❤️শুভ রাত্র্রি প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার❤️। জীবন থেমে থাকার নয়। জীবন চলে তার নিজের গতিতে। জীবনে দুঃখ আসে, আসে বেদনা। আর এই দুঃখ বেদনার মাঝেই আমাদের কে খোজেঁ নিতে হয় আনন্দ। যে আনন্দ আমাদের মন কে করে তুলে সজীব ও সতেজ। আর এজন্য মাঝে মাঝে কিছুটা সময় পেলেই চলে যাই কিছুটা আনন্দ খোজঁ করতে । এবার কোন প্রকৃতি নয়, চলে গিয়েছিলাম আমার প্রিয় একটি ফুডকর্ণারে নিজের পছন্দের কিছু খাবারের খোজেঁ। তাও যদি মনটা কিছুটা সজীব হয়। আমার কিন্তু এসব খাবার খেয়ে মনটা সজীবতায় ভরে গিয়েছিল। আপনাদের কেমন লাগলো বলেন তো।

বেশ কিছুদিন হলো কোথাও খেতে যাওয়া হয়। আগে তো প্রায় চলে যেতাম কাছে ধারে কোন ফুড কর্ণারে । কিন্তু সময়ের অভাবে আজকাল তো সেদিকে যাওয়াটাই ভুলে গেছি। ‍ভুলে গেছি নিজের পছন্দের কোন খাবার খেতে। আজ হঠাৎ করে এক পুরানো বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আর বসে থাকলে পারলাম না। তাই তো চলে গেলাম প্রিয় একটি ফুড কর্ণারে। কিন্তু যার সাথে যাবো তার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করতে হলো অনেকটা সময়। কি আর করার অপেক্ষা করতে লাগলাম।

অপেক্ষার এক পর্যায়ে দেখলাম রাস্তার পাশে এক ভদ্রলোক খুব মজা করে আচার বানাচ্ছে। আমি কি আর দাঁড়াইয়া থাকতে পারি? দৌড়ে গেলাম তার কাছে। নিলাম বিশ টাকার আচার। কাঁচা আম, আমরা, তেতুল, জলপাই , কাঁচা মরিচ দিয়ে বেশ মজা করে বানানো কিন্তু আচাড়টি। যতক্ষনে মামা আচাড় বানাচ্ছিলো ততক্ষনে জিভে পানি টল টল করতে ছিল।

তারপর চোখে পড়লো প্রিয় ফুচকা। এবার কিন্তু আর দাড়াঁতে পারলাম না। কারন বেশ কিছুক্ষন যেহেতু অপেক্ষা করতে হবে তাই ঝাল ঝাল ফুচকাও খেতে কিন্তু ভুল করিনি।

অবশ্য আগে থেকে জানি যে কিসের জন্য ট্রিট। আমার বন্ধুর প্রমোশনের ট্রিট ছিল। তাই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে একটি কেক অর্ডার করে নিয়ে তাতে কনগ্রাচুলেশন লিখে দিলাম।

তারপর বন্ধুটি আসলো। আমরা চলে গেলাম সেই ফুডকর্ণারে । প্রথমে আমরা নিলাম ঠান্ডা সেড করা জুস। দুই পদের ফল দিয়ে করা জুসটি কিন্তু খেতে চমৎকার

এখানকার মরগী ফ্রাইগুলো কিন্তু বেশ মজাদার। তারপর আমরা একে একে অর্ডার করা হলো আরও অনেক আইটেম। যার মধ্যে ক্রেসপি চিকেনটি ছিল অন্যরকমের।

এবার অর্ডার করলো চাউমিন নডুলস। বেশ মজাদার ছিল সেই নডুলস গুলো। আর এতগুলো দিয়েছিল যে বাসায় এসে আর রাতে কিছুই খেতেই হয়নি।

এগুলো তো সবাই চিনেন নাকি? এবার খেলাম মজাদার মাশরুম সুপ আর অনথন। কিযে স্বাদের ভরা রেসিপি। সেটি কি আর বলতে। আচ্ছা এত কিছু খেলে কি আর রাতের ডিনার করা লাগে?

এত কিছুই যখন খেলাম তাহলে প্রিয় ফ্লেবারের কফি কি জন্য খাবো না বলেন তো? তাই তো ঠান্ডা ঠান্ডা প্রিয় ভ্যানিলা কফি খেতে আর মিস করলাম না। ট্রিট যখন নিবো তখন সবকিছুরই নিবো।

আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।