রেসিপি পোস্ট- মজাদার এবং সুস্বাদু ডেজার্ট পায়েস রেসিপি || Prepare tasty recipe by @maksudakwasar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আমি কিন্তু বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। আসলে শত কাজের মাঝেও নিজেকে ভালো রাখার মত কঠিন কাজ হয়তো আর নেই। কারন আমরা তো মানুষ। আর মানুষ হিসাবে কতই বা ভালো থাকা যায়? তাই তো সবাই চাইলেও ভালো থাকতে পারে না। এই যেমন আমি প্রতিদিন ভাবী আজ বুঝি ফ্রি হয়ে যাবো। কিন্তু না গো দিনের পর দিন ব্যাস্ততা আমাকে আর ছাড়তে চায় না।ে
তবুও তো রান্না করে খেতে হবে। কারন না খেয়ে তো আর থাকা যাবে না। এই তো সেদিন ছিল পবিত্র শবেবরাত। অফিস করে বাসায় যেয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হলো পায়েস। কারন এমন একটি দিনে শ্বাশুড়ী আর আপনাদের ভাইয়া পায়েস খাবে না সেটা কি করে হয় ? তাই তো তড়িঘড়ি করে বসিয়ে দিলাম পায়েস। আর আজ আবার আপনাদের মাঝে সেই পায়েস রান্নার রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।তবে শুনেছি যে রান্নার স্বাদ নাকি সেই রকম হয়েছে। কারন আমি তো আবার মিষ্টি জাতীয় খাবার খাই না। তাই শুনেই বুঝে নিতে হলো। এই আর কি।তবে আপনাদের মতামত শুনলেই বুঝবো যে কতটা স্বাদের ছিল রেসিপিটি।
মজাদার এবং সুস্বাদু ডেজার্ট
পায়েস রেসিপি
মজাদার এবং সুস্বাদু ডেজার্ট
পায়েস রেসিপি
★পোলাউর চাল
★দুধ
★পাউডার দুধ
★চিনি
★ঘি
★ তেজপাতা
★চিলি
★কাঠবাদাম
★ কিসমিস
★দারচিনি
★এলাচ
মজাদার এবং সুস্বাদু ডেজার্ট
পায়েস রেসিপি
মজাদার এবং সুস্বাদু ডেজার্ট
পায়েস রেসিপি
প্রথমে পোলাউর চালগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে তেজপাতা ও ঘি দিয়ে ভালো করে নেড়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এবার একটি প্লেটে প্রয়োজনীয় সব কিছু গুছিয়ে নিতে হবে এবং পরিমান মত চিনিও নিতে হবে।
এবার কাঠবাদাম, কিছমিছ এবং চিলি গুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এবার চুলায় একটি পাত্রে লিকুউড দুধ বসিয়ে ভালো করে ঝাল দিয়ে নিতে হবে।
এবার জ্বাল দেওয়া দুধ হতে কিছু দুধ উঠিয়ে নিয়ে তাতে গুড়া দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার মিক্সড করে রাখা পোলাউর চাল গুলো জ্বালে আনা দুধের মধ্যে ঢেলে দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।এরপর চুলায় সেই দুধ দেওয়া পোলাউর চাল গুলো বারে বারে নেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। এমন করে প্রায় অনেক সময় অপেক্ষা করে নেড়ে নিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষন পর যখন দেখা যাবে যে চুলায় থাকা দুধ এবং চাল জমে এসেছে। তখন গলিয়ে রাখা দুধ গুলো তাতে দিয়ে আবারও বেশ কিছু সময় নেড়ে দিতে হবে।
এবার চুলায় থাকা দুধ আর চালের মধ্যে কয়েকটি কিছমিছ দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।
এবার বেশ কিছুটা সময় চুলায় রান্না হওয়া পর তার সাথে পরিমান মত চিনি দিয়ে আরও কিছুক্ষন নেড়ে নিতে হবে।
কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে আমার পায়েস রান্না হয়ে গেছে।
এবার আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
এবার প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখা কাঠ বাদাম, চিলি ঘি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
এবার নামিয়ে নেওয়া পায়েস এর উপর ভেজে নেওয়া বাদাম এবং চিলি ছিটিয়ে দিলেই হয়ে যাবে আমাদের পায়েস রান্না এবং ডেকোরেশন।
❤️পরিবেশন❤️
❤️পরিবেশন❤️
বেশ সুন্দর করে পায়েস রান্না করে তাতে কাঠ বাদাম এবং চিলি ছিটিয়ে দিলেই দেখতে বেশ দারুন লাগবে।
❤️খাবার টেষ্ট❤️
❤️খাবার টেষ্ট❤️
এমন একটি রেসিপির টেস্টের কথা মুখে বললে কমই হয়ে যাবে। আপনারা চাইলে রেসিপিটি বাড়িতে করে খেয়ে দেখতে পারেন।
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে দু একটি লোভনীয় খাবার বাসায় তৈরি না করলেই কিন্তু নয়। আমার কাছে দারুন লেগেছে সেদিনের ডেজার্ট রান্নার প্রশংসা শুনতে। বুঝতেই পারছেন কতটা স্বাদের ছিল সেদিনের সেই ডেজার্ট রান্না
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
যেকোনো ডেজার্ট আইটেম আমার পছন্দের।কারণ মিষ্টি খাবার আমার পছন্দের ঝালের তুলনায়।আমাদের বাসায়ও সেদিন পায়েস করা হয়েছিল।বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপি পরিবেশন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু এমন মজাটা রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। পায়েস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। এই রেসিপি মাঝে মাঝেই তৈরি করা হয়। তবে আপনি একটু ভিন্ন ভাবে পায়েস তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মূল্যবান মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি দেখছি ফাটাফাটি একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনা শেয়ার করা রেসিপিটি দেখেই কিন্তু বুঝা যাচেছ যে বেশ মজা হয়েছিল। কিন্তু আফসোস হচেছ আমি খেতে পেলাম না বলে। এক কথায় অসাধারণ ছিল আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পায়েস আমার ভীষণ পছন্দ। মিষ্টি খাবার খুব একটা পছন্দ নয় আমার।কিন্তু পায়েসটা আবার ভীষণ পছন্দের।আমি নিজেও খুব মজা করে রান্না করি।আপনার পায়েস দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু।এতো সুন্দর রান্না প্রশংসা ন করে উপায় আছে নাকি।
চলে আসেন তো বাসায়। রান্না করে খাওয়াবো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জীবন মানে শুধু ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা। সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আপু আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পায়েস দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু।
ইস্ আগে জানলে পার্সেল করতাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পায়েস আমার বরাবরই ভীষণ প্রিয় একটি খাবার। আপনার আজকের পায়েসের রেসিপি দেখেতো লোভ লেগে গেলো। মাঝে মাঝে বাসায় এভাবে পায়েস রান্না করে খাওয়া হয়। আর এটা খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার পায়েসের রেসিপি ও নিশ্চয় খেতে অনেক বেশি মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একেবারে ঠিক পায়েস খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পায়েস খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসি। যখনই কোথাও আমি পায়েস দেখতে পাই তখন এটি খাওয়া ছাড়া যেন আমার তৃপ্তি মেটে না৷ আজকে যেভাবে আপনি এই পায়েস তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা একদমই অসাধারণ দেখা যাচ্ছে। একইসাথে এটিকে যেভাবে আপনি তৈরি করে আমাদের মাঝে ডেকোরেশন করেছেন, এর দিকে যেন প্রতিনিয়ত তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে৷ তাকিয়ে থাকতে থাকতে মুখের মধ্যে পানি চলে আসলো৷ অবশ্যই চেষ্টা করব কিছুদিনের মধ্যে এই রেসিপিটি তৈরি করে দেখার৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
তাকিয়ে থাকেন তো ভাই কোন মানা তো নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শুধু তাকিয়ে থাকব নাকি৷ আমাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েন।
মেয়েদের কি আর ছুটি থাকে। তারপরে তো আপনি চাকরি করেন। আপনার তো অবস্থা আরো খারাপ। যাই হোক শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের কথা চিন্তা করে পায়েশ রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এরকম পায়েস খেতে খুব ভালো লাগে। পায়েসের মধ্যে গুড়া দুধ দিলে পায়েসের স্বাদটা একেবারে ভিন্ন রকম হয়ে যায়। খুব ভালো লাগে খেতে।
আমার কষ্টটুকু বুঝতে পারার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।