চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জীবন
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছি। তবে সময়টা কেন জানি ভাল যাচেছ না। তুবুও চলে আসি সব সময় আপনাদের কাছে।
আসলে জীবনটা একটা আশ্চর্য প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে যে কখন কি ঘটে তা বুঝে উঠা ভার। আর আমাদের কে প্রতিনিয়ত কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সমস্যার কারনে আমদের কে প্রায় হতে হয় বিচলিত। কিংবা পড়তে হয় অনেক ভোগান্তিতে। আর এ সমস্ত সমস্যা নিয়েই আমাদের কে চলতে হয়। আর আমরা চলেও যাচ্ছি।
এইতো গত কয়েকদিন আগের কথা। গত কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় আমাকে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আর এই ভোগান্তির যন্ত্রণায় আমাকে যেতে হয় মগবাজার আড়ং -এ। কি ভাবছেন। আড়ং -এ গেলে আবার ভোগান্তি বাড়ে কি করে? এ বিষয়টি জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাদের কে আমার আজকের পোস্ট সম্পন্ন অংশ পড়তে হবে। আশা করি আমার আজকের পোস্ট পড়ে আপনারা হাসি, আনন্দ আর বেদনা সবই কিছুটা পাবেন।তাহলে চলুন ঘুরে আসি আমার ভোগান্তির গল্প হতে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
গত কয়েকদিন আগে আমার বোন মৌচাক মার্কেটে গিয়েছিল। বাসার কিছু কিনা কাটা করতে। তো সে মার্কেটে যাওয়ার সময় সাথে করে একটি পার্সে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা সাথে করে নিয়ে যায়। তো পার্সটা সে রাখে তার সাইট ব্যাগের ভিতর। আসলে দূর্ঘটনা যে কখন ঘটে তা কি আর বলা যায়? তো সেদিন যে সময় সে মার্কেটে যায় তখন ছিল মার্কেটের ভিতরে অনেক লোকজন। কয়েকটি জিনিস কিনার পর সে তার পার্সটি আবার সাইট ব্যাগের ভিতর রেখে দেয়। হঠাৎ একটি দোকানে যেয়ে কিছু কিনা কাটা করার পর সাইট ব্যাগে হাত দিয়ে দেখে তার পার্সটি আর সাইট ব্যাগে নেই। তো অনেক খুঁজাখুঁজির পর পার্সটি আর পাওয়া গেল না। আমি অবশ্য রাতে বাসায় যেয়ে এসব কথা জানতে পারি।
তো আমরা ভাবলাম যাক যা হওয়ার হয়েছে। জানের উপর দিয়ে আসছে হয়তো তা মালের উপর দিয়ে গেছে। তবে পার্সটির ভিতর টাকা ছাড়াও ছিল আরও কিছু দরকারি কাগজপত্র। আর ছিল আমার ডার্চ বাংলা ব্যাংকের এ টি এম কার্ড। অবশ্য আমি বর্তমানে ডার্চ বাংলা ব্যাংকের সে একাউন্টটি আর চালাচ্ছি না। তাই এসব বিষয় নিয়ে তেমন আর দুঃচিন্তা করলাম না।
পরদিন অফিস আওয়ারে ডার্চ বাংলা ব্যাংক হতে আমার মোবাইলে একটা ফোন আসে। এক ভদ্র লোক আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি আড়ং এ শপিং করতে গিয়েছিলাম কিনা? আমি তো থো খেয়ে গেলাম। আবার ভয়ও পেলাম যে কে আবার আমার নাম করে আড়ং - এ যেয়ে শপিং করে থুয়ে আসলো রে বাপ। তাই একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিন্তু না ভদ্র লোকের কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে, আমার সে হারিয়ে যাওয়া এটিএম কার্ডটি মগবাজার আড়ং এ পাওয়া গেছে। আমি তাকে আপাততঃ এটিএম কার্ডটি বন্ধ করতে বলে দিয়ে ফোন রেখে দেই।
তারপর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে, যে বেটা চোর সেই পার্স টা চুরি করেছে, সে হয়তো ভেবেছে এটা একটা ক্রেডিট কার্ড। তাই হয়তো সে মগবাজার আড়ং এ গিয়েছিল শপিং করতে। হা হা হা। কিন্তু যখন বুঝতে পারলো যে না এটা দিয়ে কাজ হবে না। তখন সে কার্ডটা আড়ং-এ রেখে চলে গেছে। কি বুদ্ধিরে বাপরে বাপ চোরের। আমি ভাবলাম আর হাসলাম। বিকেলে বাসায় যেয়ে শুনি মগবাজার আড়ং হতে বাসায় ফোন করেছে। হারিয়ে যাওয়া সেই পার্সটি নাকি মগবাজার আড়ং- এ পাওয়া গেছে। তো আমি বললাম তাহলে আমার এটিএম কার্ডটিও নিয়ে আসতে। না না আপনারা ভাবছেন টাকাও পাওয়া গেছে। সে গুড়েবালি। টাকা একবার হাত ছাড়া হলে কি আর ফিরে আসে। হি হি হি।
পরদিন ছোট ভাই কে পাঠালাম আড়ং-এ। কিন্তু তাদের যে কি নিয়ম কানন বুঝলম না। তারা কিছুতেই আমার কার্ডটি তাকে দিবে না। কত কঠিন তাদের নিয়ম। আমি তাদের সাথে ফোনে কথা বলার পরও তারা কার্ডটি দিলো না। অবশেষে আমাকেই যেতে হলো অফিস থেকে। কারন ভাবলাম নাই বা একাউন্ট চালাই। কিন্তু এখন তো মানুষের বিশ্বাস নেই। কি হতে যে কি হয়। তাই যেতেই হলো।
কিন্তু আমি একটা কথা ভেবেই পাই না। তাদের এত নিয়ম আর কানুন। কিন্তু কে এই ব্যাগটা রেখে চলে গেল সেটা তারা বলতে পারে না। তাদের কি সি সি ক্যামেরা নেই? আর আমিও এই ব্যাপারে আর বাড়াবাড়ি করলাম না। কারন ৭-৮ হাজার টাকার জন্য মশা মারতে কামান দাগা ভাব করাটাও আমার পছন্দ না। কি আর করার, তাদের নিয়ম মেনে আমাদের শূণ্য একটি পার্স হাতে করে বাসায় ফিরতে হলো। পেলাম শুধু অকেজো এটিএম কার্ড।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPvpuVEKcuADe4Q4QTCaYgX94unPsrwnH1mRJVCyWmiYo/image.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বর্তমান চোর গুলো অনেক আধুনিক হয়ে গেছে আপনার এটিএম কার্ড নিয়ে গিয়ে আবার রেখে গিয়েছে সত্যি এটা হাস্যকর ছিল। কি আর করার আপু তারা খুবই চালাক চতুর কখন কি করে আপনি বুঝতেই পারবেন না কখনো এরকম শিকার হয়নি সবসময় চেষ্টা করি সতর্ক থাকার।
সাবধানে থাকবেন ভাইয়া এখন কিন্তু চোরের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
চোর বাবাজি কত কষ্ট করে আড়ং এ শপিং করতে গেল😅। কিন্তু এটিএম কার্ড কাজে লাগাতে পারল না। চোর আজ কাল অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া পার্স চুরি হয়ে গিয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে। যাই হোক কি আর করার সাবধানে থাকতে হবে আপু।
স্মার্ট না হলে কি এটিএম কার্ড নিয়ে আড়ং এ যায় বলেন আপু।
আসলে প্রযুক্তির যুগে চোর ও প্রযুক্তিবিদ হয়ে গেছে। বলা যায় যে স্মার্টফোন চোর। আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। আমরা যেখানে যাই সব সময় নিজের জিনিসপত্রগুলো নিজের কাছে রাখতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া আমি এখন থেকে সাবধান হয়ে গেলাম। আপনিও সাবধান হয়ে থাকবেন। যাতে করে চোরের হাত হতে বাঁতে পারেন।
এত বড় একটা শপিংমল কিন্তু সেখানে কোন সিসি ক্যামেরা নেই এ বিষয়টা একবারেই যেন বেমানান। যাই হোক তাতে আর কি হবে মাঝখানের আপনার একটু ভোগান্তি হল তাই। বর্তমানে চোরের উপদ্রব এত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যেটা বলার না তাই আমাদের সবার উচিত একটু সতর্ক থাকা
আমিও কিন্তু অবাক হয়েছি। কেউ একজন একটি ব্যাগ রেখে চলে গেল তারা বুঝতেই পারলো না। তাহলে বোম রাখলে কি হতো বলেন তো।
বাজারে গেলে ভীষণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, এখনকার অবস্থা একদম ভালো না। যত জিনিসপত্রের দাম বাড়বে চুরির মাত্রা ততো বাড়বে। নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হবে, আর এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে বিপদ আরো বেড়ে যায়।
যাক তবুও পার্স আর কার্ড পেয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে চোরের কাহিনী সম্বলিত পোস্ট ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বানানের কিছু সমস্যা ছিল পোস্টে আশাকরি যত্নশীল হবেন।
দোয়া রইল।
ঠিক ভাইয়া নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও সুন্দর উপদেশ দেওয়ার জন্য।