গল্প:- ছোট বেলায় পিকনিক করার মজার একটি গল্প।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে । গল্প:- ছোট বেলায় পিকনিক করার মজার একটি গল্প। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
ছোট বেলায় মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। আর যখনি কোন ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে তখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। তেমনি একটি মজার গল্প আজকে শেয়ার করতে চলেছি। ছোট বেলায় অনেক দুষ্টু ছিলাম। আমাদের গ্রামে আমাদের সমবয়সী ছেলে ছিলো অনেক বেশি। এই সুবাদে আমরা শৈশব চমৎকার কাটিয়েছি। আমাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচ জন ছিলো গাছের ডাল দিয়ে বাটুল তৈরি করে পাখি শিকার করার ওস্তাত।
আমাদের বাড়ির পাশে একটা বিশাল বড় বিল রয়েছে। আর এই বিলের মধ্যে শাপলা ফুল ফুটে দেখতে অসাধারন লাগে। আর শীতকালে তো আরো বেশি সুন্দর লাগে। শীতকালে বিভিন্ন ধরণের অতিথি পাখিরা সেখানে ঘুরতে আসে। যদিও সেখানে অনেক ধরনের লোক এসে বন্ধুক দিয়ে পাখি ধরে নিয়ে যেতো। পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরে থেকে বিভিন্ন ধরণের বালি হাঁস সেখানে বেড়াতে আসতো।
আমাদের টার্গেট ছিলো বালি হাঁস ধরা। আমরা বালি হাঁস ধরার জন্য গাছের ডাল কেটে বাটুল তৈরি করি আর সাথে অনেক গুলো পাথর নিয়ে নেই। একদিন আমরা ছয়জন মিলে মিশনে নামলাম বালি হাঁস ধরার জন্য। তিন জনের হাতে ছিলো বাটুল আর তিন জনের হাতে ছিলো পাথর। তার পরে আমরা আসতে আসতে বিলের পাশে দিয়ে হাঁটতে থাকি। আর চতুর্দিকে ধান ক্ষেত ছিলো। এজন্য আমাদের কে সেভাবে বালি হাঁস দেখতে পারেনি।
আমি এবং আমার এক বন্ধু মিলে প্রথমে একটা বালি হাঁস টার্গেট করলাম এর পরে বাটুল দিয়ে পাথর মারলাম। পাথর গিয়ে বালি হাঁসের গলায় লাগে। তখন বালি হাঁস টি পরে যায়। আমার পাশে থাকা এক বন্ধ দৌড়ে গিয়ে হাঁস টিকে ধরে। এভাবে আমরা সবাই মিলে দুই টা বালি হাঁস ধরে নিয়ে আসি। এর পরে বাসায় এসে সবাই মিলে পিকনিক করার পরিকল্পনা করা। যেই কথা শেই কাজ শুরু করে দেই। নদীর পাড়ে ছোট একটা ব্রিজ ছিলো এই ব্রিজ এর মধ্যে আমরা বালি হাঁস রান্না করে পিকনিক করেছিলাম। বালি হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনারা যদি কেউ খেয়ে থাকেন কেমন লাগে খেতে অবশ্যই জানাবেন?
আমরা সবাই মিলে জমিয়ে সেদিন মজা করেছিলাম। পাশে ছিলো গান চালানোর জন্য বক্স আর আমার বন্ধুরা কয়েকজন তো সেই উল্টো পাল্টা ড্যান্স দিয়েছিলো। এখন তাদের ড্যান্স এর কথা মনে পড়লে হাসি চলে আসে। ছোট বেলায় বেশ ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম। গল্পটি কে একটু সাজিয়ে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | গল্প। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | ছোট বেলায় পিকনিক করার মজার একটি গল্প। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটিং | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
ছোটবেলায় কিন্তু আমরাও এরকম অনেক পিকনিক করেছি ভাই। এরকম পিকনিক করার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে। সকল বন্ধুরা মিলে যখন একসাথে পিকনিক করা হতো তখন সত্যি অনেক মজা হত। আপনি তাহলে ছোটবেলায় অনেক বেশি দুষ্টু ছিলেন তা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
ছোট বেলার ঘটনা মনে পড়লে সত্যি হাসি পায়। আপনার দেখছি বালি হাঁস মেরে তারপর পিকনিক করেছেন।আসলে ভাইয়া বালি হাঁসের মাংস কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে বালি হাস পেলে খেয়ে দেখতাম। যাইহোক ভাইয়া আপনার ছেটবেলার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল।
যদিও কাজটি অন্যায় হয়েছে,কিন্তু আসলে ছোট বেলায় এত মাথায় থাকে না৷ ছোট বেলায় সবারই প্রায় এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে আমি এমন ভাবে কখনো শিকার করি নি৷ আপনার পিকনিকের অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগল।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
তাহলে আপনাদের টিমকে যদি সিকারি টিম বলা হয় তাহলে মনে হয় ভুল হবে না। বাঁটুল দিয়ে বেলেহাস শিকার করা সেটা তো অনেক আগের পদ্ধতি ছিল যাইহোক বন্ধুদের সাথে এমন হাজারো স্মৃতি থাকে যেগুলো চিরদিন মনে থাকে আপনার সেই মজার ঘটনাগুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাই এধরনের মজার ঘটনা গুলো মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেলে আসা শৈশবে কত কিছু না করেছি কত মজার দিন পার করেছি এখন সবই স্মৃতি হয়ে স্মরণে রয়ে গেছে।
এরকমভাবে আমরাও নদী থেকে বেলে হাঁস ধরে পিকনিক করেছিলাম একবার।
আপনার ছোটবেলার পিকনিকের গল্পটি শুনে খুব ভালো লাগলো নাচ গান আর আনন্দ উল্লাসে সবাই নেতা ছিলেন।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলে একটা সময় ছিল মানুষ পিস্তল নিয়ে বের হতো পাখি মারার জন্য। যদিও সেটি এখন তেমন একটা দেখা যায় না। কারণ বন বিভাগ কর্তৃক এটি নিষেধ রয়েছে। যাইহোক আপনারা বালি হাঁস ধরার জন্য যে পরিকল্পনা করেছেন খুব ভালো লাগলো। এরকম অভিজ্ঞতা কখনোই ছিল না আমার, বা কখনো পাখি ধরতে পারিনি এভাবে। তবে আপনাদের বালি হাঁস ধরা ও পিকনিক করার বিষয়টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে ছোটবেলায় আমাদের অনেক আনন্দের স্মৃতি রয়েছে। আর ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলো কখনোই ভোলা যায় না। আসলে আগে এটা অনেক বেশি দেখা যেতো, মানুষ বন্দুক দিয়ে পশু পাখি ধরত। আর এখন এইসব কিছু বিলুপ্ত হয়েছে এটা সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল আমার কাছে। যাইহোক আপনারা অনেক মজা করে পিকনিক করেছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1698511099031618033?t=I01azxE2QGQji0_Mw4jVQw&s=19
আপনার ছোটবেলার খুব সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঘটনাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে নিয়ে বাটুন তৈরি করে ছোট ছোট পাথর দিয়ে বাঁলি হাঁস ধরার জন্য বিলে গিয়েছিলেন।এই ঘটনাগুলো ইন্টারেস্টিং।বড় হয়ে ছোটবেলার এসব ঘটনায় খুব ভালোভাবে মনে পড়ে এবং বারবার সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। যাই হোক এত সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।