ফটোগ্রাফি পোস্ট- ভালো লাগা কিছু ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন প্রিয় বন্ধুরা? বেশ ভালো আছেন তাই না? আমি কিন্তু দারুন আছি। মনে হচ্ছে ব্যাস্ততা গুলো আস্তে আস্তে ছুটি নিচ্ছে আমার কাছ হতে। আর তাই তো বেশ ভালোও লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর বেশ শান্তি পাবো কিছুটা। আসলে এত এত ব্যাস্ততা আমার কেন জানিনা ভালো লাগে না। ভালো লাগে না আজ্যাইরা কোন কাজ করতে। কিন্তু মানব সমাজের এটাই হলো বড় সমস্যা যে আমরা অন্য কে দিয়ে অযথা কাজ করাতে কেন জানি বেশ পছন্দ করি। হি হি হি।
বন্ধুরা চলে আসলাম আজ আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হুম এরই মাঝে বুঝতে পেরেছেন যে আমি আজ কি নিয়ে পোস্ট করতে যাচিছ। আজ আমি আপনাদের জন্য কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম। আর হ্যাঁ আজ আমি আপনাদের মাঝে ভালো লাগা কিছু ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো বলে ভেবেছি। তো চলুন ঘুরে আসি আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট হতে।
ভালো লাগা কিছু ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি
ভালো লাগা কিছু ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি
বেশ কিছু দিন যাবৎ ব্যাস্ততায় দিন যাচেছ। আর এই ব্যাস্ততার মাঝেও কেন জানি নিজের ভালো লাগা কোন কিছু চোখের সামনে পড়লে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না। ছুটে যাই হাতের মোবাইল নিয়ে ভালো লাগার জিনিস গুলো কে ক্যামেরা বন্দী করতে। এই তো যেমন কয়েকদিন আগে ছুটে গিয়েছিলাম কিছু ভালো লাগা ফুলের ফটোগ্রাফি করার জন্য। আর করেও নিলাম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রাজধানীর শের-ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে যেয়ে দেখি কি বিশাল এক ফুলের বাগান। তাই নিজের লোভ কে আর ধরে রাখতে পারলাম না। ছুটে গেলাম সেই ফুল বাগানের কাছে। যেয়ে দেখি নানা রকমের ফুলের সম্ভার ঘটেছে সেই বাগানে। হায় রে কি যে ভালো লাগা শুরু হলো। চেষ্টা করলাম ফুলের বাগানের ভিতরে প্রবেশ করতে। কিন্তু যেই ভাবে তার দিয়ে বেড়া দেওয়া সেখানে ঢুকতে চাওয়াটাই বৃথা। হঠাৎ দেখলাম পাশেই একটি যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু সেখানে ঢুকতে দেবে না বাগানের মালী। কি আর করার বেশ কিছুক্ষন মামাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করলাম।
বেশ কিছুক্ষন পটানোর পর এবং নিজের অফিসের পরিচয় দেওয়ার পর মামা ফুল না ছেড়ার শর্তে ঢুকতে দিলো সেখানে। আর আমি আর আমার কলিগ ঢুকে পড়লাম সেখানে। আমার কলিগ বিভিন্ন ফুলের পাশে দাঁঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তুলে দেওয়ার জন্য আমাকে বার বার অনুরোধ করলো। কিন্তু তার এত ছবি আমি তুলেছি যে আমার কাছে তাকে মনে হয়েছে ছবি খোর। আরে ঐ যে চা খোরের মত আর কি। যাই হোক প্রিয় কলিগ বলে কথা। ছবি না তুলে দিলে কি আর হয়?
বাপরে বাপ বাগানে কোন ফুল নাই সেটাই তো ভাবছিলাম। গোলাপ, জবা , গেন্ধা সহ জানা অজানা হাজারও ফুলের সম্ভার দেখতে পেলাম সেই ফুলের বাগানে। আমি তো ফুলের ফটোগ্রাফি করতে করতে বেশ হাপিয়ে উঠেছিলাম। বসন্তের সাজে যে ফুলেরা এমন সুন্দর করে সাজতে পারে সেটা দেখেই তো চোখ ভরে গেল। তাই তো ঘুরে ঘুরে বসন্তের ফুল গুলোকে নিজের ক্যামেরা বন্দী করে নিলাম ঝটপট করে।
তবে মিথ্যা বলবো না। এত এত ফুল গুলোর মধ্যে সব গুলো ফুলের নাম কিন্তু আমার আবার জানা নেই। তবে প্রতিটি ফুল যেন সেজেছিল বেশ সুন্দর করে। যেমন ভালো লাগছিল গোলাপ ফুল। তেমন ভালো লাগছিল অন্যান্য ফুল গুলো। তবে কি ফুল কে যারা ভালোবাসে তাদের কাছে ফুল দেখলেই হয়তো ছুঁতে মনে চায়। আর আমার ও বার বার মনে হচ্ছিলো যে ফুল গুলো একটু ছুঁয়ে দেখতে। কিন্ত সেই মালী মামার জন্য আর ছুঁয়ে দেখা হলো না।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
শেষ কথা
শেষ কথা
ফুল পবিত্র । আর ফুল কে ভালোবাসে না এমন কোন মানুষ নেই । আর ফুলের সুবাসে যেমন মুগ্ধ হয় প্রকৃতি, তেমনি করে মুগ্ধতায় ভরে উঠে মানুষের মন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
রাজধানীর রাজবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে যেয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন আপু আসলে আমরা এমনই অন্যকে দিয়ে নিজের কাজ গুলো করাতে বেশি অভ্যস্ত। তবে আপু আমি করি না আমি নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করি হা হা হা। আজকে আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হলেন। আপনার শেয়ার করার প্রতিটি ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সব সময় উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এক কথায় বলতে গেলে আপনার ধারণ করা এই ফুলগুলো জাস্ট অসাধারণ ছিল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রকার ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পারলে আমার বেশি ভালো লাগে। কারণ এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো যেন একটা ব্লগকে ফুলের বাগানে রূপান্তর করে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পতিটা ফটোগ্রাফি ক্যামারা বন্ধি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ আপনি তো বেশ চমৎকার চমৎকার ভালো লাগার রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ। সত্যি বলতে আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এবং খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়ে রেনডম গুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।