বুঝলাম না অসুখ বিসুখ কি আমার শরীরে মধু পেয়েছে নাকি? যে আজ দু প্রায় এক মাসের বেশী হলো যে শরীর থেকে যেতেই চাচ্ছে না। মনে হয় কেউ একজন আমার দেহটাকে প্রতিনিয়ত শুধু পেদাচ্ছে। কেউ বলে এটা করো। কেউ বলে ওটা করো। এতো দেখি করার কোন শেষ নেই। আর আমারও যেতে মনে চায় না ডাক্তারের বাড়ী। কেন যেন ডাক্তারের ঔষধে আমার বেশ এলার্জি। তবে এত এত অসুস্থতার মাঝেও চেষ্টা করছি নিজের একটিভিটি ধরে রেখেছি সেটাই অনেক। আপনারা আামার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারি।

কেমন আছেন আপনারা? ভালো আছেন নিশ্চয়। আমিও কিন্তু বেশ আছি। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে আরও একটি রেসিপি নিয়ে। মুখে স্বাদ না থাকলে কিন্তু আমরা কোন কিছু খেয়েও শান্তি ভাই না। তাই তো সেদিন হঠাৎ করে রুই মাছের ঝাল ঝাল রেসিপি করে দুটো ভাত খেয়েছিলাম। আশা করবো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার আজকের রেসিপি। তাহলে চলুন দেখি আসি আমার আজকের রেসিপি।

প্রথমে রেসিপিটির জন্য মসলা এবং তেল প্রস্তুত করে নিতে হবে।

রেসিপির জন্য তেল টমেটো এবং পেঁয়াজ কুচিঁ করে প্রস্তুত করে নিতে হবে।

এবার রেসিপিটির জন্য রই মাছগুলো কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার সেই মাছ গুলো কে হলুদ, মরিচ এবং লবন দিয়ে মেরিনেট করে রেখে দিতে হবে

এবার চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে মসলা মাখানো মাছ গুলো ভেজে নিয়ে আলাদা একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে।

এবার মাছ ভাজা সেই প্যানের মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। তারপর তার মধ্যে একে এক সব মসলা দিয়ে দিতে হবে।

এবার মসলা গুলো পেঁয়াজের সাথে ভালো করে মিশেয়ে দিয়ে একটু মসলার কাঁচা গন্ধটা দূর করে নিতে হবে। তারপর মসলা কসানোর জন্য তাতে সামান্য পানি দিয়ে দিতে হবে।

মসলার উপর যখন তেল ভেসে উঠবে তখন তার মধ্যে টমেটো গুলো দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে কয়েকটি কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে। এবং কিছু সময় কসিয়ে নিতে হবে।

এবার টমেটো গুলো ভালো করে কসানো হলে তাতে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে।তারপর ঢেকে দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে যে মাছ তরকারি বেশ সুন্দর করে কসানো হয়ে গেছে। তখন তাতে সামান্য পানি দিয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে।

বেশ কিছু সময় টমেটো এবং সিমের বিচি কষানোর পর তার মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

এবার তরকারিতে যখন ব্লগ আসবে তখন তার মধ্যে কষিয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।

বেশ কিছুক্ষন পর যখন মাছের ঝোল একটু শুকিয়ে আসবে তখন তার মধ্যে কিছু জিরা গুড়ো দিয়ে দিতে হবে।

আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দেখা যাবে যে তরকারির ঝোল শুকিয়ে গেছে তখন বুঝতে হবে রান্না হয়ে গেছে।

এবার হয়ে যাওয়া তরকারিটি আলাদা একটি ডিসে নামিয়ে নিতে হবে পরিবেশনের জন্য।

গরম গরম রেসিপিটি সেদিন গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করেছিলাম। আর পরিবারের সবাই বেশ মজা করে খেয়েছিল।

এমন একটি স্বাদে ভরা রেসিপি কি আর একা একা খাওয়া যায়? তাই তো পরিবারের সবাই কে নিয়েই সেদিন খেয়েছিলাম এমন একটি রেসিপি। স্বাদের কথা বললে তো আর আপনারা বাসায় তৈরি করে খাবেন না। তাই আশা করবো এক বার রেসিপিটি বাসায় করে দেখবেন।

রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর এমন একটি রেসিপি দিয়ে কিন্তু সেদিন দু প্লেট ভাত খেয়েছিলাম অনায়াসে। আশা করি আপনারা একবার বাসায় তৈরি করে আমাকে রিভিউ দিবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।