নাটক রিভিউ:- কথা ছিল।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
নাটক | কথা ছিল। |
---|---|
কাহিনী ও পরিচালনা | শহীদ উন নবী। |
চিত্রনাট্য | রাশাদুল ইসলাম। |
অভিনয়ে | ইয়াশ রোহান, তানজিম সায়ারা তোতিনি,শহীদুজ্জামান সেলিম, সাবিহা জামান, শেখ স্বপ্না,আজম খান, মাহি, আরও অনেকেই। |
ধরন | সামাজিক ও শিক্ষা মূলক। |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ। |
মুক্তিপায় | ০৯-১৮-২০২৩। |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট। |
নাটকটিতে ইয়াশ তার অফিস এ কাজের জন্য। একটা রেস্টুরেন্টে বসে তার অফিস কলিগদের সাথে কথা বলতে থাকে। আর এদিকে তটিনী রেস্টুরেন্টে আসে খাবার জন্য তার বান্ধবী কে সাথে নিয়ে। খেতে থাকে তারা হঠাৎ করে কেনো জানি তটিনী সামনের দিকে আসতে থাকে। তখন তটিনীর গলায় খাবার আটকে যায়। আর এবার তো ইয়াশ দৌড়ে গিয়ে তটিনী কে রক্ষা করে। তার পরে তো তটিনী ভুল বুঝে ইয়াশ এর গালে থাপ্পড় মারে। বাসায় এসে তার তাদের ভুল বুঝতে পারে। এর পরে আবারো পরের দিন রেস্টুরেন্টে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ইয়াশ কে পায় না। তার পরে সে তার ফোন নাম্বার ওখানে দিয়ে আসে।
ইয়াশ কিছুদিন পরে রেস্টুরেন্টে আসে। এবার তো রেস্টুরেন্টে থেকে তটিনী কে ফোন দিয়ে আসতে বলে। এর পরে কিছুক্ষণ পরে তটিনী আসে। ইয়াশ যদিও তাকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। তার পরে তাদের মধ্যে কথা হয়। এভাবে চলতে চলতে তাদের মধ্যে বেশ ভালোই চলতে থাকে। হঠাৎ করে একদিন তো ইয়াশ এর মা ইয়াশ এর কথা বলা শুনতে পায়। তার পরে তটিনী কে বাসায় নিয়ে আসতে বলেন। পরের দিন বাসায় নিয়ে আসে তটিনী কে। এর পরে তো ইয়াশ এর মা তটিনী কে ভীষণ আদর করে এবং হাতের চুরি খুলে পরিয়ে দেন।
কিছুদিন পরে তারা তটিনী দের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের বিষয়ে কথা বলেন। এর পরে সবাই রাজি হয়ে যায়। আর এদিকে তটিনীর পরিবার থেকে ইয়াশ এর বাবার কথা বলছিলো। ইয়াশ যখন তার মায়ের পেটে তখন তার বাবা কোথায় জানি চলে যায় পরে আর তার মা খোজেনি। এবার ইয়াশ এবং তটিনী মিলে ইয়াশ এর বাবাকে খুঁজে বের করেন। এর পরে তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়। এবং তটিনী ও ইয়াশ এর বাবাকে অনেক বুঝিয়েছে বিয়েতে আসার জন্য। আজকে দুজনের বিয়ে তাদের বিয়ে পরানো হচ্ছে। ইয়াশ এর বাবার কথা বলা হলে তখন ইয়াশ এর বাবা চলে আসেন।
বিয়ে শেষে এবার ইয়াশ এর বাবা ইয়াশ এর মায়ের কাছে গিয়ে তার ভুল গুলো শিকার করেন। এবং ইয়াশ এর মাকে অনেক ধন্যবাদ জানান। এর পরে তটিনী কে ইয়াশ এর বাবা ধন্যবাদ দেন। তার জন্য সব কিছু ঠিক হলো। তার পরে ইয়াশ এর বাবা চলে যেতে চায়। তখন ইয়াশ এসে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে। তখন তার বাবা বলে তোমাদের সাথে আমি অনেক অবিচার করেছি। পারলে তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। এর পরে সবাই পরিবারের সবাই মিলে ছবি তোলেন। তার পরে নাটকটি এখানে শেষ হয়।
প্রথমেই পরিচালক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভিন্নধর্মী এবং বাস্তব সম্মত একটি নাটক উপহার দেওয়ার জন্য। নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বাস্তবতার সাথে নাটকটি মিলে গেছে। এধরনের নাটক গুলো আরো বেশি বেশি চাই। এসব নাটক গুলো থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। নাটকটিতে একজন বাবার অবর্তমানে তার স্ত্রী তার ছেলে কে একাই ছোট থেকে বড় করেন। এবং মানুষের মতো মানুষ করে তুলেন। এর পরে ২৭ বছর পর ছেলে তার বাবাকে দেখতে পায়। এধরনের ঘটনা গুলো মাঝে মধ্যে দেখা যায়। আপনারা চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন। আশাকরি আপনাদের সবার নাটকটি দেখে ভালো লাগবে। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সব সময়ই চেষ্টা করি আপনাদের কে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ:- | নাটক রিভিউ। |
---|---|
ডিভাইজ:- | realme 9 |
বিষয়:- | নাটক রিভিউ:- কথা ছিল। |
লোকেশন :- | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রিভিউ | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
ভাইয়া আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা ছিল নাটকটি দেখতে। নাটকটির নাম, কথা ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমি মাঝে মাঝে নাটক দেখে থাকি। কারণ নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এবং কি নাটকের রিভিউ পোস্টগুলো ও আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার এই নাটকের রিভিউটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। সম্পূর্ণ কাহিনী রিভিউর মাধ্যমে পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর ছিল এটা বলতে হচ্ছে।
ইয়াস রোহান এবং তটিনি অভিনিত খুভ সুন্দর একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুব ভাল লাগলো গল্পটা পরে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
এদের অভিনয় কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
এমন ঘটনা আসলেই দেখা যায় যে, বাবা দীর্ঘ কয়েকবছর পর ফিরে আসে। হয়তো অনুতাপে বা অন্যকোনো কারণে হারিয়ে গিয়েছিল তাদের থেকে! তটিনী আর ইয়াশের শেষটা সুন্দর হয়েছে এজন্য ভালো লেগেছে বিষয়টা।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আপনার রিভিউ পড়ে বুঝতে পারছি এর কাহিনী একদম ভিন্ন। এখনো দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
সন্তানের বাবা ছাড়া সন্তানকে লালন করার কি যে কষ্ট তা একমাত্র মা ই বুঝতে পারে। নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া আপনিও নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ইয়াসের বাবা ইয়াস এবং তার মায়ের এর কোন দায়িত্ব পালন করেনি জন্যই তার অনুশোচনা থেকে চলে যেতে চাচ্ছিলো। যাই হোক শেষে হয়তো মিল হয়েছে। বেশ ভালই লেগেছে নাটকটি।
সময় করে দেখতে পারেন আশাকরি ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
এরকম ধর্মীয় এবং বাস্তব সম্মত নাটক গুলো দেখতে আমিও খুবই পছন্দ করি। কথা ছিল নাটকটার রিভিউ পোস্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই নাটকটার রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে করেছেন। এই নাটকটা যদিও এখনো আর দেখা হয়নি, তবে সময় পেলে চেষ্টা করব নাটকটা দেখে নেওয়ার। সব মিলিয়ে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ পোস্ট।
ভাই আপনার এই নাটকের রিভিউ পড়ে আমাদের গ্রামের একজনের কথা মনে পড়ে গেল। সম্পর্কে আমাদের গ্রাম্য চাচা হয়ে থাকেন। উনি ছোট সন্তান এবং তার স্ত্রীকে ফেলে আটাশ বছর কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে মা অল্প অল্প করে তাকে লালন-পালন করে বড় করে তোলে। আজকের নাটকটি সত্যি বাস্তবমুখী একটা নাটক। নাটকের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া। কিছুদিন আগে এই নাটকটি আমি দেখলাম। সত্যি নাটকটি বেশ চমৎকার। আপনার নাটক রিভিউ টি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ।