বর্ষার দিনে আকাশে মেঘ হবে আর সেই মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরবে এটাই স্বাভাবিক। বর্ষার এই বৃষ্টি কিন্তু বৃষ্টির সাথে নিয়ে আসে হাজারও মধুর স্মৃতি। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে মাঝে মাঝে চলে যাই সেই শৈশবের কিছু স্মৃতি মাখা সময়ের বেড়াজালে। কিন্তু সেই সময় তো আর ফিরে আসে না বাস্তব জীবনে। আর ফিরে আসবেও না। তবুও বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দ কিন্তু মনকে রাঙিয়ে যাবে সারাজীবন।

কেমন আছেন আপনারা? ভালো আছেন নিশ্চয়? সারাদিন বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দে কেমন কাটলো আপনাদের সময়? আমার কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে। সেই সকালেই যখন অফিসের জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ছন্দপতন দেখছিলাম তখনই ভেবে রেখেছি যে আজ বাসায় ফিরে খিচুড়ি করবো। বৃষ্টি হবে আর খিচুড়ি হবে না সেটা কি হয়? তাই তো নিজের মনের মত করে সুস্বাদু খিচুড়ি রান্না করে ফেললাম। আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করি আপনাদের ও একটু খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করবে।

প্রথমে রেসিপিটির মুগ ডালগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

এবার মুগডাল , মসুর ডাল এবং চাউল একত্রে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়াতে দিতে হবে।

এবার রেসিপিটি তৈরি করার জন্য পেঁয়াজ কুচি সহ সকল মসলা প্রস্তুত করে নিতে হবে।

এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল দিয়ে পেঁয়াজ গুলো লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।

এবার ভেজে নেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে একে একে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, হলুদ গুড়া , মরিচ গুড়া এবং আদা রসুন বাটা দিয়ে মসলা ভালো করে কসিয়ে নিতে হবে। মসলা ভালো করে কসানো হলে তার মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে মসলা আরও ভালো করে কসিয়ে নিতে হবে। যতক্ষন না মসলার উপর তেল ভাসে।

এবার মসলার উপর তেল ভেসে উঠলে তাতে ধুয়ে রাখা ডাল দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। যাতে করে ডালগুলো মসলার সাথে ভালো করে কসানো হয়।

বেশ কিছু সময় ডালগুলো মসলার সাথে কসানো হলে তাতে ধুয়ে রাখা চাউল দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এবার সেই চাউল আর ডালের মিশ্রণে পরিমান মত লবন দিয়ে আরও ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

চাউল যখন ভালো করে ভাজা হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে পরমান মত পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

বেশ কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে খিচুড়ির পানি শুকিয়ে খিচুড়ি হয়ে গেছে। তখন তাতে কয়েকটি কাঁচামরিচ দিয়ে আরও কিছুটা সময় ঢেকে দিতে হবে।

এবার খিচুড়ির পানি শুকিয়ে যখন খিচুড়ি ভূনা ভূনা হয়ে যাবে তখন পরিবেশনের জন্য আলাদা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

এবার গরম গরম রেসিপিটি যখন খাবারের জন্য পরিবেশন করেছিলাম তখন তো আপনাদের ভাইয়া খেয়ে নাকি মজাই পেয়েছিল।

স্বাদে ভরপুর রেসিপিটি আপনারা চাইলে বাসায় একবার করে খেয়ে দেখতে পারেন। বিশ্বাস করেন ঠকবেন না। বরং খেয়ে আমাকে সবাই ডিএম করবেন। সত্যি কিন্তু বেশ স্বাদ হয়েছিল।

জানিনা আমার আজকের রেসিপিটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে। আশা করি মন্তব্য করে আমাকে ধন্য করবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।