ট্রাভেল পোস্ট- " পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময়" II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago

আসসালামু আলাইকুম

ভ্রমন পিপাসু মানুষ গুলো কোথাও একটু সুন্দর প্রকৃতির খোঁজ পেলেই দৌঁড়ে যায় নিজেদের কে কিছুটা স্বস্তি দিতে। আর যদি হয় সেই জায়গাটি মনের মত সুন্দর। মনের রঙের সাথে যদি জায়গাটির প্রকৃতি মিশে যায় তাহলে মন হয়ে উঠে প্রাণোবন্ত। দেহ আর মনে খুজেঁ পাওয়া যায় প্রাণ চঞ্চলতা। আর এই কারনেই সব সময় প্রকৃতির অপার সৌন্দয্যের মাঝে হারিয়ে যেতে হয়।

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো আছি। আর ভালো আছি বলেই প্রতিদিনের মত আজও আবার চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অবশ্য এতক্ষনে টাইটেল পড়ে আপনারা বেশ ভালোই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো কিছু সময়ের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার আজকের ভ্রমন পোস্টটিও আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।

image.png

image.png

পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময়

image.png

image.png

মাঝে মাঝে মনটা এমন ‍উদাসীন হয়ে যে মনটা চায় কোথাও যেয়ে ঘুরে আসি। আর সেটা যদি হয় প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাহলে তো আর কথাই নেই। তখন যে মনটা কতটা প্রফুল্লতায় ভরে উঠে সেটা বলার নয়। তাই তো কদিন আগে ছুটে গিয়েছিলাম ঢাকার পাশেই একটি গ্রামে কিছুটা সময় কাটাতে। অবশ্য একটি কাজও ছিল। তবে বেশ আনন্দের বিষয় হলো আমরা যে গ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। আর এমন কথা শুনে তো আমার মনটাই ভালো হয়ে গেছে।

image.png

image.png

তো আমরা সেখানে যাওযার জন্য একটি অটো ভাড়া করে নিলাম পূর্বাচল থেকে। অবশ্য বাসা থেকে পূর্বাচলে আমরা বাসে করে গিয়েছিলাম। কিন্তু কথা হলো আমরা যখন অটো করে যাচ্ছিলাম তখন বিকেলের আকাশে যে এত সুন্দর রক্তিম সূর্য দেখলাম সেটা বলে বুঝানো যাবে না। বেশ উপভোগ করছিলাম বিকেলের এমন দৃশ্য। যতটা সময় অটোতে বসে ছিলাম ততটা সময় শুধু বিকেলের সূর্য কেই উপভোগ করে যাচ্ছিলাম। তারপর দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম নদীর ঘাটে। আমরা অটো থেকে নেমে নদীর ঘাটে চলে গেলাম।

image.png

image.png

নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু সময় বিকেলর একটি সুন্দর সময় কে উপভোগ করছিলাম। একদিকে আকাশের বুকে রক্তিম সূর্য আর অন্য দিকে নদীর চারপাশের দৃশ্য। সব দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না। বেশ কিছু সময় একদিক ওদিক ঘুরে বিকেলটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। নদীর পারে নৌকা ভিড়ানো, নদীর বুকে মাঝির যাত্রী পারাপার। আর ঘরে ফেরা মানুষের মুখের হাসি সব দেখতে যেন কেমন ভালো লাগছিল। আমার বিশ্বাস প্রকৃতির এমন দারুন দৃশ্য দেখে শুধু আমি কেন আপনারাও প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যেতেন।

image.png

নদীর এপার থেকেই দেখা যাচিছলো দূরের সেই গ্রামটি। দেখা যাচ্ছিলো নদী পারাপারের সুন্দর একটি ব্রীজ সেই সাথে কিন্তু পড়ন্ত বিকেলের নদীর অপরূপ রূপও ছিল অসাধারণ। নদী পারাপার করতে যেয়ে সেদিন যে মাঝি ভাইয়ের কি আনন্দ আর উচ্ছ্বাস ছিল সেটা দেখে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগা কাজ করেছিল। দূর দূরান্তে নদীর বুকে বালি ভরা ট্রলার দেখেও সেদিন বেশ ভালো লেগেছিল আমার । বেশ আনন্দ নিয়ে উপভোগ করছিলাম সেদিন বিকেলের নদী আর প্রকৃতির এমন সুন্দর রূপ।

image.png

image.png

image.png

কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম নদীর ওপারের গ্রামে। আরে বাপরে বাপ পুরো গ্রামই যেন বালি দিয়ে ভরাট করে জায়গা দখল করে নিয়েছে। আসলে এখন চারদিকে ভূমি দখলদারের জোড়ে একটু নিঃশ্বাস ছাড়ার জোড় নেই। বেশ আফসোস হলো আমার গ্রামের এমন দৃশ্য দেখে। কিন্তু কি আর করার । তারপর আমরা চলে গেলাম আমাদের কাজে নদীর পারেই অবস্থিত একটি বাড়ীতে। সেখানে যেয়ে যখন সন্ধ্যা হয়ে গেল তখন মনে চাইলো একটু বাড়ীর বাহিরের দৃশ্য দেখার। বাহ্ দারুন ছিল সন্ধ্যা রাতের নদী পারের দৃশ্য। তারপর আমাদের কাজ শেষ করে আবার ফিরে আসলাম আমরা আমাদের চিরচেনা শহরে। ক্ষনিকের আনন্দ ভুলে।

শেষ কথা

তবে একথা সত্য যে মন খারাপ থাকলে যদি কিছু সময় নদী পারে ঘুরে আসা যায় তাহলে কিন্তু আমাদের মন আর দেহ দুই মিলেই খুঁজে পায় কিছুটা শান্তির ছোঁয়া। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরতে যাওয়া সময়টুকু? জানার অপেক্ষায় রইলাম।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 17 days ago 
 17 days ago 

আপু আপনার পোস্ট দেখে তো আমারও ইচ্ছে করছে এরকম সুন্দর কোন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে। সত্যি কথা বলতে এরকম জায়গায় সময় কাটাতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মানসিক প্রশান্তি আসে। আপনার ভ্রমন পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।

 16 days ago 

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য।

 17 days ago 

দেখে যা বুঝলাম খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। মাঝেমধ্যে এমন ভাবে যদি বাইরের পরিবেশে চলাচল করা যায় ঘোরাফেরা করা যায় তাহলে মন ফ্রেশ থাকে এবং কাজ-কর্মে একটিভ হওয়া যায়। খুবই ভালো লাগলো অচেনা জায়গা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেতে।

 16 days ago 

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

 15 days ago 

খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে ভ্রমণের মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আজকে আপনি প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সেই ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷

 15 days ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 15 days ago 

খালী ঘুরেন আর ঘুরেন। আমাকে নেন না। এখানে আবার গেলেন কবে? জায়গাটি তো দারুন সুন্দর।প্রকৃতি দেখেই তো যে কেউ মু্গ্ধ হয়ে যাবে। নদী আর পড়ন্ত বিকেল যেন এক অপরূপ রূপ ধারন করেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ট্র্রাভেল পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 15 days ago 

আবার গেলে নিয়ে যাবো নে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 13 days ago 

খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।জায়গাটি তো বেশ দারুন। আপু আপনার পোস্ট দেখে আমারো ইচ্ছে করছে এরকম সুন্দর কোন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে তো।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 11 days ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 11 days ago 

সু স্বাগতম।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 60716.58
ETH 3369.74
USDT 1.00
SBD 2.48