জেনারেল রাইটিং:- এখন আমি কি করবো?
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। জেনারেল রাইটিং:- এখন আমি কি করবো? আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
আজকে আমি যে লেখাটি লিখতে চলেছি সেটি হচ্ছে আমার বন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। আমার বন্ধু নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান সে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে। তবে তার গ্রামের একটি মেয়ে তাকে ভীষণ ভালোবাসে। মেয়েটি পড়ে ক্লাস নবম শ্রেণীতে। দু'জনের মধ্যে ভালোবাসা চলতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে তাদের দুজনের ভালোবাসার কথা সবাই জেনে যায়।
আর এদিকে এবার তার প্রেমিকা মীমের জন্য ছেলে দেখা শুরু করে দেয়। এরপর এই খবরটি মীম মিজানুর কে দেয়। তার পরে তারা দুজন বুদ্ধি করে বাসায় থেকে পালিয়ে এসে ঢাকায় বিয়ে করে। তার পরে তারা দুজন মিলে ঢাকার বাসায় প্রায় ১০ দিন এর মতো থাকে। এর পরে মীম এর আব্বু মিজানুর কে ফোন দেয়। তার পরে সুন্দর করে বলে দেখো বাবা তোমরা দুজন তো ভুল করেছো। যাক তোমরা এখন বাসায় ফিরে আসো। আমরা তোমাদের কে মেনে নিবো।
এর পরের দিন দুজন মিলে বাড়িতে যায়। তবে মেয়ের বাবা তার মেয়েকে রেখে মিজানুর কে চলে যেতে বলে। এর কিছুদিন পর মীম এর পরিবার মীম এর সাথে জোর খাটিয়ে মিজানুর কে ডিভোর্স দেয়। মিজানুর এটা মেনে নিতে পারে না। তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল তারা দুজন সারাজীবন এক সাথে থাকবে। এর পরে মিজানুর কোন কাজেই মন বসাতে পারতো না। খেতে ও পারতো না। এবং রাতে ঘুমাতে ও পারতো না।
এর পরে মিজানুর এক জন ডাক্তারের নেন। ঔষধ খাওয়ার পর ও সে ঘুমাতে পারতো না। শুধু মীম এর ছবি এবং তার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। এভাবে চলতে থাকে এক সপ্তাহ। এর পরে মীম এর বিয়ে ঠিক হয়। তবে মীম রাজি না। আর এদিকে তো মিজানুরের খুব খারাপ অবস্থা। দিনের পর দিন শরীরের সমস্যা হচ্ছে। সে কোন ভাবেই ঘুমাতে পারছে না। সে এখন কি করবে কোন ভাবেই খুঁজে পাচ্ছিলো না।
গতকাল মিজানুর সুইসাইড করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নেয়। গতকাল যখন খবর টা পেলাম যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কয়েকদিন আগেও মিজানুর এর সাথে আমার কথা হলো। সে খুব ভালো ছেলে অকালে এভাবে প্রান দিয়ে দিবে ভাবতেই পারিনি। তার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল সে জান্নাত বাসী হোক এই কামনাই করি। সকলেই আমার বন্ধুর জন্য দোয়া করবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | এখন আমি কি করবো? |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটিং | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আপনার বন্ধুর কথাটা শুনে। তাদের দুজনের উচিত হয়নি আবারও ফ্যামিলির কাছে চলে যাওয়া। ফ্যামিলি যদি সম্পর্কটা মেনে নিত, তাহলে ছেলেটা এতদিনে বেঁচে থাকতো। এর ফলে কিন্তু একসাথে দুইটা জীবনই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনি বাস্তবিক গল্পটা এত সুন্দর করে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার বন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল ভাই। এভাবে সুইসাইড করে নেওয়া ঠিক হয়নি আপনার বন্ধু মিজানুরের। জীবনে প্রেম ভালোবাসা ঠিক আছে, তবে সে ছেড়ে চলে গেলে যে জীবন ত্যাগ করে দিতে হবে এটা তো ঠিক কাজ নয়। ফ্যামিলি মেনে নিলে হয়তো এই ব্যাপারটা ঘটতো না, তবে না মেনে নিলেও সুইসাইড করে নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত মোটেও কাম্য নয়। আপনার বন্ধুর জন্য অনেক অনেক প্রার্থনা রইলো ভাই, সে যেখানেই থাকুক যেন ভালো থাকে।
আমরা সবথেকে কোনটা ভুল করে জানেন। যখন একটা মেয়েকে আমরা ভালোবাসি আমাদের ভালোবাসার কথা আমরা আশপাশের মানুষকে বলি। আমরা বিশ্বাস করে অনেকেই কথাগুলি বলি কিন্তু এই কথাগুলি বলার কারণে কিন্তু আমাদের ভালোবাসা টিকে থাকে না। প্রকৃতপক্ষে তারাই বুদ্ধিমান তারা গোপনে ভালোবাসা চালিয়ে। হঠাৎ বিয়ে করে ফেলে আর কোন ঝামেলা হয় না। তারা যে বুদ্ধি করে ঢাকায় পালিয়ে আসলো আমার জানামতে তারা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। তাদের উচিত ছিল নিজের বাবা মাকে মানিয়ে নেওয়া। তারা যেহেতু চলে গিয়েছিল তাদের আসা উচিত হয় নাই। তারা একটা বাচ্চা নিয়ে আসতে পারতো। তাহলে কিন্তু কখনোই ডিভোর্সের পথে তারা যেতে পারত না। ভাইয়া একটা পুরুষ মানুষ কিন্তু কোন কষ্টই কষ্ট লাগে না কিন্তু যদি মানসিক শান্তি গুলো অশান্তি ঘটায় তাহলে কিন্তু সে পুরুষ মানুষটা কখনোই কোন কাজে শান্তি পায় না।প্রিয় মানুষটাকে ভোলা ভাইয়া অসম্ভব। যাকে মন থেকে ভালোবাসা যায় তাকে কখনোই ভোলা যায় না । খুবই খারাপ লাগতেছে যে মিজানুর সুইসাইড করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো।😥 হায়রে ভালোবাসা। হায়রে পরিবার। পরিবারের জন্য যে কত জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আত্মহত্যা করতেছে ধারণার বাইরে। পরিবার যদি ঠিকঠাক ভাবে মেনে নিত। তারা তো সংসার করবেনা। সংসার করবে ছেলে আর মেয়ে যদি ঠিক থাকে তাহলে পরিবারের সমস্যাটা কোথায়। আজকে পরিবার ঠিকই বুঝতে পারতেছে কিন্তু আমাদের মাঝে আর মিজানুর রহমান নেই।আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। কিন্তু ভাই আমরা মুখে বলি যে আত্মহত্যা কেন করল? যার সাথে এমন ঘটে সে ব্যক্তি বুঝতেছে সে কেন আত্মহত্যা করল? খুবই খারাপ লাগতেছে আপনার বন্ধুর জন্য দোয়া রইল সে যেন জান্নাতবাসী হয়।আমাদের প্রতিটা পরিবারের ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যে আমার মেয়ে যেখানে শান্তি পাবে সেখানেই তার বিয়ে দেওয়া হোক। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুব সমাজটা নষ্ট হয়ে যাবে আস্তে আস্তে। খুবই খারাপ লাগলো ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1728226918707978398?t=3xNxIgrZlR9dkg1S7ytxzw&s=19
খুবই কষ্ট পেলাম ভাই। অকালে একটা প্রাণ ঝড়ে গেল শুধু এক পক্ষের জেদের জন্য। দুই জনের পরিবার মিলে বসে খুব সুন্দর ভাবে সমস্যার সমাধান করা যেত।আপনার বন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার পরিবারকে সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধরার শক্তি দিক।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দুই পরিবারের মাধ্যমে কথা বলেও সমস্যা সমাধান করা যেতো। দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটি পরছিলাম কিন্তুু শেষের লেখাগুলো পড়ার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আসলে বাবা,মায়ের এমন জিদের ফলে নষ্ট হয়ে যায় হাজারো ছেলে কিংবা মেয়ের জিবন।মেয়েটা কি পারবে সুস্থ ভাবে সারাজিবন সংসার করতে অন্য কোথাও।মিজানুরের বাবা,মায়ের কি অবস্থা হয়েছে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।জিদের কারণে তরতাজা প্রাণ চলে গেলো একটা।বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে নিশ্চই দিশেহারা আপনি হওয়াটাই স্বাভাবিক। পোস্ট টি পড়ে আমারি তো খুব খারাপ লাগছে।
জি আপু আমার এতো বেশি খারাপ লেগেছে আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
এই ধরনের ঘটনা গুলো অনেক জায়গায় দেখা যায়, যেগুলো শুনলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। মিজানুর সুইসাই করে মারা গিয়েছিল, এটা জেনে সত্যি আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। আপনি যখন ওনার খবরটা পেয়েছিলেন, আপনার কাছে অনেক বেশি কষ্ট লেগেছিল নিশ্চয়ই। পুরো পোস্টটার মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুর ছোট্ট জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন ।
আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে সত্যিই নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগলো বর্তমানে সময়ের প্রেম ভালবাসাগুলো হয়তোবা এমনই হয়। এজন্যই তো প্রেমের দিকে ছুটতে নেই, সত্যি কারের ভালোবাসার কোন মূল্য থাকেনা এই পৃথিবীতে। যদিও এখানে মেয়ের বাবা অনেকটাই বুদ্ধি করে তাদেরকে বাসায় নিয়ে গিয়ে মিজানুরের থেকে তাকে ডিভোর্স করিয়েছে এটা খুব একটা ভালো কাজ করেনি তবে এদিকে আমিও বলব যে মিজানুর এবং মিম যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল এটা তো তারা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে নিয়েছে, একজন বাবা তার মেয়ে এবং ছেলের কাছ থেকে এরকমটা কখনোই আশা করেনা। শেষ পর্যায়ে গিয়ে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো এটা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পরিচয় নয়। বন্ধু হিসেবে আপনার খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। যে ভালোবাসা পৃথিবীতে থাকতে দেয় না সে ভালোবাসা করে কোন লাভ নেই। যাই হোক চিন্তা করবেন না ইনশাল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দোয়া করবেন আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।