জেনারেল রাইটিং- এক টুকরা মাংস দিবেন? || written by@maksudakar ||

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

ঈদ মোবারক। কেমন আছেন সবাই? আশা করি বেশ ভালো আছেন। আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো আছি। আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশের ঢাকা হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার লেখার দিয়ে কমিউনিটির বন্ধুদের কে মুগ্ধ করার জন্য। হয়তো বা আমি আপনাদের মত এত ভালো করে লিখতে পারি না। পারি না আমার মনের ভাষা গুলো কে আপনাদের সামনে সঠিক ভাবে লিখার যাদুতে উপস্থাপন করতে। তবুও চেষ্টা করি। তাই তো আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের সামনে আরও একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আশা করি আমার আজকের জেনারেল রাইটিংটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

ত্যাগের মহিমায় ভাসছে সমগ্র পৃথিবী। সেই যে পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এর ঘটনার পর হতে মহান আল্লাহ্ প্রতিটি সার্মবান মুসলমানের জন্য কোরবানী করা ওয়াজিব করেছেন, সেই থেকেই মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো প্রতিবছর একই ভাবে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী কোরবানী করে যাচ্ছে। আসলে সত্যি বলতে আমরা কি পারছি সত্যিকারের কোরবানী করতে?

নদী পাড়ের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও গ্রাফি (23).png

CANVA দিয়ে তৈরি

এক টুকরা মাংস দিবেন?

সমাজের সামর্থবান মানুষ গুলো যখন বছরের এই দিনটিতে পশু কোরবানী করে , তখন সামাজের নীচু শ্রেণীর মানুষ গুলো এক টুকরো মাংসের জন্য এ দোয়ার হতে ও দোয়ার ঘুরে বেড়ায়। যদি তাদের ভাগ্যে এক টুকবো মাংস জোটে। আর সেই মাংস নিয়ে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ আনন্দ করে তাদের তৃপ্তি মিটায়। আবার সমাজে এমন অনেক নিচু তলার মানুষ আছে যারা কিনা লজ্জায় মানুষের কাছে কিছু চাইতে পারে না। দিন শেষে দেখা যায় তাদের ঘরের চুলায় কোন মাংসের পাতিলই তারা চড়াতে পারে না।

এই তো আজ যখন নিজ হাতে অসহায়দের জন্য কিছু তোবারক বিলাতে গেলাম তখনই চোখে পড়লো একজন অসহায় মানুষ সামনে দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। আমাদের দিকে তার কোন নজর নাই। কিন্তু আমরা যখন ভদ্রলোক কে ডাকলাম তখন সে লজ্জায় বললো কেউ তো আমাকে কিছু দেয়নি। আর এতটুকু নিয়ে কি করবো। কথাটি শুনে বেশ খারাপ লাগলো মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে ভাবলাম তাহলে তো সমাজে এর মত আরও অনেক মানুষ আছে যারা কিনা এমন ঈদের সময়ে তাদের আত্মসম্মানের জন্য না খেয়ে দিন কাটায়।

আবার দেখলাম এক টুকরো মাংসের জন্য ঘরের ১ বছরের বাচ্চাকে বের করে নিয়ে এসেছে কোন কোন মা। সেই শিশু বাচ্চাটি যখন তার মায়া মায়া দুটো হাত বাড়িয়ে দিলো তখন কেন জানি বুকের ভিতর চাপ দিয়ে উঠলো। বেশ কষ্ট লাগলো। কি জীবন তাদের। একটুরো মাংসের জন্য তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে দিন রাত। কিন্তু এমন কি হওয়ার কথা? না আমার তো মনে হয় এটা তাদের অধিকার। তাদের পাওনা থেকে আমরা কি তাদের কে বঞ্চিত করছি না।

এ যেমন সেই যাকাতের মত ঘটনা। সমাজে নিজেকে বড় করার জন্য লাইন ধরিয়ে শাড়ী আর লুঙ্গী বিতরন করা উচ্চতলার মানুষ গুলোই কোরবানীর ঈদে মাংসের পরিবর্তে হাড্ডি দিতে পছন্দ করে। আর সেই একটুকরো হাড্ডির জন্য কত মারামারি আর পারাপারি। আবার বন্ধ থাকা দরজাগুলোতে চিৎকার করে বলা আম্মা একটুকরো মাংস দিবেন?

image.png

শেষ কথা

সত্যি এমন ‍দৃশ্য গুলো দেখলে কেন যে কলিজায় মায়া লাগে সেটাই বুঝি না। মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দিক। আর কেউ কাউকে যেন একটুকরো মাংসের পরিবর্তে হাড্ডি নিয়ে বাড়িতে যেতে না হয়। আসুন আমরা জীবনটাকে তেমন করেই পরিচালনা করি।

image.png

ধন্যবাদ সকলকে
@maksudakawsar

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

image.png

Screenshot_1.png

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 64467.84
ETH 3492.64
USDT 1.00
SBD 2.54