সবজি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝাল রেসিপি।
"খাদ্য প্রেমিকদের কে স্বাগতম" |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সব কিছু মিলিয়ে যে অবস্থা ভালো থাকা মুশকিল। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সবজি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝাল রেসিপি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
উপকরণ | পরিমাণ। |
---|---|
পাঙ্গাশ মাছ | ছয় পিস। |
চালকুমড়া | একটা। |
হলুদ গুঁড়া | এক চা-চামচ। |
মরিচ গুঁড়া | দুই চা-চামচ। |
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ। |
ধনিয়া গুড়া | আধা চা-চামচ। |
জিরা গুঁড়া | আধা চা-চামচ। |
গরম মসলা গুঁড়া | আধা চা-চামচ। |
লবণ | স্বাদমতো। |
তেল | পরিমাণমতো। |
- প্রথমেই আমি চালকুমড়া গুলোকে ভালো করে কেটে পরিষ্কার করে নিলাম। এর পরে মাছ গুলোকে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এর পরে সামান্য পরিমাণ মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
- এবার আমি চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে নিলাম। তার পরে মাছ গুলোকে ভালো করে ভেজে নিলাম। এবার আমি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিলাম। তার পরে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম। এবার আমি সমস্ত মসলা গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।
- মসলা গুলোকে কষিয়ে এবার আমি চালকুমড়া গুলোকে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এবার আমি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে নিলাম এবং ভেঁজে রাখা মাছ দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখালাম ঝোল শুকিয়ে গেছে এই পর্যায়ে আমি রান্না এখানে শেষ করলাম।
- সবজি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝাল রেসিপি রান্না করা হয়েছে। এবার আমি পরিবেশন করার জন্য বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
- বেশিরভাগ সময় আমি পাঙ্গাশ মাছের ভুনা খেতে পছন্দ করি। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে সম্পুর্ন নতুন একটি রেসিপি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এভাবে আমি প্রথমবারের মতো রান্না করে খেলাম। খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। আমার রেসিপি দেখে আপনাদের সবার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | রেসিপি পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | সবজি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝাল রেসিপি। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
পাঙ্গাশ মাছ লাউ দিয়ে মজাদার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও আগে পাঙ্গাশ মাছ খেতাম না কিন্তু এখন মাঝে মাঝে খাই। আর লাউ দিয়ে পাঙ্গাস মাছ বেশ ভালই লাগে।আপনার লাউ পাঙ্গাশ মাছ রান্নার কালারটি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছে। এত সুন্দর রেসিপির কালার দেখলেই খেতে মন চায়।
https://x.com/HouqeLimon/status/1819874973898658142?t=k15Qb6chIklSMiuuVqFtyw&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সবজি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের রেসিপি তৈরি করে। আসলে পাঙ্গাশ মাছ আমাদের পুকুরে আমরা চাষ করে থাকি বড় বড় পাঙ্গাশ মাছ খেতে বেশ মজা লাগে ভাই। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
পাঙ্গাস মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে পরিবারের আর কেউ তেমন খেতে চায় না তাই বেশি খাওয়া হয় না।তবে আপনি চালকুমড়া দিয়ে ঝোল করেছেন নিশ্চয় খেতে অনেক মজার হয়েছে। আমি এভাবে কখনো ঝোল করে দেখিনি।আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বড় মাছ ভুনা আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে খেতে। আপনি আজকে একটু ভিন্নভাবে মাছের ঝোল তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। যদিও পাঙ্গাস মাছ খুব কম খাওয়া হয় তবে অন্য যে কোন মাসে এভাবে ট্রাই করলে ভালো লাগবে। রেসিপিটা খেতে নিশ্চয়ই ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাঙ্গাস মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় তো পাঙ্গাস মাছ একদমই পছন্দ করতাম না। একদিন খেয়ে ভালো লেগে গিয়েছে সেদিন থেকে পাঙ্গাস আমার প্রিয় মাছ।
আপনি কুমড়া দিয়ে পাঙ্গাস মাছ রান্না করেছেন । কুমড়া দিয়ে পাঙ্গাস মাছ রান্না, আমি খেয়েছি অনেক ভালো লাগে।
আপনার তৈরি রেসিপিটিও দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে খেতে দেখতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পাঙ্গাস মাছের এত মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই তো লোভ লেগে গেলো। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে একেবারে লোভ সামলানো যায় না। চাল কুমড়া দিয়ে পাঙ্গাস মাছ আমি নিজেই বেশ কয়েকবার রান্না করেছি। এই রেসিপিটা কিন্তু বেশ ভালো লাগে খেতে। দুপুর বেলায় কিন্তু বেশ মজা করে খাওয়া যায়। মাছগুলো ভাজা করে তারপর রান্না করলে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে খেতে। আপনিও এরকম ভাবে রান্না করেছেন দেখে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
আমরা প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাস মাছের চাষ করে থাকি কিন্তু পাঙ্গাস মাছ আমি নিজেই খেতে পছন্দ করি না। তবে অন্য যে কোন মাছের চেয়ে পাঙ্গাস মাছের ভিটামিন ডি বেশি। আপনি সবজি দিয়ে খুব চমৎকার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরি করা প্রতিটা ধার সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পাঙ্গাস মাছে কাটা নেই তাই খেতে বেশ মজার হয়। আপনি সবজি দিয়ে রান্না করলেন আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। এভাবে সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়। আপনি লাউ সবজি দিয়ে রান্না করলেন নিশ্চয় খেতে বেশ মজার হয়েছিল ভাইয়া। প্রতিটি ধাপ বেশ ভালো লেগেছে।