লাইফ স্টাইল- ঈদের পাঞ্জাবী কিনার যত বিড়ম্বনা || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বেশ কিছুদিন পর আজ একটু ভালা লাগছে। মনে হচ্ছে দেহ যেন প্রাণ খুঁজে পেয়েছছে। আসল মানুষ সুস্থ থাকলে মনে হয় বিশ্বজয় করতে পারে। আর অসুস্থতা যেন জীবনে অন্ধকার নামিয়ে নিয়ে আসে। তাই তো আমাদের প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। যতটা পারা যায় বাহিরের খাবার এবং ঔষধ কে না বলতে হবে। দৈনিক নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।তাহলেই আমরা দেখবো সুস্থতার মুখ।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আর ভালো থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় নেয়ামত। বন্ধুরা প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আজও আপনাদের মাঝে আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো। আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আর আপনাদের ভালো লাগাই কিন্তু আমার স্বার্থকতা।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ঈদ মানে আনন্দ। আর ঈদ মানে খুশি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের আনন্দে মেতে উঠে। আর ঈদুল ফিতরের আনন্দ কে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য পরিবারের সবার জন্যই নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়। যার মধ্যে অন্যতাম একটি পোশাক হলো ঈদের পাঞ্জাবী। আমার মনে হয় ঈদের পাঞ্জাবী যদি সুন্দর আর মনের মত হয় তাহলে ঈদের আনন্দ হয়ে উঠে আরও বেশী আনন্দময়। আর তােই তো এবার ঈদের পাঞ্জাবী কিনতেই আমাকে পোহাতে হয়েছে অনেক দখল।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ঈদের পাঞ্জাবী কিনতে প্রথমে গিয়েছিলাম আড়ং এর আউটলেটে। কিন্তু আড়ং - এ যেয়ে আর নতুন কিছু পেলাম না। সেই একই রকমের পোশাক। তাই সেখানে আর কিছুই পছন্দ হলো না। অবশ্য মানুষ জন হুমরি খেয়ে কি কিনছে সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক সেখান থেকে বেড়িয়ে চলে গেলাম বেইলী রোডে। ভাবলাব গত বারের মত লারিব থেকে একটি পাঞ্জাবী কিনে নিবো। ওমা যেয়ে দেখি বেইলী রোডে লারিব এর শাখা তুলে নিয়েছে। পড়লাম আর এক টেনশনে। কি যে করি। তারপর পুরো নাভানা বেইলী স্টার আর ক্যাপিটাল সিরাজ শপিং মল চুষে বেড়ালাম , না সেখানেও কিছুই পছন্দ হলো না।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এবার বের হয়ে পাশে থাকা অঞ্জনস, আর্টিটি সহ আরও কিছু শপিং মল চুষে বেড়ালাম। তাও সেখানে কিছু পছন্দ হলো না। এমন করে ঘুরতে ঘুরতে রাত বেজে গেল ১.৩০। আর কি তখন শপিং করতে মনে চায়? ততক্ষনে দেহের উপর দিয়ে যেন তুফান যাচেছ। কি আর করার ঈদের পাঞ্জাবী বলে কথা। সেদিন আর শপিং করতে মনে চাইলো না । তাই সেদিন এর মত করে দু জোড়া মোজা আর দুটো গেঞ্জি কিনে নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম। অবশ্য মনের ভির অনেক কষ্ট আর দুঃখ নিয়ে। সেই সাথে এক বুকে টেনশন নিয়ে। ভাবলাম কে জানে আর পাঞ্জাবী কেনা হবে কিনা। ঈদের আছে আর মাত্র দু দিন।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
পরদিন আবার নামলাম পাঞ্জাবী কেনার মিশনে। এবার সিদ্ধান্ত নিলাম খিঁলগাওয়ের মধ্যে যে কটা পাঞ্জাবীর আউটলেট আছে সব গুলো দেখবো। দেখতে দেখতে ইজি, সুলতান, জেন্টেল পার্ক সহ আরও বেশ কিছু আউটলেট ঘুরে শেষ করে দিলাম। কিন্তু পাঞ্জাবী তো আর পছন্দ করতে পারলাম না। পছন্দ হবে কি দিয়ে দাম হলো আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু পাঞ্জাবীতে দেখার মত কিছুই নেই। বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম এবার। তাহলে কি করবো, কি হবে এবার ঈদের । তাহলে কি এবার ঈদ পাঞ্জাবী ছাড়া হবে? সেই চিন্তায় চিন্তায় হাটছি রাস্তা দিয়ে। হঠাৎ একজন ফোন করে বললো যে সেইলরে নাকি ভালো ভালো পাঞ্জাবী উঠেছে। ভাবলাম সেখানে যাই। তাই আমরা সেইলরে চলে গেলাম। কিন্তু সেদিন কি সেইলর থেকে পাঞ্জাবী কিনতে পেরেছি কিনা সেটাই জানার বিষয়। জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে যে একটু।
শেষ কথা
শেষ কথা
তবে ঈদ আনন্দের এমন কষ্ট গুলো কিন্তু মনে অনেকটা তৃপ্তি যোগায়। সেই সাথে শক্ত করে পারিবারিক বন্ধনও। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ঈদ উপলক্ষে শপিং করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অনেক ইন্টারেস্টিং। তবে সবার ধৈর্য্য থাকে না এতগুলো দোকান ঘেঁটে আর সেলসম্যানদের বিরক্ত করে একটি পছন্দসই পোষাক কিনে নিয়ে আসা।
আমার ক্ষেত্রে দুটি দোকানের বেশি ঘোরা সম্ভব না, পছন্দ হলে প্যাক করতে বলি, না হলে ডিফল্ট চয়েজে যেকোন একটি কিনে নিয়ে আসি, হা হা।
যা হোক, আপনার জন্য দোয়া ও শুভেচ্ছা রইলো। পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায়.. 💐
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঈদের সময় পাঞ্জাবি পরিধান না করলে বর্তমানে ঈদ বলে মনে হয় না। তবে এই পাঞ্জাবি কিনতে পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা। পছন্দ হবার আগ পর্যন্ত হর্ন হয়ে খুঁজতে হয় পছন্দের পাঞ্জাবি টি। তবে আড়ংয়ে পাঞ্জাবি আমার খুব পছন্দ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
Tweet
আপনি নিজে যেমন পাঞ্জাবী কিনতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে রাত দেড়টা বাজিয়েছেন। আমাদেরকেও পরের পোষ্ট পড়ার জন্য ঘুরাবেন। চালাকি করে এমন জাগায় থামিয়ে দিলেন,যেন পাঞ্জাবী কিনেছেন কিনা সেটা জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। যায়হোক পোষ্টের লেখার ধরন কিন্তু দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি জানি তো আপনার যতক্ষন অবদি কোন কিছু পছন্দ না হবে ততক্ষনই আপনি বিভিন্ন শপিংমলে খোঁজে বেড়ান। এবার ঈদেও তাই করেছেন। কোন জায়গায় যাননি আপনি আপু? যাই হোক অবশেষে কি পাঞ্জাবী সেদিন কিনতে পেরেছেন? জানাবেন কিন্তু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।