ফটোগ্রাফি পোস্ট- লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা? গরমের তীব্রতায় বেশ অস্থিকর পরিবেশের মধ্যে যদিও আমাদের সময় গুলো পার হচ্ছে, তবুও এরই মাঝে আমাদের কে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যাতে করে আমরা অসুস্থ হয়ে না পড়ি। তাই আমাদের কে বেশী বেশী করে পানি পান করতে হবে। সাথে সাথে নিজেকে দিতে হবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তাহলেই আমরা হয়তো পাবো একটি সুস্থ জীবন। আর নিজেকেও এই অস্থিকর পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবো।
প্রতিদিনের মত করে আজও কিন্তু আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। এখন তো মাঝে মাঝে নিজেকে একজন ফটোগ্রাফার মনে হয়। যেই হারে ফটোগ্রাফি করি তাতে তো মানুষজন হা করে চেয়ে থাকে মুখের দিকে। আর মাঝে সাজে তো ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে মানুষের চোখ রাঙানোও দেখতে হয়। হি হি হি। তাই বলে কি থেমে থাকে এ দুটো হাত? না থাকে না। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আরও একটি ফটোগ্রাফি নিয়ে। আজ কিন্তু আপনাদের জিভে পানি আসার মত কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যেহেতু চাকুরী করি তাই ব্যাস্তময় জীবন আমার। আর তার তাই তো মাঝে মাঝে দেহ হয়ে পড়ে নিথর এবং স্থবির। সেদিন আর কোন কিছুতেই ঘরে চুলা জ্বালাতে মনে চায় না। আর তাই তো মাঝে মাঝেই আমাদের কে রাতের খাবারটি বাহিরেই শেষ করতে হয়। আর সেই সুযোগে আমরা মাঝে মাঝেই চেষ্টা করি কিছু লোভনীয় খাবার খেতে। যার মধ্যে এই রাইস এবং ক্রেসপি চিকেন ফ্রাইটাই আমাদের বেশী খাওয়া পড়ে। কারন এই দুটো খাবারই আমাদের বেশ প্রিয়। আর তাই তো ফটোগ্রাফি করে রাখি আপনাদের কে লোভ লাগানোর জন্য। ।
শীত কিংবা গ্রীষ্ম যাই হোক না কেন। এখন সব সময়ই দেখি পিঠা ওয়ালারা পিঠা বিক্রি করে। আর রাস্তার পাশে বানানো এসব পিঠা কিন্তু আমার খেতে বেশ ভালোই লাগে। তাইতো সুযোগ পেলেই ছুটে যাই প্রিয় এক থালার দোকানে ঝাল ঝাল চিতই পিঠা বা বেশী করে গুড় আর নারিকেল দিয়ে মজাদার এসব পিঠা খেয়ে রুচির একটু পরিবর্তন করতে। আর সেই সময়ই আপনাদের জন্য ফটোগ্রাফি করেছিলাম মনে করে।
বেশ কিছুদিন আগে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম আমার ভাসুরের বাসায়। সেখানে যেয়েই দেখি ভাবী বেশ সুন্দর করে একটি শুটকী তরকারি রান্না করেছে। ভাবীর হাতের রান্না করা শুটকী তরকারি দেখেই যেন মনে হলো খুব সহজেই কয়েক প্লেট ভাত খেয়ে নেওয়া যাবে। আর হলোও তাই। খেয়ে নিলাম অনায়াসে কয়েক প্লেট ভাত। আচ্ছা এমন একটি রেসিপির ফটোগ্রাফি আপনাদের কে না দেখালে কি আর চলে?
পানি পুরি আর ঝালমুড়ি। দুটোই আমার বেশ প্রিয়। আর তাই তো মাঝে মাঝেই এই দুটো আইটেম টেস্ট করতে চলে যাই প্রিয় তালতলা মার্কেটে। বেশ লোভনীয় কিন্তু দুটো আইটেমই। ঝাল মুড়ি যেমন ঝাল ঝাল হওয়া চাই। ঠিক তেমন করে পানি পুরিও হতে হবে ঝালে ভরা। যাতে করে খাওয়ার পরে ও আহ্ করতেই থাকি। আর তেমনি ঝাল ঝাল পানি পুরি আর ঝাল মুড়ির ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের জন্য।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করলাম সেটা হলো গরম গরম জিলাপী। এই জিলাপী আমার মায়ের বেশ প্রিয় ছিল। সত্যিকারের অর্থে আমি আগে তেমন জিলাপী খেতাম না। এখন খাওয়া পড়ে মায়ের কথা মনে হলে। তবে এই জিলাপীর বৈশিষ্ট হচ্ছে এগুলো চিনির তৈরি করা নয়। এগুলো আবার হলো গুড়ের তৈরি। যা খেতে সত্যিই বেশ সুস্বাদু। আর এমন লোভনীয় জিলাপীর ফটোগ্রাফি না করে কি আর থাকা যায়?
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে এসব লোভনীয় খাবারের কথা মনে হলেই কিন্তু চলে যাই বাহিরে । এক সাথে দুই কাজ করে আসি। খেয়েও আসি আবার কিছু ফটোগ্রাফি করেও নিয়ে আসি। হি হি হি।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
এমন মজার মজার মজার ও লোভনীয় খাবার দেখলে সবার তো খেতে ইচ্ছে করবে তাই না। আপনার পোষ্টের সবগুলো খাবারই আমার অত্যন্ত পছন্দের । বিশেষ করে মিষ্টির মধ্যে জিলাপি ও ঝাল মুড়ি আমার অনেক পছন্দের ।আপনার তোলা সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু মজাদার ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ও লোভনীয় খাবার গুলো পোস্ট করার জন্য।
সত্যি কিন্তু প্রতিটি খাবারের স্বাদ এত টেস্ট সেটা বলে বুঝানো যাবে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আমার লোভ লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ছিল। আমিও মাঝে মধ্যে সময় করে কিছু লোভনীয় খাবার খেতে যাই। বেশ গুছানো পোস্ট ছিল আপনার। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও! দারুন একটি কমেন্ট। আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা কোনো কাজ হলো আপু ? ফটোগ্রাফি তো শেয়ার করলেন ঠিক আছে, কিন্তু এত লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি কেউ শেয়ার করে। দেখেই তো একেবারে জিভে জল চলে এসেছে আমার। এখানে থাকা প্রত্যেকটা খাবার আমার খুবই ফেভারিট। ফেভারিট খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে তো সবারই লোভ লাগবে। সারাদিন ব্যস্ত সবসময় পার করার পর কারোরই আর এই কাজগুলো করতে ভালো লাগেনা। খেতে হলে তো করতে হবেই। ইচ্ছে করছে সব গুলো এখনই আমার সামনে এনে উপস্থিত করি, আর তাড়াতাড়ি করে খেয়ে ফেলি।
পোস্ট করার পরে আমিও ভাবছি আসলে এটা কোন কাজ হয়নি আপু। এত এত লোভনীয় খাবারগুলো আপনাদের সবাইকে নিয়ে খাওয়া উচিত ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই অস্বস্তিকর গরমে আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি পানি পান করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। যাইহোক আপু, দারুন কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি খাবার আমার খুবই পছন্দের। পানিপুরির ফটোগ্রাফিটি দেখে বেশি লোভ লেগে গেল।
তাই নাকি প্রতিটি খাবার আপনার পছন্দের? ঠিকানা দেন পার্সেল করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে রাখার জন্য।
Tweet
তাহলে ভিতরে ভিতর এই কাজ চলে না। খালি বাহিরে যান আর খান। আর এখন আবার সব ফটোগ্রাফি গুলো লোভ লাগানোর জন্য আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। বেশ দারুন কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আরে না ভিতরে ভিতরে হবে কেন বাহিরে বাহিরে হয়। সুযোগ হয় না তাই তোমাদের নিয়ে যাওয়া হয় না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য কর পাশে থাকার জন্য।
আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আমার অনেক প্রিয়। বিশেষ করে ফ্রাইড রাইস, জিলাপি, ভাপা পিঠা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দাদা চলে আসেন। আমাদের এখানের ফ্রাইড রাইস খুবই টেস্টি হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এরকম লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি কেউ কিন্তু দুপুর বেলায় শেয়ার করে আপু। অবশ্য এগুলো সকাল বিকাল দুপুর সব সময় খাওয়া যাবে। আমার ফেভারিট খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন, দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে অনেক বেশি। খুবই খেতে ইচ্ছে করতেছে এটা। আমার তো মনে হয় এই খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ কমই রয়েছে। এখানে এমন কোন রেসিপি নাই যেটা আমার কাছে খেতে ভালো লাগে না। এখন যদি এগুলো পেতাম তাহলে তো মজা করেই খেতে পারতাম। একা একা খেয়ে নিয়েছেন, আবার ফটোগ্রাফি দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন।
কি করবো ভাইয়া বলেন পোস্টটি করলাম দুপুর বেলায়! জানা রইল প্রতিটি আইটেম আপনার বেস্ট ফেভারিট। কখনো সুযোগ হলে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।