতে হবে।
ধাপ-৭
ধাপ-৭
এবার পেইজটির মধ্যে নদীর পাড় অঙ্কন করে দিতে হবে।
ধাপ-৮
ধাপ-৮
এবার গাছের মধ্যে দোলনা বানিয়ে তারমধ্যে মা আর মেয়ে অঙ্কন করে দিতে হবে। এরপর আকাশের কিছু তারা এবং গাছের কিছু পাতার অংশ অঙ্কন করে দিতে হবে।
ধাপ-৯
ধাপ-৯
এবার পুরো গাছের ডালে পাতা অঙ্কন করে দিয়ে ডিজিটাল আর্টটি শেষ করতে হবে।
শেষ ধাপ
শেষ ধাপ
এখন পেইজের এক কোনায় একটি স্বাক্ষর করে দিলেই হয়ে যাবে ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে চাঁদনী রাতে গ্রামের দৃশ্য আর্ট।
উপস্থাপনা
উপস্থাপনা
যে কোন আর্টই যদি সুন্দর করে উপস্থাপনা করা যায় তাহলে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। আর আপনাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্যই আমার আজকের এই ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে চাঁদনী রাতে নদীর পাড়ে মা মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য আর্ট।
শেষ কথা
শেষ কথা
অসুস্থ্য দেহে নিয়ে যখন চেষ্টা করলাম আর্টটি করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। জানিনা কেমন হলো। ভালো হলেই আমার স্বার্থকতা। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
প্রতিনিয়ত আপনার ডিজিটাল আর্ট গুলি আমার ভীষণ ভালো লাগে। এই কাজগুলো করতে বেশ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আজকে চাঁদনী রাতে নদীর পাড়ে মা মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে ভীষণ দারুণ লাগতেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। কালার কম্বিনেশন টি অত্যন্ত সুন্দর ছিল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
দোয়া করবেন ভাইয়া আরও যেন সুন্দর কিছু উপহার দিতে পারি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ডিজিটাল আর্ট গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি চাঁদনী রাতে দোলনায় মা ও মেয়ের দোল খাওয়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যের খুবই সুন্দর একটি আর্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেকদিন পর ডিজিটাল আর্ট পোস্ট দেখতে পেলাম। আপনি খুব সুন্দর করে চাঁদনী রাতের দৃশ্য ডিজিটাল অঙ্কনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। যেখানে মা-মেয়ে চাঁদনী রাতে দোল খাচ্ছে সে বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ধরনের ক্রিয়েটিভিটি মূলক কাজগুলো দেখলে সত্যিই ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু আশা করছি খুব দ্রুতই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। চাঁদনী রাতে মা ও মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক ভালো লাগছে আপু। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি আজকে চাঁদনী রাতে মা ও মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য ডিজিটাল আর্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল আর্ট গুলো দেখতে অবশ্যই অনেক সুন্দর লাগে। এই সুন্দর দৃশ্যটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমি।
ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর করে মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ঠিক বলেছেন আপু অসুস্থ থাকলে বোঝা যায় কে আপন আর কে পর। তাছাড়া অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থ থাকা কতটা জরুরী। যাই হোক আপনি এত অসুস্থতার মধ্যেও বেশ চমৎকার একটি ডিজিটাল আর্ট শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই ডিজিটাল আর্ট দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে এই আর্ট সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গাছের ডাল দেওয়ার জন্য আর্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদনী রাতে মা মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার খুব সুন্দর দৃশ্যের ডিজিটাল আর্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
Tweet
সুস্থ হচ্ছে আল্লাহর বড় নেয়ামত। আপনার সুস্থতা কামনা করি আপু। ডিজিটাল আর্ট গুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে চাঁদনী রাতে মা ও মেয়ের দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য আর্ট করেছেন। তবে আপনার অসাধারণ আর্ট আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল আর্ট করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।