রেসিপি পোস্ট- ভিন্ন স্বাদের ঝাল ঝাল কাতলা মাছ ভূনা রেসিপি || Prepare tasty recipe by @maksudakwasar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল প্রিয় ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। মানুষ সাধারনত ভোজন রসিক হয়। আর এই ভোজন রসিক মনোভাবের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে মানুষ বেশ পছন্দ করে। একই রকমের খাবার খেতে কিন্তু প্রায় অরুচি লাগে। আর মুখের স্বাদ পরিবর্তন করতে কিন্তু আমাদের নিজেদেরই মাঝে মাঝে খাবার রেসিপি একটু ভিন্ন রকম করে তৈরি করা প্রয়োজন।
ঠান্ডা জ্বর গেল কয়েকদিন আগে। মুখে যেন কোন কিছুই খেতে ভালো লাগে না। কয়েকদিন যাবৎ মনে চাচ্ছে বেশী করে ঝাল দিয়ে একটু ভিন্ন রকমের খাবার খাই। কিন্তু সময় আর ব্যস্ততার কারনে তেমনটা হয়ে উঠছে না। যাই হোক বেশ জোড় করেই সেদিন রাতে তৈরি করে নিলাম কাতলা মাছের ঝাল ঝাল ভুনা। আর এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটির আইডিয়াটা পাই আমার ছোট বোনের কাছ হতে। ফ্রিজেই ছিল কাতলা মাছ। বের করে নিলাম সেই মাছ। তারপর ওর সেখানো নিয়মে রান্না ও করে নিলাম। ভাবলাম যে তাহলে একটু রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়? যেই ভাবনা, সেই কাজ। আপনারাই দেখেন তো কেমন হয়েছে আমার জ্বর জ্বর শরীরে ভিন্ন রকমের কাতলা মাছ রান্না রেসিপি।
★ কাতলা মাছ
★তেল
★ টমেটো
★কাঁচা মরিচ
★পেঁয়াজ
★লবন
★ আদা বাটা
★রসুন বাটা
★জিরা বাটা
★হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★পানি
★ ধনিয়া পাতা
প্রথমে কাতলা মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একে একে পেঁয়াজ ও টমেটো কেটে রেডি করে নিতে হবে।
এবার একটি পাত্রে সমস্ত মসলা গুলো, লবন এবং পরিমান মত পানি দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।
এবার চুলায় একটি পাত্রে তেল গরম করে নিয়ে তাতে মাছ ভুনার জন্য পরিমান মত পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে।
এবার পেঁয়াজ গুলো লাল লাল করে ভাজা হয়ে আসলে তাতে আগে থেকে পেস্ট করে রাখা মসলা গুলো দিয়ে দিতে হবে।
এবার পেস্ট করা মসলা এবং ভেজে নেওয়া পেঁয়াজগুলো একত্রে মিশিয়ে নিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষন মসলা কষানো হয়ে গেলে দেখা যাবে যে মসলার উপর তেল ভেসে উঠেছে।
এবার কষানো সেই মসলার মধ্যে আগে থেকে ধুয়ে নেওয়া সেই মাছ গুলো দিয়ে মসলার সাথে মাছগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মাছগুলো কষানোর জন্য কিছুক্ষন ঢেকে দিতে হবে।
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুলে মাছের মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে আবার ও ঢেকে দিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষন মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে তাতে কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে আবার ও ঢেকে দিতে হবে।
কিছুক্ষনপর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে যে মাছগুলো ভূনা ভূনা হয়ে এসেছে। তখন তাতে ধনিয়া পাতা আর কাঁচামরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।
বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর যখন মাছগুলো ভূনা ভূনা হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
এখন নামিয়ে নেওয়া সেই সেই তরকারি টি গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে হবে।
আমার মনে হয় খাবারের টেষ্টের কথা আর নাই বা বলি। আপনারা একবার বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন যে খাবারের টেস্ট টা কতটা মজাদার হয়েছিল। আমি তো সেদিন এক বসায় দু প্লেট ভাত খেয়ে নিয়েছিলাম।
পোস্টের ধরন | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | খিঁলগাও, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ আর নয়। আবার নতুন করে নতুন কোন স্বাদের খাবারের রেসিপি নিয়ে চলে আসবো আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকেন। আর রেসিপিটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন।
আপনার ছোটবোন খুব ভালো আইডিয়া দিয়েছে। সত্যি অসাধারণ সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় পোস্ট। কাতলা মাছ সবার প্রিয়।জ্বর জ্বর মুখে সত্যি ঝাল ঝাল কিছু খেতে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর গুছিয়ে ধাপ গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আরে আপু জ্বর হলে কিন্তু দুনিয়ার কোন কিছু আর ভালো লাগে না। শুধু ঝাল ঝাল খেতে মনে চায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু, জ্বর হলে তো মুখের রুচি একদমই থাকে না। আর তাই আপনি ঝাল ঝাল কাতলা মাছ ভুনা রেসিপি তৈরি করে খুবই ভালো করেছেন। ঝাল ঝাল হওয়ার কারণে আপনার মুখের স্বাদ কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি। আর হ্যাঁ ভিন্ন স্বাদের রেসিপি খেতে মন্দ লাগে না। আপু আপনার ছোট বোনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে দিন, কেননা তার শেখানো রান্না খেয়ে আপনি খুব তৃপ্তি পেয়েছেন। সেই সাথে আমরাও মজার এই রেসিপিটি শিখে নিতে পারলাম। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আরে ভাই শুধু ধন্যবাদ নয় সাথে ট্রিট ও দিতে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মাছের এরকম ঝাল ঝাল ভুনা ভালোই লাগে খেতে। সাথে টমেটো এবং ধনিয়া পাতা থাকলে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ভুনা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আমি তো এক বসাতে দু প্লেট ভাত খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে কাতলা মাছের ভিন্ন স্বাদের ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি এতো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রেসিপিটি অনেক স্বাদের হয়েছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঝাল ঝাল রেসিপি এমনি আমার খুব ফেভারিট।
আপনার রেসিপি প্রস্তুত এর ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে সত্যি খুব লোভে পড়ে গেছি। ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
শুরু করে দেন তো ভাইয়া। এখান থেকে খেলে তো আমার ভাগের টা কমবে না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভিন্ন স্বাদে যেকোন রেসিপি তৈরি করলে তা ভিন্ন রকম সুস্বাদু হয়। আর এরকম মজাদার রেসিপি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা ভিন্ন স্বাদের ঝাল ঝাল কাতলা মাছ ভুনা রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি এটা অনেক বেশি সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। ধন্যবাদ রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আর আপু ইয়াম্মি মানে সেরকম স্বাদে ভরপুর ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কাতলা মাছ ভুনা দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি আপু কাতলামাছ এভাবে ভুনা করলে অনেক ভালো লাগে। আমি ও মাঝে মাঝে ভুনা করি। আপনার রেসিপি কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু কাতলা মাছ এমন করে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জ্বর সর্দি হলে কোন কিছু খেতেই ভালো লাগে না। আর এই সময় যদি ঝাল ঝাল কিছু রান্না করা হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সত্যি আপু জ্বরে মুখটা স্বেদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কাতলা মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি ভিন্ন স্বাদে ঝাল ঝাল কাতলা মাছ ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কাতলা মাছ ভুনা করলে এমনিতেই তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর যদি টমেটো দেওয়া হয় তাহলে তো কোন কথা নেই। টমেটো দেওয়ার কারণে নিশ্চয়ই আরো বেশি ভালো লেগেছিল এটি খেতে।
সত্যি কিন্তু মাছের ভূনা সেদিন বেশ স্বাদের হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।