কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আর তাই তো আবার চলে আসলাম আপনাদের কাছে নতুন করে আরও একটি ব্লগ উপস্থাপন করার জন্য। জ্ঞান অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা এই তিনটি জিনিসের সমন্বয়েই কিন্তু একজন ভালোমানের ব্লগার তৈরি হয় । যার মধ্যে এই তিনটি দক্ষতা যত বেশী বিদ্যমান তিনি ততবেশী ভালো ব্লগার। আর একজন ভালো ব্লগারই পারে প্রতিনিয়ত তার পোস্টের বা লেখার মাধ্যমে পাঠককে আটকে দিতে। এ জন্যই আমাদের প্রত্যেকেরই ‍উচিত ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট এর মাধ্যমে নিজেকে ক্রেয়েটিভ করে গড়ে তোলা।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। হয়তো তার সেই সকল স্বপ্ন পূরন হয়। আবার কখনও বা হয় না। তবুও মানুষ এগিয়ে যায় সামনের দিকে। এই সব পিছিয়ে পড়া মানুষের ভিড়ে আমিও একজন। জীবনে যখনই কোন কাজ করার ইচেছ জাগে তখনই হয়তো অশুভ কোন সংকেত এসে ভেঙ্গে দিয়ে যায় সেই স্বপ্ন। তারপরও আমি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর এক পর্যায়ে আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের জন্য আরও একটি ডাই পোস্ট নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্টটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।

প্রথমে কার্ডবোর্ড সুন্দর গোল করে কেটে নিলাম।

এবার বসুন্ধরা টিস্যু গুলোর ছোট ছোট তিন পিস নিয়ে সেগুলোকে চারিদারে সমান করে সুন্দর করে এক পিছ বানিয়ে নিলাম।

এবার টিস্যুটিকে এপিট ওপিট চিকন করে এবং পরিমান মত ভাজ করে তার মাঝে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে প্রজাপতির মত করে নিলাম।

এবার এই প্রজাপতির পিসটাকে একসাইট একসাইট করে দুসাইটে থেকে একটি টিস্যু বটে সুন্দর করে একটি ফুল বানিয়ে নিলাম ।

এবার এভাবে একে একে অনেকগুলো ফুল বানিয়ে নিলাম। দেখেন অনেকগুলো সাদ ফুল দেখতে কি অসাধারণ লাগছে। আসলে সাদা হলো জান্নাতের প্রতীক, শান্তির প্রতীক। এই সাদা কালার আমার অনেক পছন্দের তাই ভাবলাম যে সাদা একটি ওয়ালমেট বানাই।

এবার একটি সাদা পেইজকে কেটে নিলাম ওয়ালমেটের পেছনে ডিজাইন করার জন্য। আর এটি দিয়ে ডাট বানাবো।

এবার পেঁচিয়ে আঠা দিয়ে এক এক করে কয়েকটি ডাট বানিয়ে নিলাম ।

এবার ওয়ালমেটের পেছনে ডাটগুলো আঠা দিযে লাগিয়ে কাঁচি দিয়ে সুন্দর করে কেটে ফিনিশিং দিয়ে নিলাম।

এবার আঠা দিয়ে সবগুলো ফুল এক এক করে ওয়ালমেটটি বানানো জন্য সুন্দর করে লাগিয়ে নিলাম।

এবার কাগজ কেটে আরও তিনটি ডাট বানিয়ে নিলাম ওয়ালমেটের নিচের দিকে ডিজাইন করার জন্য। এখন ডাটগুলো আঠা দিয়ে ওয়ালমেটের নিচের সাইটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।

এবার আঠা দিয়ে ডাটের নিচে তিনটি ফুল লাগিয়ে নিলাম।

এবার ওয়ালমেটের মাঝে একটু ছোট ফুল বানানোর জন্য আরও ছোট করে দুপিছ টিস্যু নিয়ে একভাজ করে আগের নিয়মে ছোট একটি ফুল বানিয়ে নিলাম।

এবার আঠা দিয়ে মাঝে ফুলটি বসিয়ে দিলাম আর ভাবলাম যে ওয়ালমেটটি আরও একটু আকর্ষনীয় করার জন্য ফুলগুলোর মাঝে একটি করে বড় পুতি বসিয়ে দেই। ওমা যেই কথা সেই কাজ সাথে সাথে দিয়ে দিলাম আঠা দিয়ে প্রতিটা ফুলের মাঝে পুতিগুলো লাগিয়ে। আর দেখলাম যে সাদা রঙের টিস্যুর ফুল ও তার মাঝে সাদা পুতি দেয়া ওয়ালমেটটি আমার মনটি ছুঁয়ে গেছে। আশা করি আপনাদের সবার মনও ছুঁয়ে যাবে। আর এভাবেই শেষ করে নিলাম আমার আজকের সাদা টিস্যু ফুলের ওয়ালমেট।

আজ এই মূহূর্তে একটিই কথা আমি বলবো যে আমরা চাইলেও আমাদের সব মনের ইচ্ছে পূরন হয় না। কিছু না কিছু অপূর্ণতা আমাদের মাঝেই থেকে যায়। তবুও চেষ্টা করলাম আপনাদের জন্য নতুন কিছু করার। বাকীটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারবো ইনশাল্লাহ্।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।