জেনারেল রাইটিং- ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? ভালো তো? চারদিকে যে অবস্থা চলছে তাতে সবাই সবার জন্য দোয়া করি । আর সবাই সাবধানে থাকি। চারদিকে তাকালে এখন ঘরে ঘরে অসুস্থ্য রোগী পাওয়া যাচেছ। ভালো থাকাটা যেন এখন বেশ কঠিন হয়ে দাড়িঁয়েছে। বন্ধুরা আমি @maksudakawsar। আমি বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে সংযুক্ত আছি। তবে আপনারা ভালো থাকলেও আমি কিন্তু ভালো নেই। কি করে ভালো থাকবো বলেন তো। আপনাদের ভাইয়া যে অসুস্থ্য। আজ দু দিন যাবৎ তার ১০২ডিগ্রী জ্বর। তার অসুস্থ্যও আমাকে কাবো করে দিয়েছে। বুঝেনইতো নিজের প্রিয় মানুষটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে থাকলে কি অবস্থা হয়। সবাই দোয়া করবেন উনি যেন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে যান।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
চলছে বর্ষাকাল। আর আমাদের দেশে বর্ষাকাল আসলেই চারদিকে শুরু হয়ে যায় ডেঙ্গু জ্বরের আনাগোনা। কিন্তু এবার কিন্তু মনে হচেছ অন্যান্য বছেরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু বেশ বড়সড় হানা দিয়েছে। এ বছর শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই অসুস্থ্য হচ্ছে। এখন একটু খানি জ্বর আসেলেই মানুষ দৌড়ে যাচেছ হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট করতে। আর যাবেই বা না কেন এবার তো ডেঙ্গু জ্বরের কোন সাইন বা সিনটম এক না।আবার এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার ও বেশী। আর এ জন্য দায় আমাদের সচেতনতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গু প্রকোপ এতোই বেড়েছে যে তাদের জন্য সরকারি হাসপাতাল গুলোতে আলাদা ইউনিট করা হয়ছে। যাতে করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার কোন সমস্যা না হয়। এদেকে দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার নির্ধারিত ৭০০/- টাকায় ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষার করন নিশ্চিত করা হয়েছে। তবুও জনসাধারন কে পোহাতে হচেছ অনেক ভোগান্তি। কেননা প্রতিটি হাসপাতালে যেন রোগীদের জন্য পা রাখার জায়গা নেই। কারন অন্যান্য রোগের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ভাইরাস জ্বর আর ডেঙ্গু জ্বরে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু সরকার নয় জনসাধারন কেও হতে হবে সচেতন। মনে রাখতে হবে আমাদের অসচেনতায় আমাদের কে বিপদের মুখে ফেলে । তাই আমাদের প্রত্যেকে সচেতন হতে হবে। বাহিরের অবস্থা দেখলে তো মনে হয় দেশে মহামারী চলছে। হাসপাতাল গুলোতে এখন সিট পাওয়া যাচেছ না। যাচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই আমাদের কে বিচলিত না হয়ে জ্বর আসার সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। আমরা সাধারণ ভাইরাস জ্বর মনে করে অবহেলা করি। কিন্তু না অবহেলা না করে সাথে সাথে আমাদের কে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
তবে ডেঙ্গু রোগের তেমন কোন ঔষধ আবিস্কার হয় নি। তাই জ্বর আসার সাথে সাথে আমাদের কে প্রচুর পরিমান পানীয় এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম। সেই সাথে সাথে আমাদের বাড়ী ঘরের চারপাশ কে পরিচছন্ন রাখতে হবে। অনেকদিন জমে থাকা ময়লা পানি আর আবর্জনা কে পরিস্কার করে নিতে হবে। নিজের সাথে সাথে আমাদের কে প্রতিবেশীর বাড়ির পরিস্কার পরিচছন্নতার জন্য তাদের কে সচেতন করতে হবে। জ্বর আসার সাথে সাথে আমাদের কে প্রচুর মৌসুমি ফলমুলগ্রহণ করতে হবে। যেমন- আমরা, আনারস, আমলকী ইত্যাদি।
এখনকার বেশীর ভাগ ডেঙ্গু রোগীই শিশু। তাই শিশুদের প্রতি আলাদা খেয়াল দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শিশুরা হলো অবুঝ। আর এসব অবুঝ মনের বাচ্চা গুলো যাতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত না হয় তার জন্য তাদের প্রতি আলাদা নজর রাখতে হবে। এ সময়ে তাদের কে মৌসুমী ফল বেশী খাওয়াতে হবে। জ্বরের লক্ষন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। হাসপাতালগুলোতে এখন দিনেদিনে রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হাসপাতালগুলোতে এখন রোগী রাখার জায়গা ও দিনে দিনে কমে যাচেছ।
মনে রাখতে হবে ডেঙ্গুজ্বর হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তেমন টা নয় কিন্তু। বাসায/ বিশ্রাম ও পরিমিত খাবার দাবার করলেই এই রোগ হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে প্লেটিলেট কমে যাওয়া, রক্ত বমি হওয়া, শরীরের কোথাও রত্ত জমাট বাধা, শরীর হতে রক্তক্ষরন হওয়া, শ্বাস কষ্ট হওয়া সহ জটিল কোন উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই রোগী কে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তা না হলে ঘটে যেতে পারে যে কোন বিপদ।
তাইতো আমাদের প্রত্যেকের উচিত সচেনতা বজায় রাখা। বেশী বেশী ভিটামিন সি যুক্ত এবং মৌসুমী ফল খাওয়া। আর জ্বর হলে অবহেলা না করে সময় মত চিকিৎসকের সরনাপন্ন হওয়া। আর তাহলেই আমরা ডেঙ্গু নামক মহামারী হতে নিজেদের কে রক্ষা করতে পারবো। তাহলে চলুন আজ থেকে আমরা নিজেদের জন্য নিজেরাই পরিবর্তন হই এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব হতে রক্ষা পাই।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের অনূভূতি গুলো জানার।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু এখন বর্ষাকাল চারদিকে পানি বিভিন্ন জায়গায় জমাবদ্ধ হয়ে থাকে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার কোথাও যেন পানি জমে না থাকে মশার বৃদ্ধি না হয়। এটা ঠিক বলেছেন এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি। তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জি আপু সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু খুব সময় উপযোগী একটা ব্লগ শেয়ার করলেন আজ।সত্যি হাসপাতালে রোগী দিয়ে ভরে গেছে।আর বাচ্চাদের বেশী যত্ন নিতে হয়।কারন বাড়িতে না হলেও স্কুল থেকে অনেক বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে এই ডেংগু জ্বরে।আমাদের সকলেরই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ধন্যবাদ আপু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
সময় উপযোগী কিনা জানিনা। তবে বাস্তবতার নিরিখে লেখার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। এখন বর্ষাকাল বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে পানি জমে থেকে এই এডিস মশার জন্ম হয়। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। দিন দিন হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের রোগী বেড়েই চলছে। তাই আমাদের উচিত সরকারের পাশাপাশি আমাদের কেউও সচেতন হতে হবে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু একদমি ঠিক কথা আমাদের কেই আগে সচেতন হতে হবে।
ভাইয়ার অসুস্থতার কথা জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো আপু। প্রিয় মানুষটি অসুস্থ থাকলে ভীষণ খারাপ লাগে দোয়া করি ভাইয়া যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে রক্ষা করুক এই প্রত্যাশাই করি।
দোয়া করবেন আপুু। অনেক দুঃশ্চিন্তায় আছি। ধন্যবাদ আপু ।
আপু সময় উপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি আপু পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে অনেক খারাপ লাগে। আর ভাইয়ার জন্য দোয়া রইল যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।আর ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে শুধু সরকার নয় আমাদের ও সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু দোয়াই আমার জন্য অনেক বড় উপহার। ধন্যবাদ আপু।