লাইফ স্টাইল- মরার উপর খাড়ার ঘা || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
সুস্থতা যে মহান আল্লাহর বড় নেয়ামত সেটা কেবল একজন অসুস্থ মানুষই বুঝতে পারে। অনুভব করতে পারে একজন অসুস্থ ব্যাক্তি দিনের পর দিন কি করে নিজেকে নিয়ে কষ্ট করে যায়। মানুষ যখন অসুস্থ হয় ঠিক তখনই সে হয়ে পড়ে দিশেহারা। আমাদের সমাজে এমনও হাজারও মানুষ আছে যারা কিনা একটু অসুস্থ হলেই খুব বিচলিত হয়ে পড়ে। ছুটে যায় এই ডাক্তারের কাছে আর সেই ডাক্তারের কাছে। কিন্তু তখন আমরা একটি কথাই বার বার ভুলে যাই যে সুস্থতার জন্য বান্দার কাছে নয় আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আর ভালো থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় নেয়ামত। বন্ধুরা প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আজও আপনাদের মাঝে আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো। আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আর আপনাদের ভালো লাগাই কিন্তু আমার স্বার্থকতা।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বেশ কিছুদিন হলো একটার পর একটা অসুখ লেগেই আছে। সেই যে হাত পোড়া থেকে শুরু হলো এখন অবদি অসুখ যেন আমার পিছু ছাড়ছেই না। আজ এটা তো কাল সেটা। এই যে আজ আমি যখন আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখতে বসলাম তখনও গায়ে ১০১ ডিগ্রী জ্বর। আর এই জ্বর নিয়েও আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে বসে গেলাম। কারন যতই যাই হোক পোস্ট তো না করে আর থাকা যাবে না। ডাক্তারের কাছ হতে এসেই বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। আসলে যে যাই বলুক না কেন, দেহ শান্তি তো সব শান্তি। দেহে যদি শান্তি না থাকে তাহলে কি আর মনে শান্তি পাওয়া যায়?
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
সত্যি বলতে বেশ কিছুদিন শরীরটা ভালো না থাকায় বাসায় রান্না বান্নার ও বেশ প্রবলেম হচ্ছে। একদিকে অফিস, নিজের অসুস্থতা, আর তার উপর আবার সংসারের রান্নাবান্না। যদিও ছোট বোন ইদানিং আমাকে রান্নায় বেশ সাহায্য করছে। বেশ কয়েকদিন আগে ছোট বোন একটু অসুস্থ থাকায় আসতে পারেনি। সেদিন অফিস থেকে ফিরে এমন ক্ষধা লেগেছে যে ফ্রিজ থেকে তরকারি বের করে গরম না করেই খেতে বসে গেছি। সেদিন তার কোন এ্যাকশন আমি অনুভব করিনি। যা অনুভব হওয়ার সেটা হলো পরে। মানে ঐ যে রামেল, রামেল মামাই আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে গেল। বুঝিয়ে দিলো যে বুকে একটু ঠান্ডা লাগলে তার পরিনতি কতটা ভয়ানক হতে পারে। তবে কি জানেন? এটা বিশ্বাস করি যে মহান আল্লাহ্ যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই করেন।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শুনেছি সরকারি চাকুরি নাকি শান্তির চাকরি। কত যে শান্তি সেটা আমিই বুঝতে পারছি। যেখানে ১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে অফিস করতে হয়। সেখানে রামেল কে মানে? তাই তো সেদিন রামেল কে উপেক্ষা করেই যেতে হয়েছিল অফিসে। হায়রে! ছাতা কি আর রামেল মানে। যেতে যেতে তো পুরাটাই ভিজে শেষ। কি আর করবো। নিজের তো আর গাড়ী নেই যে ড্রাইভার কে বলবো গাড়ী বের করতে। আর আমি গাড়ীতে বসে ঘুমাতে ঘুমাতে অফিসে যাবো। যাই হোক আসার পথে তো পুরাই গোসল। সেই ভিজা কাপড় শরীরে জড়ানো প্রায় দুই তিন ঘন্টা। বাসায় ঢুকে কোন রকম কাপড় ছেড়ে গোসল করে ফ্রেস হয়ে নিলাম। কিন্তু ততকক্ষনে যা বারোটা বাজার বেজে গেছে। বুকে ঠান্ডা বসে গেছে। সারা শরীর ব্যাথা। শরীরের ভিতরে জ্বর। কিন্তু আমি তো এলোপ্যাথি ডাক্তার দেখাবো না। গেলেই ধরিয়ে দিবে এন্টিবায়োটিক।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
হঠাৎ মনে হলো এলাকার এক হোমিও ডাক্তারের কথা। যার ঔষধ খেয়ে আপনাদের ভাইয়া একবার করোনার মধ্যে সুস্থ হয়েছিল। সেই গল্প আমি আপনাদের সাথে অবশ্যই আরও একদিন শেয়ার করবো। যাই হোক অফিস থেকে ফিরে রাতে দৌঁড়ে গেলাম তার কাছে। ভাইয়া আমার অবস্থা দেখে তো বুঝে গেছে যে আমার অবস্থা বেশ খারাপ। তাড়াতাড়ি আমাকে ঔষধ দিলেন। আর সেই সাথে সেই রাতে বার বার খাওয়ার জন্য বলে দিলেন। উনার সবচেয়ে বড় গুন উনি কোন রেজিস্ট্রার মেইনটেইন করে না। তবে যে যে অসুখের জন্য যায় সেটা ঠিকই উনার মনে থাকে। যাই হোক উনার ঔষধ খাওয়ার পর তো আমার যেমন ঠান্ডা বের হতে লাগলো, তেমন ১০২ ডিগ্রী জ্বর ও আসলো। তবে যদিও জ্বর এখনও আছে, তবুও আজ একটু ভালো অনুভব করছি।
শেষ কথা
শেষ কথা
আমি মনে করি আমাদের সবারই নিজেদের প্রতি একটু যত্নশীল হওয়া উচিত। ছোটবেলায় তো কতই বৃষ্টিতে ভিজেছি। কই তেমন তো অসুস্থ হই নাই। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এই কামনাই করি।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করছি আপু। হ্যাঁ আপু আপনি বেশ কয়েক মাস যাবত অসুখ-বিসুখ আর বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন। আপু অসুখ-বিসুখ বিপদ-আপদ সব আল্লাহর। আপু আপনার যে অবস্থা দেখেছি। আপনি তো ঠিকমত বিছানা থেকে উঠতে আর কথাই বলতে পারছেন না। তার মাঝে যে এত সুন্দর করে লেখে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন এটাই তো অনেক।আপু এখনকার বৃষ্টির পানি ভালো না। এর কয়েক ফোটা মাথায় পড়লে এমনিতে জ্বর এসে যায়। আর এই জ্বর যেতেও সময় লাগে। তার মধ্যে আপনি দুই তিন ঘন্টা ভিজা অবস্থায় ছিলেন তাহলে তো সমস্যা হবেই।চিন্তার কিছু নেই আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।