অভিমান করে ভাতিজা বাসা থেকে চলে গেছে:- পর্ব ২
"ভাতিজাকে খুজে পাওয়া গেছে" |
---|
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। অভিমান করে ভাতিজা বাসা থেকে চলে গেছে:- পর্ব ২ ভাতিজাকে খুজে পাওয়া গেছে। চলুন কিভাবে খুঁজে পাওয়া গেলো ঘুরে দেখি।
কয়েক দিন আগে একটি পোস্ট করেছিলাম।অভিমান করে ভাতিজা বাসা থেকে চলে গেছে। সবাই মিলে খোঁজা খুঁজি করে যখন তাকে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আসিফ এর ছবি থানায় দেওয়া হলো। আমাদের আসে পাশে থানায় খোঁজার পরেও আসিফ কে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তার পরে দুই তিনবার মাইকিং করানো হলো।
গতকাল আমি আর আমার ওয়াইফ এর ছোট ভাই মিলে আজিমপুরে পাশে আসিফ কে খোঁজাখুঁজি করতেছি। যদিও কয়েকদিন থেকে খোঁজা খুঁজি করেছি ওখানে। তার পরে ও পাওয়া যায়নি। সেদিন আমরা দুজন একটু আজিমপুর শপিং মলে এর ভিতরে ঢুকলাম। তার পাশেই একটা কসমেটিকস এর দোকানে আসিফ এর মতো একটা ছেলে দেখতে পেলাম। পাশে গিয়ে দেখি আসিফ। যদিও প্রথম প্রথম আসিফ আমাদের কে না চেনার ভান করতে ছিলো। তবে কিছুক্ষণ পরে টিক চিনলো। এর পরে দোকানের লোকজন আমাদের সাথে যদিও একটু ভাব নেতে চেয়েছিলো তবে আমাদের সাথে আর তো পারলোনা। অবশেষে সেখান থেকে আসিফ কে নিয়ে আমরা চলে আসলাম।
এবার অটোরিকশা করে ঠিক বাসায় চলে আসলাম। এবার বাসায় আসার পরে আসিফকে আমরা সবাই জিগ্গেস করলাম সে কেনো এমন করেছে। সে বলে এমনিতেই গেছে অভিমান করে। আসিফ আসলে যে কাজ করেছে সে জন্য তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছে। তার নাম ঠিকানা সহ সব কিছু চেন্স করেছে। তার নাম রেখেছিলো সাব্বির। সেজন্য আমরা ওকে সহজে খুঁজে পাইনি।
বাসায় সবাই মিলে আসিফ এর বাবার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আসিফ কে আর বাসায় রাখা হবে না। তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হবে। কারন আসিফ আসলে পোলাইপান এর পাল্লায় পরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে আমরা সবাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই।
আসিফ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনে অনেকেই অনেক টেনশন করেছেন। আর টেনশন করা লাগবে না। আসিফকে আমরা খুঁজে পেয়েছি। আসিফ এর জন্য সবাই দোয়া করবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
ছবির | বিবরণ |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | অভিমান করে ভাতিজা বাসা থেকে চলে গেছে:- পর্ব ২ |
লোকেশন | বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
ইদানিংকার ছোট ছোট বাচ্চাদের এই এক সমস্যা অল্পতেই অভিমান করে। আর এই আসিফ তো অভিমান করে একদম বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। তাছাড়া এত অল্প বয়সে কি বুদ্ধি খাটিয়েছে দোকানে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে কাজ নিয়েছে। ভালো বুদ্ধি করেছেন মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার । তা না হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যাক অবশেষে আসিফকে পাওয়া গেছে এটাই বড় বিষয়। তবে ও নিজের নাম ঠিকানা নিজেই পরিবর্তন করে গোপনে ছিল জেনে খারাপ লাগলো। কারন এধরনের সমস্যা সে তাহলে আবার করতে পারে। যাক মাদ্রাসায় ভর্তি করার সিদ্ধান্ত দারুন হয়েছে। দোয়া রইল ছেলেটার জন্য।
দোয়া করেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক ভাই অবশেষে আসিফকে আপনারা ফিরে পেয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসিফ হারিয়ে যাওয়ার পরে সবাই অনেক টেনশনে পড়ে গিয়েছিল প্রায় দুই থেকে তিনবার মাইকিং করা হয়েছে তারপরও তাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল না এটা আসলেই দুঃখজনক। শেষ পর্যন্ত আজিমপুরে মলে ঢুকে আপনার তাকে দেখতে পান। তবে ও আপনাদেরকে না চেনার ভান করেছিল। অনেক সময় এই বিষয়টি কিন্তু অনেক বড় বিপদে ফেলে দেয়। আশেপাশের লোকজন মনে করে যে একে চেনে না কিন্তু নিয়ে যাচ্ছে নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে। যাইহোক তাকে ফিরে পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া একটু তো সমস্যায় পরতে হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক অবশেষে আসিফকে খুঁজে পেলেন কসমেটিকস এর দোকানে। জেনে খুশি হলাম।এতটুকু ছেলে খুব খারাপ লাগছিল সেদিন।তাকে বকাঝকা না করে বুঝিয়ে শুনিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলে খুব ভাল হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1635113646736166912?t=CFvqacSY9B-md3FTAQdDXw&s=19
আসলে কেউ যদি ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে চাই তাহলে কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ আপনার ভাতিজা বলছেন নাম পর্যন্ত পাল্টে ফেলেছে। আসলে এতটুকু ছেলে এরকম কেন করল বুঝতে পারলাম না। তবে এখন যে তাকে খুঁজে পেয়েছেন এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
পোলাপাইন এর পাল্লায় পরে ছিলো।
আসিফ কে যে খুঁজে পাওয়া গেছে তা শুনে সত্যি খুব খুশি লাগছে। আসলে ছেলেটা নিশ্চয়ই দুষ্টু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে খারাপ হয়ে গেছে। ছেলেটা বেশ চতুর এবং চালাক তার জন্যই সে নিজের পরিচয় পরিবর্তন করে ফেলেছে। যাইহোক ভালোই হবে ওকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলে। শুভকামনা রইল ওর জন্য।
দোয়া করবেন আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অবশেষে আসিফকে খুঁজে পেয়েছেন এটাই শুকরিয়া। সে দেশটা আবার খারাপ ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে এরকম উঠে পড়েছে। নাহলে নিজের নাম পাল্টিয়ে সে এই দোকানের কাজ করতে শুরু করেছে। যাই হোক তবে এটা জেনে আমার কাছে ভালো লেগেছে যে আপনি তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিবেন। শুভকামনা রইল আপনার ভাতিজার জন্য।
দোয়া করবেন আপু। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।