Dining lounge
রিভিউ দেখে খেতে যাওয়া ব্যাপারটা আমার কাছে খুব হাস্যকর লাগে মাঝেমাঝে। এতে আমি দেখেছি অনেককে আশাহত হতে, আবার কাউকে খুব আনন্দিত হতেও। তবে আমার বরাবরের মতই এই ফুড রিভিউ এর প্রতি আপত্তি ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতা শেয়ারিং বিষয়টায় কোন আপত্তি কোনদিনই ছিল না।
কালচারটা এমনটাই হওয়া উচিত। মানুষ তাঁদের অভিজ্ঞতা এসে এসে গ্রুপ গুলোতে শেয়ার করবে। কিন্তু আমি ম্যাক্সিমাম জায়গাতেই দেখি অভিজ্ঞতার থেকে বরং ১০/১০ ব্যাপারটার বেশি চলে আসছে। জিনিসটা আমার মোটেও পছন্দের না। তাই আমিও কোন রিভিউতে না গিয়ে আজকে জাস্ট আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো শুধু।
গিয়েছিলাম খিলগাঁও এর ডাইনিং লাউঞ্জে পাস্তা পিটারপ্যান খেতে।
দাম পড়েছে ৪২৫টাকার মতন ভ্যাট মিলিয়ে।
আমি চিজ লাভার না। ইভেন পিজ্জা লাভারও না। চিজ উঠানো পাস্তা থেকে নিজেকে অনেকটা দূরে রাখি যতটা পারি। তাই লোকমুখে শুনা এই প্যানপাস্তা খাওয়ার আগ্রহ খুব বেশিই ছিল। তবে লোকে যা বলেছিল আমি খাওয়ার সময় তেমনটাই উপলব্ধি করতে পেরেছি। পাস্তাটায় আমি মাংসের পরিমাণ খুব বেশিই পেয়েছি।তাদের বিজ্ঞাপনে লেখা তিন টাইপের মাংসের কথা উল্লেখ থাকলেও আমি পেয়েছি ৪ টাইপের মাংস। এর আগে এদের মাসালা চিকেন টিক্কা চাওমিনের স্বাদ নিয়েছিলাম। সেখানে থাকা চিকেন টিক্কা আমি এই পাস্তাতে পেয়েছি। পাস্তাটায় আমি স্পাইসির অভাব পেয়েছি। একটু স্পাইসি আমার জন্য দরকার ছিল। গরম গরম খাওয়ার সময় মুখে একটা জুসি ভাব আসছিলো , যেটা খুব ভাল লাগলো। আমি রীতিমতন এই পাস্তার ফ্যান হয়েছি এর টেস্টের কারণে। আমি মায়ের হাতের খাবার ছাড়া কোন জিনিসকে আহাহমরি বলি না। তাই এটাকেও আহামরি কিছু বলবো না। তবে জিনিসটা ভালো লেগেছে সব মিলিয়ে।
আমি জাস্ট আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম মাত্র।