লাইফ-স্টাইল:)- হঠাৎ করে মাটির ব্যাংক কেনার অনূভুতি।
"আমার নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম" |
---|
![]() |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। লাইফ-স্টাইল:)- হঠাৎ করে মাটির ব্যাংক কেনার অনূভুতি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
![]() | ![]() |
---|
লোকেশন:- উত্তরখান ঢাকা বাংলাদেশ।
কয়েকদিন দিন আগে দিনটি ছিলো শুক্রবার। বাজার করতে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে গিয়ে বেশ কিছু বাজার করলাম। এর পরে বাজার করা শেষ করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য। রাস্তায় দেখলাম জ্যাম পড়েছে। এর পরে আমি একটু সামনের দিকে হাঁটতে লাগলাম। হঠাৎ করে একটি দোকানে চোখ পড়লো সেখানে দেখলাম মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরণের জিনিস বিক্রি করেছে। এর পরে আমি সেখানে গেলাম। যাওয়ার পর বিভিন্ন ধরণের জিনিস দেখতে লাগলাম। আমার কাছে যে গুলো মাটির তৈরি জিনিস ভালো লাগলো সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
লোকেশন:- উত্তরখান ঢাকা বাংলাদেশ।
এর পরে চোখ পড়লো মাটির তৈরি ব্যাংক এর উপরে। বেশ কিছু মাটির ব্যাংক দেখতে পেলাম। তবে সেগুলোর নকশা আমার পছন্দ হলো না। যদিও উপরের ছবিতে মাটির ব্যাংকটি পছন্দ হলো। এর পরে দেখতে পেলাম একটু সমস্যা রয়েছে। এর পরে অন্য একটা মাটির ব্যাংক দেখার চেষ্টা করলাম। বর্তমান সময়ে টাকা ছাড়া চলা মুশকিল। কোন কিছু করতে হলে টাকা প্রয়োজন। টাকা হচ্ছে বর্তমান সময়ের পরম বন্ধু। টাকা থাকলে যেনো সব কিছু পাওয়া সম্ভব। মাঝে মধ্যে এমন হয়ে যায় যে বিপদে পড়লে মানুষ চেনা যায়। অনেকের কাছে টাকা চাইতে গেলে মুখের উপরেই বলে দেয় যে আমার কাছে টাকা নেই। টাকা এমন একটা জিনিস মানুষ চিনতে শেখায়।
![]() | ![]() |
---|
লোকেশন:- উত্তরখান ঢাকা বাংলাদেশ।
এর পরে আমি পাশে একটি মাটির ব্যাংক দেখতে পেলাম। মাটির ব্যাংকটি বেশ সুন্দর। দোকানদার কে দাম জিজ্ঞাসা করলে লোকটি বলে ১০০ টাকা। এর পরে আমি মাটির ব্যাংকটি নিয়ে নিলাম। তার পরে অটোরিকশা করে সোজা বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর মাটির ব্যাংকটি আমার মেয়ের সামনে রাখলাম। আমার মেয়ে জান্নাতুল লিয়া তো ভীষণ খুশি। এর পরে আমি ৫০০শত টাকা বের করে ভাঁজ করে তার হাতে দিলাম। এর পরে আমার মেয়েকে দিয়ে প্রথম ব্যাংকের ভিতরে টাকা ফেললাম। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার মেয়ে কিভাবে মাটির ব্যাংকে টাকা ফেলতেছে। মূলত মাটির ব্যাংকটি কেনার মূল কারন হচ্ছে আমার মেয়ের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয় করা। যাতে করে বড় একটা এমাউন্ট হলে আমার মেয়ের জন্য বেশ কিছু জিনিস তৈরি করবো। আপনারা সকলেই দোয়া করবেন আমার মেয়ের জন্য। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আমি আমার মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | লাইফস্টাইল পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | হঠাৎ করে মাটির ব্যাংক কেনার অনূভুতি। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
![]() |
---|
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
মাটির ব্যাংক কেনার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। আগে আমাদের এখানে মেলাগুলোতে এ জাতীয় জিনিস খুঁজে পাওয়া যেত। এখন মৃত শিল্প প্রায় কম দেখা যায়। তবুও ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই অনুভূতি দেখে। অনেকদিন পর মাটির ব্যাংক দেখতে পারলাম। তবে এখানে মৃত শিল্প গুলো সত্যি অনেক সুন্দর। এমন মৃত শিল্প দেশের টিকে থাকুক এটা আশা করি।
https://x.com/HouqeLimon/status/1795617910884642931?t=cuSiqFpQwhslWqFu4T3llA&s=19
যদিও মাটির ব্যাংকের প্রচলন অনেক আগে থেকেই। সেই সময়ের মানুষ মাটির ব্যাংকে পয়সা জমিয়ে রাখত। আমাদের খরচ বাদ দিয়ে কিছু যদি মাটির ব্যাংকে জমাতে পারে ভবিষ্যতে সেটা বেশ কাজে দেয়। মাটির ব্যাংক কেনার পরে আপনি ৫০০ টাকা সেখানে জমিয়ে রাখলেন এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদি কমবেশি জমাতে পারেন তাহলে দেখবেন একদিন আপনার হাতে লাগবে।
দোয়া করবেন ভাই আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনার মাটির ব্যাংক কিনা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এই মাটির ব্যাংকে কত টাকা গুছিয়ে রাখতাম। তবে আপনি কিনেছেন বেশ ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন নিয়মিত কিছু টাকা রাখলেও একটি সময় অনেক বড় কাজে দিবে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হঠাৎ করে আপনার মাটির ব্যাংক কেনার অনূভুতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। মাটির ব্যাংক দেখে আপানার মেয়ে জান্নাতুল লিয়া তো ভীষণ খুশি। তার জন্য ৫০০শত টাকা নিজ হাতে মাটির ব্যাংকে ফেলেছেন। আপনার মেয়ে জন্য শুভকামনা রইল। আপনি ঠিক বলছেন বর্তমান সময়ে টাকা ছাড়া চলা মুশকিল। কোন কিছু করতে হলে টাকা প্রয়োজন। টাকা হচ্ছে বর্তমান সময়ের পরম বন্ধু। তাই এখনই সময় টাকা সঞ্চয় করার।
আমার হাতে ফেলিনি ভাই আমার মেয়ের হাতে ধন্যবাদ আপনাকে।
মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার কেনা মাটির ব্যাংকটি দেখতে কিন্তু খুবই কিউট লাগছে। মাটির ব্যাংক কিনে বাসায় এসে প্রথমে মেয়েকে দিয়ে ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আমারও মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। পরবর্তীতে এই ব্যাংকে কত টাকা জমাতে পেরেছিলেন এটা নিয়েও একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আশা করি।
অবশ্যই আপু পোস্ট করবো আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভালো থাকবেন।
১০০ টাকা হিসেবে মাটির ব্যাংক টা কিন্তু বেশ ভালোই হয়েছে ভাই। আসলে আমাদের সকলেরই এরকম উচিত অল্প অল্প করে টাকা জমানো, যাতে ভবিষ্যতে কোনো না কোনো ভালো কাজে লাগে এই টাকাগুলো। আপনি আপনার মেয়ের জন্য এই ব্যাংক কিনেছেন যাতে করে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে তাকে ভালো কোনো জিনিস কিনে দিতে পারেন, এটা তো অবশ্যই ভালো কথা। তাছাড়া সর্বপ্রথম ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করেছেন ব্যাংকে টাকা জমানো, এটা তো বেশ বড় একটা অ্যামাউন্ট।
দোয়া করবেন দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অবশ্যই ভাই, অনেক অনেক দোয়া রইলো আপনাদের জন্য।
অনেকদিন পর মাটির ব্যাংক দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন, আমাদের কিন্তু সঞ্চয় করাটা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে আপনার মেয়ের হাত দিয়ে টাকা রাখলেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমি মনে করি একটু একটু করে সঞ্চয় করলে, পরবর্তীতে কোন বিপদপদে এই টাকাগুলো কাজে লাগবে। হয়তোবা আপনার মেয়ের জন্য কোন কাজে লাগতে পারে।
আপনার মাটির ব্যাংক কেনার অনুভূতিটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মাটির জিনিসের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আমারও কিছু মাটির জিনিস আছে আড়ং থেকে কিনেছিলাম।তবে ব্যাংকটি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে ভাই। এভাবে ব্যাংকে আমাদের কিছু টাকা জমিয়ে রাখলে তা একটি সময় বিশাল আকার ধারণ করবে।অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।