মাঝে মাঝে কেন জানি মনে চায় একটু ভিন্ন ধরনের কিছু খেতে। আবার কি যে খেতে মনে চায় সেটাই বুঝে উঠতে পারি না। মনে হয় এমন কোন কিছু যদি খেতে পারতাম যা কিনা তৃপ্তি ভরে খাওয়া যাবে। এমন কোন খাবার যা দিয়ে খুব সহজে বেশ কয়েক প্লেট খাবার এক বসাতে খেয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু শত ভেবেও এমন একটি রেসিপি আর খুঁজে পাই না। মনে হয় কি দিয়ে যে ভাত খেলে মনটা শান্তি হবে। আর তখনই মনের মত কিছু রেসিপি তৈরি করে নেই ।

কেমন আছেন আপনারা? ভালো আছেন নিশ্চয়। আমিও কিন্তু বেশ আছি। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে আরও একটি রেসিপি নিয়ে। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব সামদ্রিক মাছ খেতে মনে চাইছিল। আর তাই তো সেই সামদ্রিক মাছ রান্না করে নিলাম সিমের বিচি দিয়ে। আমার কাছে কিন্তু দারুন লেগেছিল সেদিন সামদ্রিক মাছের রেসিপিটি। আশা করবো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের রেসিপি। তাহলে চলুন দেখি আসি আমার আজকের রেসিপি।

প্রথমে রেসিপিটির জন্য সামুদ্রিক মাছগুলো কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার সিমের বিচি এবং টমেটো গুলো ধুয়ে প্রস্তুত করে নিতে হবে।

এবার প্রয়োজনীয় মসলা এবং তেল প্রস্তুত করে নিতে হবে।

এবার চুলায় পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচিঁ গুলো ভেজে নিতে হবে।

এবার পেঁয়াজ কুচিঁ গুলো ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে একে একে আদা রসুন বাটা, হলুদ মরিচ গুড়া, জিড়া গুড়া এবং লবন দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে। এরপর মসলার মধ্যে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।

এবার কষানো মসলার উপর যখন তেল ভেসে উঠবে তখন তার মধ্যে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।

এবার মাছ গুলো ভালো করে নেড়ে দিয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর মাছগুলো কষানোর জন্য একটু ঢেকে দিতে হবে।

কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে যে মাছ গুলো কষানো হয়ে গেছে। তখন আলাদা একটি পাত্রে কষানো মাছ গুলো উঠিয়ে নিতে হবে।

এবার চুলার পাত্রে কষানো সেই মসলার মধ্যে কেটে রাখা টমেটো এবং সামান্য পানি দিয়ে একটু কষিয়ে নিতে হবে।

এবার কষানো টমেটোর মধ্যে ধুয়ে রাখা সিমের বিচি গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে।

বেশ কিছু সময় টমেটো এবং সিমের বিচি কষানোর পর তার মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

এবার তরকারিতে যখন ব্লগ আসবে তখন তার মধ্যে কষিয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।

বেশ কিছুক্ষন পর যখন মাছের ঝোল একটু শুকিয়ে আসবে তখন তার মধ্যে কিছু জিরা গুড়ো দিয়ে দিতে হবে।

আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দেখা যাবে যে তরকারির ঝোল শুকিয়ে গেছে তখন বুঝতে হবে রান্না হয়ে গেছে।

এবার হয়ে যাওয়া তরকারিটি আলাদা একটি ডিসে নামিয়ে নিতে হবে পরিবেশনের জন্য।

গরম গরম রেসিপিটির উপর কয়েকটি কাঁচা মরিচ ছিটিয়ে দিলেই হয়ে যাবে আমাদের আজকের রেসিপি। আর কাঁচা মরিচ দেওয়াতে রেসিপিটি দেখতেও কিন্তু বেশ লাগছে।

এমন একটি স্বাদে ভরা রেসিপি কি আর একা একা খাওয়া যায়? তাই তো পরিবারের সবাই কে নিয়েই সেদিন খেয়েছিলাম এমন একটি রেসিপি। স্বাদের কথা বললে তো আর আপনারা বাসায় তৈরি করে খাবেন না। তাই আশা করবো এক বার রেসিপিটি বাসায় করে দেখবেন।

রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর এমন একটি রেসিপি দিয়ে কিন্তু সেদিন দু প্লেট ভাত খেয়েছিলাম অনায়াসে। আশা করি আপনারা একবার বাসায় তৈরি করে আমাকে রিভিউ দিবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।