ভ্রমন পোস্ট- ছুটির দিনে জাতীয় জাদুঘর ঘুরে বেড়ানো

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আমার প্রাণ প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলে বেশ ভালোই আছেন। আমি @maksudakawsar। একজন বাংলাদেশী ইউজার হিসাবে আপনাদের মাঝে আমি প্রতিনিয়ত উপস্থিত হই নতুন নতুন কিছু পোস্ট করার জন্য। নিজের দক্ষতা আর সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট করার চেষ্টা করে যাচিছ। আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।

Add a heading.png

ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar

সমস্ত সপ্তাহ জুড়ে ব্যস্ত থাকার পর একটি দিন মাত্র ছুটি পাই। আর সেই একটি দিন যায় নিজের ঘরের কাজ করতে করতে। তার মধ্যেও মাঝে মধ্যে একটু হাপিয়ে উঠি। আর আজ কয়েকদিন যাবৎ যে গরম পড়েছে তাতে তো ঘরেই থাকা যায় না। তাই তো দুপুরের পরে ভাবছিলাম যে কি করা যায়? একটু কোথায় বেড়ানো যায়? কিছু্ই ভেবে পাছিলাম না। হঠাৎ মাথায় আসলো জীবনে তো কখনও জাতীয় জাদুঘরে যাওয়া হয়নি। অথচ ঢাকায় জন্ম আর ঢাকায় বেড়ে উঠা। অথচ কমিউনিটিতে চোখ দিলে দেখা যায় সবাই কত দূর দূরান্ত হতে এসে জাতীয় জাদুঘর ঘুরে গেছে। তাই ছোট বোন কে বললাম চল ঘুরে আসি। আর দুপুরের তপ্ত রোদের মধ্যে চলে গেলাম একটি রিক্সা নিয়ে জাতীয় যাদু ঘরে।

image.png

image.png

image.png

আমরা যখন জাদুঘরে পৌছাঁই তখন বিকেল ৪.৩০ মিনিটি বাজে। আমরা সেখানে পৌঁছে দেখি যে কিসের যেন মানব বন্ধন হচিছলো। তো একটু দাড়িঁয়ে দেখলাম । তারপর শুর শুর করে জাদুঘরের মেইন গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম।ভিতরে বেশ সুন্দর ছায়াঘেরা প্রকৃতির পরিবেশ। দেখে তো মনটা বেশ জুড়িয়ে গেল। বেশ কিছুটা সময় এদিক সেদিক ঘুরে কাটালাম। প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাসে মনটা যেন জুড়িয়ে আসছিল। মাঝখানে রাস্তা আর দু পাশে ফুলের বাগান যেন পরিবেশ টাকে রাঙিয়ে ‍তুলেছে অনেকটা।

image.png

image.png

image.png

প্রকৃতির এসব সুন্দর পরিবেশের মধ্যে রয়েছে ফুল, বাগান ছাড়াও সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য আর যুদ্ধে কামান। আর সবুজ প্রকৃতির সাথে সাথে যেন এসব কিছু আরও বেশী সুন্দর লাগছিল।আর আমিও আপনাদের জন্য একটু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

image.png

image.png

image.png

এবার আমরা মেইন গেইট দিয়ে ঢুকে গেলাম জাদুঘরের ভিতরে। অবশ্য মেইন গেইটে দারোয়ান ছিল। তিনি ব্যাগ নিতে বারন করেছেন। কিন্তু আমি একটু খাতিল করে ব্যাগ সহ ঢুকে গেলাম ভিতরে। আমরা সব কিছু দেখতে দেখতে আর ফটোগ্রাফি করতে করতে উপরে উঠতে লাগলাম।

image.png

image.png

আমরা যাদু ঘরের ভিতরে ঢুকে গেলাম টিকেট ছাড়া মনে যে কি আনন্দ। ভেবে ছিলাম এ যাত্রায় আমরা মনে হয় পুড়ো জাদুঘর ঘুরে দেখতে পারবো বিনা টিকেটে। তাই মনের আনন্দে সিডিঁ দিয়ে উঠছি আর ফটোগ্রাফি করছি। কিন্তু ধরা খেলাম রে বাপ এক মোটা মামার কাছে। যেই যাদু ঘরের মূল ফটক দিয়ে =ঢুকবো সেই মামা টিকেট চাইলো। কিন্তু টিকেট পাবো কোথায়? টিকেট তো কাটিনি। ভেবেছিলুম যে সবাই মনে হয় টিকেট ছাড়া ঢুকছে। কত অনুরোধ করলাম। কিন্তু আমাকে সেই আবার নেমে মেইন রোডে আসতে হলো টিকেট করতে।

image.png

image.png

আমার তো মহা মেজাজ গরম লাগলো যে বাহিরের সেই দারোয়ান গুলোর উপর যারা এত গুলো মানুষ কে টিকেট চেক না করে ভিতরে ঢকাচ্চে। তাই টিকেট আনতে গিয়ে তাদের দিকে একটু মোটা চোখে তাকালাম। যদিও তারা বুঝতে পারে নি। অবেশেষে তিনজনের জন্য তিনটি টিকেট ১২০ টাকায় কিনে নিলাম। আর একে এক জাদুঘরের প্রতিটি ফ্লোর ঘুরে দেখলাম। কি দেখলাম সেটা অন্য পোস্টে শেয়ার করবো। তাই আপনাদের একটু অপেক্ষাও করতে হবে।

image.png

image.png

image.png

যাদু ঘরের পুরোটা ঘুরে দেখতে দেখতে যে কখন সময় শেষ হয়ে গেল সেটাই বুঝতে পারলাম না। তারপর আমরা বের হয়ে একটু ফুচকা আর চটপুটি খেয়ে নিয়ে প্রায় ২০০-২৫০ টি ফটোগ্রাফি করার আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। তাই আমার সাথেই থাকুন। চোখ জুড়ানো সব ফটোগ্রাফি দেখার জন্য।

image.png

image.png

image.png

কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়ানো কিছুটা সময়? আপনাদের মতামত গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

image.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago (edited)

গরমের সময় ঘরে থাকা ভীষণ মুশকিল। তবে বাহিরে যেতেও ইচ্ছে করে না😅। আপু আপনি আপনার ছুটির দিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো আর যদি এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

সত্যি আপু গরমের মধ্যে ঘরে থাকা বেশ মুশকিল। তাইতো একটু প্রশান্তির জন্য চলে গিয়েছিলাম জাতীয় জাদুঘরে। ধন্যবাদ অপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে কখনো ভ্রমণ করেনি তবে আপনার ভ্রমণ পোস্টটি দেখে ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগছে মনে। ভ্রমণের জন্য তিনটি টিকিট ১২০ টাকা দিয়ে নিয়েছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

জি ভাইয়া সময় পেলে এসে একবার ঘুরে যাবেন। আশা করি আমার মত আপনিও আনন্দিত হবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

যে পরিমাণ গরম পড়ছে আর ইলেকট্রিসিটির যে অবস্থা এমন অবস্থায় ঘরে টিকাই মুশকিল।
ছুটির দিন মানে অন্যরকম একটি ভালোলাগা কাজ করে।
সবাই একটু ভালোভাবে ছুটির দিন অতিবাহিত করতে চাই।
জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো জেনে।।

 2 years ago 

জি ভাইয়া ছুটির দিনটি একটু আলাদা ভাবে কাটাবো বলেই চলে গিয়েছিলাম জাতীয় জাদুঘরে।।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

সপ্তাহে মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। তবে গরমের কারণে সবকিছু উত্তৃষ্ট হয়ে পড়েছে। যাক বিনা টিকিটে জাদুঘর দেখার জন্য সামনে গেলেন। তাহলে লাস্ট পর্যন্ত মোটা মামার কাছে ধরা খেলেন। পরবর্তী তিনজনের টিকেট করে আবার গেলেন। মনে হয় নতুন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনাদের। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জাদুঘরে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বড় ধরায় খেয়েছিলাম আপু। ভাগ্য ভালো আর একটুর জন্য গণপিটুনি দেয়নি। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ছুটির দিন উপলক্ষে আজ আপনি জাদুঘরে ভ্রমন করতে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অনেক সুন্দর উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। সব মিলে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.33
JST 0.032
BTC 111750.70
ETH 4014.40
USDT 1.00
SBD 0.86