ট্রাভেল পোস্ট- "অপরূপ রূপ বৈচিত্র্যে সাজানো জাদুঘরের বাহিরের প্রকৃতি " II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আমার প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও বেশ আছি আলহামদুলিল্লাহ্। আজকাল তো সুস্থ থাকাটাই বড় নিয়ামত। আসলে জীবন যে কি করে পার হয়ে যাচেছ সেটাই তো বুঝতে পারছি না। অনুভব করতে পারছি না সময় কেও। কিভাবে যে কেটে যাচেছ সময়? শুধু দৌড়ের উপর দিয়ে কেটে যাচেছ মূহূর্ত গুলো। তাই বলে কি কাজ তো আর থামিয়ে রাখা যায় না।

সেই গত রাত থেকেই ভাবছি কি করবো ? কি পোস্ট করবো? কারন এত এত ব্যাস্ততার মাঝে তো নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়ই পাচ্ছি না। আর সেখানে আবার আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করা, কমেন্ট করা আর একটিভ থাকা। সব মিলিয়েই তো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। অবশেষে মোবাইলের গ্যালারী ঘেটে ঘেটে দেখলাম কিছুদিন আগে সোনারগাওঁ জাদুঘরে ঘুরে আসার কিছু স্মৃতি রয়েগেছে। ভাবলাম আর দেরী কেন লিখে ফেলি একটি ব্লগ। আর তাই তো এখন বসে গেলাম সেই স্মৃতির কিছুটা অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অবশ্য এর আগেও সোনারগাওঁ ঘুরে আসার কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়েছিল।

অপরূপ রূপ বৈচিত্র্যে সাজানো
জাদুঘরের বাহিরের প্রকৃতি

নদী পাড়ের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও গ্রাফি.png

Banner credit -@maksudakawsar
Source

image.png

image.png

বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম সোনারগাঁ জাদুঘর ঘুরে দেখতে। অবশ্য এই সম্পর্কে আমি ইতিমধ্যে আরও একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।সেদিন জাদুঘরের বাহিরের যে প্রকৃতি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম তার কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। জাদুঘরে ঢোকার সাথে সাথেই চোখে পড়ে কিছু সবুজ অরণ্য। যেখানে ডানা মেলে দৌড় ঝাপ করে সময় কাটানো যায়। আর এমন সুন্দর সবুজ প্রকৃতি দেখে তো বেশ মুগ্ধ হওয়ারই কথা।

image.png

image.png

জাদুঘরের মধ্যে মুগ্ধ করার মত রয়েছে জমিদার বাড়ির পাশে এক বিশাল ঘাটলা বাধাঁ পুকুর। দলে দলে মানুষ কিছুটা বিশ্রামের জন্য সেই পুকুর পাড়ের ঘাটে এসে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়ায় নিজেকে বিলিন করে দেয়। ছেলেবেলা থেকেই কেন জানি এমন ঘাটলা বাধাঁ পুকুর দেখলে আমার বেশ লোভ হতো একটু বসার জন্য। আর এমন সুযোগ পেয়ে তো আর আর বসে থাকতে পারি না । কিছুটা সময় সেখানে বসে সময় কাটিয়ে ছিলাম সেদিন।

image.png

image.png

পুরানো সেই জমিদার বাড়ী, বিখ্যাত সেই মাটির তৈরি গরুর গাড়ী সব কিছুই যেন জাদুঘরের সৌন্দর্য কে আরও বহু গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। দলে দলে মানুষ এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে প্রকৃতি কে অনুভব করছে। জাদুঘরের ভিতরে এক বিশাল মূর্তি রাখা আছে বিখ্যাত লোকশিল্পের জাদুঘর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের। তাই আমি তার সেই মূর্তিটিকেও ক্যামেরা বন্দী করতে ভুল করিনি।

image.png

image.png

ছেলেবেলায় যে সকল কথা আমরা বইয়ে পড়েছি, সেই সমস্ত বিষয় গুলো যদি আমরা নিজের চোখের সামনে দেখতে পাই তাহলে কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ করে নিজের মধ্যে। সেই ভালো লাগা গুলোই মনের ভিতর আনন্দ আর উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল সেদিন। এতসব গ্রামের ঐতিহ্য চোখের সামনে যদি দেখা যায় তাহলে কি আর আনন্দ না করে থাকা যায়? জাদুঘরের বাহিরের দৃশ্য যদি এত সুন্দর হয় তাহলে এর ভিতরের দৃশ্য কত সুন্দর হতে পারে?

image.png

image.png

প্রাচীন কালের এত নির্দেশন স্বরূপ তৈরি করা জাদুঘরের বাহিরের প্রকৃতি আর দৃশ্য যে এত সুন্দর করে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেটা তো কেউ যদি নিজে না দেখে তাহলে বুঝার কথা নয়। গ্রামের কুঁড়েঘর, ভাস্কর্য, জমিদারি পুকুর, পাকা ঘাটলা, জমিদার বাড়ী আর সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেখতে যদি কারও মনে চায় তাহলে কিন্তু অবশ্যই এত সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসতে ভুল করবেন না।

image.png

image.png

image.png

শেষ কথা

মাঝে মাঝে কারনে বা অকারনে আমাদের ভ্রমনে বের হওয়া উচিত। তাতে করে যেমন মনটা বেশ ভালো লাগে তেমনি করে মনের ভিতর জমা থাকা কষ্ট গুলোও দূর হয়ে যায়। সেই সাথে উপভোগ করা যায় বাংলার অপার সৌন্দর্য।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 5 months ago 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে জাদুঘরটি আসলেই সুন্দর। লোকজ ঐতিহ্যের সমাহারে ভরা জাদুঘরটি। আজ আপনি জাদুঘরের বাহিরের অপরুপ সৌন্দয্য নিয়ে খুব ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। অনেক অগে একবার যাওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে আর যাওয়া হয়নি। একদিন সময় করে আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু,মাঝে মাঝে কারনে বা অকারনে আমাদের ভ্রমনে বের হওয়া উচিত। পোস্টটি শেয়ার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 months ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 5 months ago 

আপনার ভ্রমণ পোষ্ট টি পড়ে আমারো ভীষণ আনন্দ হলো আপু। আপনি কেমন গতবাধা কথা না বলে, বেশ গুছিয়ে নিজের মতো করে বেশ লেখেন কিন্তু। আর আসলেই আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো যেমন গরুর গাড়ি, ছনের ঘর, মাটির ঘর এগুলো আপনার ছবিতে দেখে আমারি তো মন আনন্দে ভরে উঠলো। সামনাসামনি দেখে আপনার তো ভালো লাগবেই! আপনাকে ধন্যবাদ এমন দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

বাহ্ দারুন তো দিদি মনের মাধুরী মিশিয়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 5 months ago 

ভ্রমণ করতে আমিও অনেক ভালোবাসি। সবসময় চেষ্টা করি কোথাও না কোথাও ভ্রমণ করি। আজকে আপনার জাদুঘর ভ্রমণের কিছু মুহুর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই জাদুঘর সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ একইসাথে আপনি খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

জি ভাইয়া চেষ্টা করছি সুন্দর কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57382.38
ETH 3075.07
USDT 1.00
SBD 2.39