জেনারেল রাইটিং:- এলোমেলো জীবনের গল্প।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। যদিও এখনকার পরিস্থিতিতে ভালো থাকা খুব মুশকিল। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। জেনারেল রাইটিং:- এলোমেলো জীবনের গল্প। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
এখন কার দিন গুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। দিন যতই যাচ্ছে নিজের কাছে কেমন যেনো সব কিছু এলোমেলো লাগে। বর্তমান সময় টা খুব খারাপ একটা সময় যাচ্ছে। আমি গার্মেন্টস সেক্টরের স্যাপল সেকশন কাজ করি। তবে সারা বছর জুড়ে বেশির ভাগ ছুটি হয় ৫টায়। একটু কাজের চাপ থাকলে ছুটি হয় ৭টায়। তবুও আমরা যারা আছি বেশ মানিয়ে নিয়ে কাজ করি।
তবে দুই ঈদ আসলে গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের কে মনে হয় মানুষ মনে করেন করা। যেমন তাদের দুই ঈদে আসলে অফিসে কাজের চাপ বেরে যায়। ঈদের ছুটিতে তারা শ্রমিকদের জীবন শেষ করে দেয়। যেমন শ্রমিকদের কে অফিস এ জেনো বন্দি করে রাখতে চায়। সকাল ৮টায় যায় আর প্রতিদিন রাত ১০-১২টায় ছুটি হয়। পুরো শ্রমিকরা ১৩-১৫ ঘন্টা অফিসের ভিতরে বন্দি থাকে।
যখন ছুটি হয় তখন মনে হয় বন্দি খাঁচা থেকে মুক্তি পায়। যেমন পাখিরা বন্দি খাঁচা থেকে বের হয়ে আকাশে প্রান খুলে উরে বেরার ঠিক সেভাবে অফিস ছুটির পরে তারা রাস্তায় সেভাবে তাড়াতাড়ি করে বাসায় যায়। গিয়ে তো আবার আর এক জালা কারন গ্যাস থাকে না। তারা রান্না করবে কিভাবে। এভাবেই কোন মতো খাওয়া দাওয়া করে গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কাজ করে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের কে গার্মেন্ট মালিক তার ইচ্ছা মতো কাজ করান। আসলে এভাবে কাজ করলে অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পরেন। তবুও অনেকেই ছুটি পায় না। খুব খারাপ অবস্থা কারন তারা ঈদের সময় শুধু কাজ চিনে আর কিছু চিনে না। আসলে এভাবে কাজ করে আমিও খুব বিরক্ত তবে কিছু করার নেই। জীবনে তো যুদ্ধ করতেই হবে।
আমার বেশ কিছু এলোমেলো জীবনের গল্প শেয়ার করলাম। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | এলোমেলো জীবনের গল্প। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটিং | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1669176931349299200?t=mMqMr6psxGELkhV_-uAyGg&s=19
ভাই আমি শুনেছি যারা গার্মেন্টসে কাজ করে এদের অনেক কষ্ট করতে হয়। এটাও শুনেছি যতটা পরিশ্রম করে তার ফল পায় না। ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা যদি কাজ করতে হয় তাহলে বন্দি খাঁচার পাখির মতোই জীবন। এত সময় ধরে কাজ করলে তো মানুষ খুব সহজে অসুস্থ হয়ে যাবে এটা তো স্বাভাবিক। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লেগেছে ভাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে জীবনের গল্পটাই এমনই যারা মালিক শ্রমিক আছেন তাদের মধ্যে খুব ভিন্নতা কিংবা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। মালিকরা শ্রমিকদের অনেক বেশি শোষণ করে আমাদের এই সমাজে। আপনি অনেক সুন্দর এলোমেলো জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন আসলে জীবন মানে হচ্ছে মানিয়ে নেওয়া। মানিয়ে নিতে পারলে সবকিছু সহজ ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আসলে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে তাদেরকে সেই গার্মেন্টসের মালিক মানুষ মনে করে বলে আমিও মনে করি না। দিনরাত পরিশ্রম করায় তাদের। এত সকাল সকাল গার্মেন্টসে চলে আসে এবং অনেক রাতে বাসায় ফিরে আবার বাসায় গেলেও গ্যাস থাকে না। যারা নিজেরা রান্না করে খায় তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয় এর পরে। শ্রমিকরা অসুস্থ হলেও তারা ছুটি পায় না। অনেক বেশি শোষন করা হয় আমাদের সমাজে শ্রমিকদেরকে মালিকেরা। আপনি সেই মানুষগুলোকে নিয়ে আজকের পোস্টটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।