ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রিয় সহযাত্রী সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই বেশ ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আজ আবার আপনাদের জন্য পোস্ট নিয়ে চলে এলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা সবাই ভোজন বিলাসী খেতে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমি খেতে ভীষণ ভালোবাসি। যদিও আমার খাওয়া দাওয়া একদম কম। তারপরও এই সামান্য খাবারের মধ্যেও আমি মজার মজার খাবার দেখতে বা কিছুটা খেতেও অনেক পছন্দ করি।
হ্যাঁ সহযাত্রী ভাই-বোনেরা আজ আমি পোলাও রেসিপির ব্লগ নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হলাম। যদিও এই রেসিপি পুরানো। এটি হলো রোজার ঈদের রেসিপি। এবার ঈদে ব্যাস্ততার কারনে রেসিপির ব্লগ তৈরী করা হয়ে ওঠেনি। রোজার ঈদে যখন আপুদের বাসায় দাওয়াত ছিল তখন আমি এই পোলাও রান্না করেছিলাম। যদিও আমি ততটা ভালো করে রান্না করতে পারি না। তারপরও কেন যেন সবাইকে রান্না করে খাওয়াতে ভালো লাগে। এবার আপ অসুস্থ ছিল বলে পোলাও আমি রান্না করেছি। যাই হোক তখন পোলাও রান্না করে ছবিগুলো সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। যা আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আমার এই পোলাও রান্নাটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
| পেঁয়াজ কুচি |৪-৫টা | প্রস্তুত প্রণালী ধাপ-১
প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে পরিমান মত পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিলাম। ধাপ-২
এবার পেঁয়াজকুচি একটু লাল হলে তার মধ্যে আদ রসুন বাটা ও পরিমান মত লবন দিয়ে একটু তেলে ভেজে নিলাম। ধাপ-৩
এবার মসলার মধ্যে ধুয়ে ও ঝড়িয়ে রাখা পোলাও চালগুলো দিয়ে দিলাম এবং তার মধ্যে তেজপাতা দারুচিনি এলাচগুলো দিয়ে চালগুলো নেড়ে দিলাম ও তার মধ্যে ১চামচ চিনি দিয়ে নিলাম। ধাপ-৪
এবার চালগুলো একটু মসলার সাথে ভেজে নিলাম। এরপর আগে থেকে গরম করে রাখা পানি পোলাওর চালগুলোর মধ্যে পরিমান মত দিয়ে দিলাম এবং ১৫-২০ মিনিটের মত ঢেকে রাখলাম।কারন এক ভাপে রাখলে চালগুলো একবারে ফুটে যায় ধাপ-৫
এবার ২০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে পোলাও গুলো নেড়ে দিয়ে তার মধ্যে কাচাঁমরিচ দিয়ে আবার ঢেকে দিলাম। ধাপ-৬
এবার পোলাও গুলোর মধ্যে কেওড়া দিয়ে আবারও পোলাও গুলো নেড়ে দিলাম।। ধাপ-৭
এবার যখন দেখলাম যে পোলাও গুলো হয়ে গেছে তখন আগে থেতে এখানে পরিবেশনের জন্য আলাদা করে একটি বাটিতে তুলে রেখে দিলাম। তার মধ্যে তৈরী করে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশনের জন্য গুছিয়ে দিলাম। শেষ-ধাপ
আর এই হলো আমার আপুর বাসায় দাওয়াত খেতে এসে পোলাও রান্না। এটা এখন আপনাদের মাঝে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করবো। পরিবেশন
আর এভাবে হয়ে গেল আমার আজকের ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি। এবার সবাই বলেন কেমন লাগলো আমার আজকের ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি? আমি আশা করবো আমার আজকের এই রেসিপিটিও আগের মতো আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আর এভাবে অবশ্যই রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আজ তাহলে এখানেই আমার রেসিপির ব্লগটি শেষ করছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন সুন্দর ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। এই প্রচন্ড গরমে সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন। পরিচিতি আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমার পছন্দ ঘুরাঘুরি ভ্রমন করা ,ছবি আঁকা,বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে,ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও পেইন্টিং করতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে। |
|---|
ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি খুবই অসাধারণভাবে তৈরি করেছেন। আপনার স্পেশাল পোলাও রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে। পোলাও আমার খুব পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এবার ঈদে আমরাও পোলাও রান্না করেছিলাম আজকেও খেলাম আপু। পোলাও ভাত খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি অনেক মজা করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। দেখে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমরা ভোজন রসিক বাঙালি। মজার মজার খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে উৎসব মুখর পরিবেশে এই ধরনের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
উৎসবে মজার মজার খাবার খেতে কে না ভালোবাসে। আজ আপনি ঈদ স্পেশাল পোলাও রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার পোলাও দেখতে বেশ দারুন হয়েছে। আপনি পোলাও রান্না করার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেশ দারুন সুস্বাদু হয়েছিল সেদিনের সেই পোলাও টি। আপনি কিন্তু আমার বাসায় বেড়াতে এসেও আমাকে এমন সুস্বাদু একটি পোলাও রান্না করে খাওয়ালেন। আর আজ সেই রেসিপিটি সবার সাথে শেয়ার করলেন। এক কথায় অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ এমন সন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পোলাও আমার খুব পছন্দের। আপনি ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি তৈরি করেছেন। স্পেশাল পোলাও তৈরির মাধ্যমে ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে তুলেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। স্পেশাল পোলাও দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। স্পেশাল পোলাও রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ঈদ স্পেশাল পোলাও চমৎকার হয়েছে আপু।কে বলেছে আপনি রান্না করতে পারেন না।আপনার সব রেসিপি তো চমৎকার সুন্দর হয়। আপনার আজকের পোলাও গুলো ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পোলাও খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি খুব মজার পোলাও রেসিপি করেছেন। যদিও এই রেসিপিটি রোজার ঈদে করেছিলেন। হয়তো সময়ের কারণেই রেসিপিটি শেয়ার করেন নাই। তবে এ ধরনের রেসিপি অল্প খেলেও তৃপ্তি লাগে খেতে। খুব মজার রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদ স্পেশাল পোলাও এর রেসিপি খুবই অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন আপু আপনি। পোলাও ভাত খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুস্বাদু করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে বোঝাই যাচ্ছে। এটা করে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
স্বাগতম আপু।