ফটোগ্রাফি পোস্ট- সোনারগাঁ জাদুঘরে ঘুরতে যেয়ে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
চারদিকে চলছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে আকাশের রং ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে। কখনও মেঘ বা কখনও বৃষ্টি। আবার কখনও বা মেঘের ফাঁকে উকি মারে এক রাশ রোদের ছোয়াঁ। আজ কিছুদিন যাবৎ আমি কিন্তু একটা কথা ভাবছি। আর তা হলো বর্ষার আকাশের মতই মানুষের মন ক্ষনে ক্ষনে বিভিন্ন রূপ ধারন করে। মানুষের মনও কিন্তু এই রোদ আর এই অন্ধকার । কখনও যে মানুষের মনে বর্ষার মত করে মেঘের আধাঁর নেমে আসে সেটা বলা মুশকিল। আর আমার বেলায় তো ভিন্ন কথা । আমার যখন মন খারাপ হয় বা মনের ভিতর অন্ধকার বাসা বান্ধে তখনই চলে যাই প্রকৃতির কাছে বিচার দিতে। কারন মানুষের কাছে তো আর বিচার দিয়ে লাভ নাই। তাইতো সেদিনি চলে গিয়েছিলাম মন ভালো করার প্রকৃতি মামার কাছে। মামার কিন্তু একটা অদৃশ্য ক্ষমতা আছে মন ভালো করার। যাই হউক সেদিন গিয়েছিলাম সোনারগাঁ আর পানাম নগরী। আর আজ আমি আপনাদের সাথে সোনারগাঁ ঘরে আসার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনারা বেশ মুগ্ধ হবেন।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
প্রাচীন নির্দেশনার নীলাভূমি হলো সোনারগাঁ। সোনারগাঁ এর পথে পথে রয়েছে প্রাচীন নির্দেশনার প্রদর্শন। প্রকৃতির আর এসব প্রাচীন নির্দেশনার কাছে গেলে যেন মনের শত ব্যাকুলতা দূর হয়ে যায়। আর দূর হয়ে যায় দেহের আর মনের শত ক্লান্তি। সেই ছেলেবেলায় পড়েছিলাম এসমস্ত প্রাচীন নির্দেশনার ইতিহাস। কিন্তু কখনও দেখা হয়ে উঠেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাঁকুর তো বলেছেন- 'দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া'। সেই রকম আর কি। তো আজ এসব দেখে দেখে প্রাণের মাঝে কেমন জানি আনন্দ আর উদ্দীপনা হাত ছানি দিয়ে যায়। তো চলেন দেখে আসা যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি।
সেই ছেলেবেলায় কত যে বই পুস্তুকে পড়ে পড়েছি মোঘল আমলের রাজা বাদশা দের কথা। ঘোড়ায় চড়ে চড়ে তাদের যুদ্ধের কথা। আর সোনার গাঁ জাদুঘরে ঢুকেই চোখে পড়লো এমন একটি রাজাবাদশার দৃশ্য। আর দেরী না করে আপনাদের কে দেখানোর জন্য নিয়ে নিলাম মোবাইলে।
এটা নাকি বাদশাহী শাহী মোহল। এখানে নাকি আগের দিনের রাজা বাদশারা থাকতো। কি সুন্দর ঘাট বাধাঁনো মহল। আমরা তো চেয়ে ছিলাম ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু বাপরে জনপ্রতি ১৫০/- টাকা। কিন্তু একা তো আর যাওয়া যায় না। তাই আর গেলাম না । এতো টাকা পাবো কোথায়? থাক নাই বা দেখলাম ভিতর টা। স্টিমের দাম বাড়লে তখন যাবো নে।হি হি হি।
জাদুঘরে ঢোকার মুখে বিশাল এক গরুরগাড়ী কে যেন ঠেলছে এমন একটি ভাস্কর্য মাটি দিয়ে তৈরি করা। আর এই ভাস্কর্য নাকি শিল্প আচার্য জয়নাল আবেদীর এর তৈরি। বেশ সুন্দর করে ঘরে ঘরে সম্পন্ন ভাস্কর্যটি দেখলাম ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করতে কিন্তু বাদ রাখলাম না।
ধীরে ধীরে আমরা সামনের দিকে এগোতে থাকি। যতই সামনে যাচ্ছি ততই নতুন নতুন জিনিস চোখে পড়ছে। এবার চোখে পড়লো আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য। অবশ্য এটা কে তৈরি করেছে সেটা কিন্তু আমার জানা নেই।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখছেন সেটা কিন্তু জাদুঘরের বাহির হতে নেওয়া। আমি অবশ্য এই মসজিদ টি নিয়ে এর আগে আপনাদের সাথে একটি ভ্রমন পোস্ট করেছিলাম। কিন্তু আপনারা যারা সেই পোস্টটি দেখেন নি তাদের জন্য আমার আজকের ফটোগ্রাফি। এই মসজিদটি হলো একটি গায়েবী মসজিদ। সোনারগাঁ জাদুঘরের গোয়ালদি এলাকায় নাকি অনেক বছর আগে এই মসজিদটি আপনি আপনি উছেছিলো।
সোনারগাঁ জাদুঘরে ঢুকার আগে গিয়েছিলাম মামা শ্বশুড়ের বাড়িতে। আর সেখানে যেয়েই তো গাছ ভর্তি কাচাঁ আম দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেল। আমি কি আর ছাড়ি ফটোগ্রাফি তো করলামই সাথে ব্যাগ ভরে কাঁচা আমও নিয়ে নিলাম।
কবুতর হলো শান্তির প্রতিক। আর একঝাকঁ এরকম সাদা কবুতর দেখলে তো এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। কিছুটা আধার দিয়ে তাদের কে দেখার জন্য যখন মামা শ্বশুড় ডাকলো তখনই এই ফটোগ্রাফি করা।
আমার মতো আপনারা কে কে ছেলেবেলায় হাওয়াই মিঠাই খেয়েছেন বলেন তো। আমি হাওয়াই মিঠাই দেখেই তো সেই চলে গেলাম আমার ছেলেবেলায়। কত যে স্কুলে এই হাওয়াই মিঠাই দিয়ে মোছ বানিয়ে খেলেছি। তাই হাওয়াই মিঠাই এর ফটোগ্রাফি করতেও ভুল করলাম না। হি হি হি।
বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে সোনারগাঁ জাদুঘরে ঘুরতে যেয়ে হাতের মোবাইল দিয়ে করা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি। জানার অপেক্ষায় বসে রইলাম।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ |
কথায় আছে আপু মানুষের মন আর আকাশের রং।যাইহোক আপু প্রকৃতির বিচার হলো শ্রেষ্ঠ বিচার।যাইহোক আপু ঘুরতে গিয়ে নিজের মনটাও হালকা করে এসেছেন। বেশ দারুণ সব ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
বেশ সুন্দর বলেছেন তো। মানুষের মন আর আকাশের রং। সব মিলিয়ে একটি দুর্দান্ত মন্তব্য করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1678776229791694850?s=20
আপু ঠিক বলেছেন মন খারাপ হলে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। মন খারাপের সময় সবুজ প্রকৃতিতে ঘোরাঘুরি করলে সত্যি মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। সোনারগাঁও ঘুরাঘুরি করে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু ।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে গরুর গাড়ির ফটোগ্রাফিটি, মনে হচ্ছে সত্যিকারের গরুকে ঠেলছে একটি লোক খুব কষ্ট হচ্ছে ঠেলতে। অসময়ে কাঁচা আমের ফটোগ্রাফি শেয়ার করা ঠিক হয়নি আপনি তো ব্যাগ ভরে নিয়ে গেছেন আমরা কিভাবে খাব!!
আমারও তাই মনে হয়েছিল যে গরুকে কেউ ঠেলছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। বিভিন্ন সৌন্দর্য দেখে মনের ক্লান্তি দূর করা যায়। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।