আর এত অনা বৃ্ষ্টি হবেই না কেন। জলবায়ুর দিন দিন যে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে তো প্রকৃতি আমাদের সাথে রাগ করবেই। আর এই অনাবৃষ্টি হচেছ প্রকৃতির রাগেরই ফসল মাত্র। যাই হোক , আমি কিন্তু আজ আপনাদের মাঝে অন্য একটি বিষয় নিয়ে আসলাম। এমন বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে একবারও প্রিয় খিচুড়ি করবো না। তা কি হয়? আর তাই তো ভেবে নিলাম যে বাসায় একটু গালা খিচুড়ি করলে কেমন হয়। আর সাথে সাথে তাই করে নিলাম। কিন্তু আমি কি শুধু গালা খিচুড়ি খেয়েছি। সাথে তো ছিল আরও প্রিয় কিছু জিনিস। আর তাই তো আজ চলে আসলাম আমার সেই প্রিয় খাবার ‍গুলোর প্রিয় মূহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

গত কয়েকদিন যাবৎ বেশ বৃষ্টি হচেছ। আর এমন বৃষ্টি হলে কিন্তু কিছু সময়ের জন্য চলে যাই সেই ছেলেবেলায়। ‍বৃষ্টি ভেজা দিনে মায়ের হাতের কত রকমের যে রান্না আর ভাজাপুরি খেতাম তার হিসাবে নেই। তাই বৃষ্টির দিনগুলোতে যেমন মনে পড়ে মাকে, তেমনি মনে পড়ে বৃষ্টির দিনের খাবার গুলোর কথা। আর তাই তো বৃষ্টির দিনে একটু গালা খিচুড়ি খাওয়ার জন্য মনটা যেন কেমন করা শুরু হলো। তাই নিজে নিজেই তৈরি করে নিলাম গালা খিচুড়ি। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো যে কি দিয়ে গালা খিচুড়ি করবো? চাল দিয়ে? পোলাউর চাল দিয়ে, নাকি ফ্রিজে রাখা ভাত দিয়ে? ভাবতে ভাবতে কিছুই পাচ্ছিলাম না। চিন্তু ভাবনা করতে করতে ফ্রিজ থেকে বের করে নিলাম মুরগীর মাংস। কারন গালা খিচুড়িরর সাথে কিন্তু মুরগীর ঝোল ঝোল রান্না খেতে বেশ ভালো লাগে।

যাক তাহলে মুরগীর ঝাল ঝাল ঝোল রেসিপি তো হলো। এবার মাথায় আসলো যে বেশী করে মসলা দিয়ে ফ্রিজে রাখা ভাতগুলো দিয়ে খিচুড়ি করার পরিকল্পনা। বেশ মসলা দিয়ে আর বেশী করে পানি দিয়ে ডাল আর ভাত একত্রে ধুয়ে নিয়ে দিলাম বসিয়ে চুলায় খিচুড়ি। সাথে দিলাম প্রিয় আলু। বেশ কিছুক্ষন চুলায় রান্না সেরে নিলাম। আসলে কি করবো বলেন, মুখের স্বাদ বলে কথা। বেশ কিছুক্ষনের মধ্যে ভাত, আলু আর বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রনে তৈরি হয়ে গেল আমার প্রিয় বৃষ্টির দিনের প্রিয় গালা খিচুড়ি। যা কিনা বেশ ঝাল দিয়ে খেলে মুখে দারুন রুচি আসে। তবে আমি কিন্তু গালা খিচুড়ির সাথে শুকনা মরিচ দিতে এবং খেতে ভুল করিনি।

আজ এখানেই শেষ করছি। আগামী সপ্তাহে আবার আসবো নতুন কোন টার্গেট নিয়ে ? মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।