কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান পর্ব ০৪-ইউটিয়ুব গ্রাম ভ্রমন (10% beneficiary @shy-fox)
০৪ অগ্রাহায়ণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৯নভেম্বর , ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
১৩রবিউস সানি , ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
ঘুরতে ফটোগ্রাফি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। যখনই সময় পাই তখনই ঘুরতে যায় এবং ফটোগ্রাফি করি।
আজকে আমি ঘুরতে এসেছিলাম কুষ্টিয়া জেলা খোকসা থানার শিমুলিয়া গ্রামে বর্তমান গ্রামটি ইউটিউব গ্রাম নামেই বেশি পরিচিত। এখানে ঘুরে আমার অনেক ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।।
গ্রাম সম্পর্কে কিছু কথা
পৃথিবীর প্রথম ইউটিউব গ্রাম আমাদের কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামটি এরই মধ্যে টক অব দ্য ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
গ্রামের ২৫-৩০ জন স্থানীয় লোক দেলোয়ার মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। চ্যানেলটির নাম "Aroundm BD"। তারা গ্রামীণ জীবন যাপন, প্রধানত রান্না, বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করে। এখানে শত শত মানুষের জন্য রান্না করা হয়,এবং বিনা মূলে খাওয়ানো হয়। রান্নাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিওতে তাদের চ্যানেলে দেখানো হয়।
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তৈরি এই ইউটিউব চ্যানেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ভিডিও কৌতূহলী দর্শকরা উপভোগ করেন। আপনার চোখের সামনে একটি বড় উৎসব রান্না মনে হয়। রান্নার পর শত শত গ্রামবাসীকে বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়। উৎসবের মেজাজে তরুণ-তরুণীদের মাঠে বসে খাবার খাওয়ার দৃশ্যও খুব সুন্দর। শুধু তাই নয়, খোকসার শিমুলিয়া গ্রামে গ্রামীণ জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে থিম পার্ক। । সহজ-সরল গ্রামীণ জীবনকে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে চাইলে চলে আসুন কুষ্টিয়ার ইউটিউব পল্লীতে।
আপনি যখন ইউটিউব গ্রামের সেন্টার পয়েন্টে ঘুরতে যাবেন, সেখানে গেট দিয়ে ঢুকতেই ডানহাতে দেখতে পাবেন বাঁশের তৈরি একটি দোতলা বাড়ি এবং বাড়িটির সামনে বাঁশ দিয়ে বানানো বড় আকৃতির একটি লাভ এবং লাভের মাঝে চরাটপাতা রয়েছে দর্শকদের বসার জন্য। দৃশ্যটি নজরকাড়া নো।
এরপর ভিতরে ঢুকে কিছুদূর এগিয়ে যেতে বাম হাতে পুকুরপাড়ে আপনার চোখে পড়বে বাঁশ এবং খরের তৈরি বড় আকৃতির একটি ঘোড়া এবং ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে রাখা হয়েছে দর্শকদের দেখানোর জন্য।।
গাড়িটির মধ্যে উঠে অনেকেই ফটো উঠে এবং ওখানে বসে থাকে।
এরপরে সামনের দিকে আর এক মিনিট হেঁটে গেলে পুকুরপাড়ে বাম হাতে আপনার চোখে পড়বে তাদের কৃত্তিম মৎস্য হ্যাচারি। হ্যাচারিতে রয়েছে কয়েক প্রকার মাছ, কুচে,
কচ্ছপ এবং আরো অন্যান্য মাছ যেমন শোল,টাকি, মৃগেল ইত্যাদি বিশেষ করে জাপানি
লাল মাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর এবং বড় বড় এবং বড় বড় কালো কালো অনেকগুলা কচ্ছপও আছে তাদের সংগ্রহশালায়।
এরপর সামনের দিকে তাকালেই আপনার চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন একটি দোতলা বাসের তৈরি বাড়ি।।পুকুরের মধ্যে অবস্থিত এবং যাতায়াতের জন্য করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে পথের ব্যবস্থা।।
ওখানে একটু উঠে বসলেই আপনার মন ফ্রেশ হয়ে যাবে সুন্দর হওয়া এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন। আমি ওখানে বসে অনেক সময় কাটিয়েছি যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।।
পুকুরের মধ্যে অবস্থিত দোতলা বাড়ির উপরে উঠতেই আমার চোখে পড়ল ওখানে রাখা বাঁশের তৈরি একটি চেয়ার টেবিল এবং কৃষকের মাথার মাথাল রেখে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং এটি আমি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলি ভালোলাগা থেকে আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
দোতলা বাড়ির উপর থেকে আপনি দক্ষিণ দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন পুকুরের মাঝখানে বড় একটি পানির ফোয়ারা তৈরি করা রয়েছে।
আমি যখন পুকুর পাড়ে ঘুরতে ছিলাম একটু উত্তর দিকে এগিয়ে যেতেই দেখি পুকুরের পাশে খড় দিয়ে একটি বড় কুমির বানানো রয়েছে। কুমিরটি দেখতে মনে হচ্ছে একদম অবিকল কুমিরের মতো। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এবং আমি এটি ক্যামেরাবন্দি করে ফেলি।।
আপনি যখন চারিপাশ ঘুরবেন তখন আপনার খুবই ভালো লাগবে এই জন্য যে চারিদিকে শুধু সবুজের সমারোহ আপনি যেদিকেই তাকায় সেদিকেই শুধু সবুজ গাছের বাগান বিশেষ করে এই জায়গাতে আমগাছের পরিমাণটা বেশি করে লাগানো।
এছাড়াও এখানে প্রায় সাড়ে 3 বিঘা জমির উপরে নতুন করে ফুলের বাগান তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও এখানে বানানো রয়েছে শুকনা খড় এবং বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি জিপ গাড়ি। যা দেখতে খুবই ভালো লাগছে এই ধরনের গাড়ি সাধারণত বাংলাদেশের প্রচলন ছিল 70 দশকের দিকে।
প্রায়ই এখানে প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন।। এরা নিজ খরচে খাবারের আয়োজন করে। গ্রামবাসীকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ানোর জন্য। উপরের ছবিতে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন যে মাংসের মসলা মেশানো হচ্ছে রান্না করার জন্য। একটু পরেই হয়তো গ্রামবাসীর পড়ে যাবে এখানে খাবারের ধুম।
এই ছিল আমার আজকে ইউটিউব গ্রাম ভ্রমণের কিছু চিত্র এবং সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
লোকেশন:
https://w3w.co///smart.finely.wardens
কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান পর্ব ০৪-ইউটিউয়ুব গ্রাম ভ্রমনের কাহিনী টা পরে আমি খুবই হতবাক। আসলে একতাই বল সবাই একসঙ্গে উদ্যেগ গ্রহণ করলে সব কিছুই সম্ভব। আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে ইউনিক একটি জিনিস দেখার সৌভাগ্য করে দিলেন ভাই। আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ইউটিউব গ্রাম সম্পর্কে। তবে আমার কখনও যাওয়া হয়নি এই ইউটিউব গ্রামে। আপনার পোস্ট দেখে এবং পরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেল। ইনশাআল্লাহ খুব শিঘ্রই চেষ্টা করবো যাওয়ার। শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খোকা শিমুলিয়া ইউটিউব ভিলেজে আমিও গিয়েছি। খুব সুন্দর একটি জায়গা।এবং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জায়গাটা। এর পরিবেশ এবং শিল্পকর্মগুলো অনেক সুন্দর।আপনার পোস্টেও বিষয়গুলি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ইউটিউব গ্রামের সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন যেগুলো আমি আগে জানতাম না।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধারার জন্য। ❤️❤️❤️
আপনার ভ্রমণ করা জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল তাতে আর কোন সন্দেহ নাই। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খরের তৈরি বিভিন্ন দৃশ্য গুলো যে কারো মন জয় করে নিতে পারবে। আর পানির নিচে মাছের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার পোস্ট দেখে একদম মুড ভালো হয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর করে আপনার মতামত তুলে ধারার জন্য।
ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে গ্রামটিকে উপাস্থপনা করেছেন, আমি প্রায়ই এদের ইউটিউবে ভিডিও গুলো দেখি এদের ভিডিওগুলো অসাধারণ হয়।
গ্রামটিও খুব সুন্দর, আমার অনেক ভালো লেগেছে, ইচ্ছা আছে এই গ্রাম ভ্রমন করার।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকে আমন্ত্রণ রইল আমাদের কুষ্টিয়া ভ্রমনের জন্য।