মামা ভাগ্নির খুনসুটির মহূর্ত।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সকাল🌅 আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের পোস্ট শুরু করছি। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলকেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। মামা ভাগ্নির খুনসুটির মহূর্ত। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
বেশ কিছুদিন ধরে আমি খুব ব্যাস্ত সময় পার করতেছি। আসলে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে এত বেশি খারাপ লাগে তা বলে বোঝানো মুশকিল। সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতেছি আমার ওয়াইফ কে সুস্থ করার জন্য। বাকীটা আল্লাহ ভরসা। তিনি চাইলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। আমার ভাগ্নি জান্নাতুল ফারিয়া। বেশ কিছুদিন ধরে তার মামিকে দেখতে না পেয়ে তার ভীষণ মন খারাপ হয়ে আছে। আমি যখন প্রতিদিন সকাল বেলায় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হই। তখন আমার সাথে যেতে চায় তার মামিকে দেখতে। যদিও ছোট বাচ্চা আমি নিতে চাইনা। হাসপাতালে অনেক মানুষজন থাকে। ছোটদের জন্য একটু ঝামেলা বটে।
এর পরে গতকাল শনিবার সকালে আমি বাসায় থেকে বের হচ্ছি। তার আগেই ফারিয়া যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাকে না নিয়ে গেলে তো ভীষণ কান্না করবে। এর পরে ফারিয়াকে সাথে করে নিয়ে বের হলাম। বাজারে এসে একটা অটোরিকশা নিলাম। এর পরে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় থাকা অবস্থায় আমরা মামা ভাগ্নি মিলে অটোরিকশার মধ্যে ছবি তুললাম। ফারিয়া আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। সে আমাকে বাসায় পেলে সব সময়ই আমার সাথে থাকতে পছন্দ করে। কিছুক্ষণ পরে আমরা হাসপাতালে গেলাম। সেখানে গিয়ে তো ফারিয়া ভীষণ খুশি। প্রথমেই গিয়ে আমার মেয়ে জান্নাতুল লিয়া কে আদর করা শুরু করলো। তার পরে তার মামির সাথে দুষ্টুমি করতে থাকে। তার পরে তাকে নিয়ে ওখানে বেশ কিছু সময় থাকার পরে এবার আমি বাইরে চলে আসলাম।
ফারিয়াকে বাইরে নিয়ে এসে। চতুর্দিকটা ঘুরলাম। এর পরে আমরা দুজন মিলে একটা জায়গায় বসলাম। তার পরে ফারিয়াকে কিছু তার পছন্দের মজা কিনে দিলাম। সে বসে বসে খাচ্ছে। এবার আমি তার সাথে বেশ কিছু সময় কাটালাম। মামা ভাগ্নি মিলে ছবি তুললাম। ফারিয়া গতকাল প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিলো। পরে ওকে আমি বাসায় দিয়ে আবার ও হাসপাতালে আসি। পরে আমি দেখতে পেয়েছি ফারিয়া ভীষণ খুশি হয়েছে। আসলে ছোট দের খুশি দেখলে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। মামা ভাগ্নির খুনসুটির মহূর্ত। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞
💞 ধন্যবাদ 💞
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।
[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1720978214255005752?t=4Eca96X6v08KLb6OlYG9KA&s=19
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1720978214255005752?t=4Eca96X6v08KLb6OlYG9KA&s=19
পৃথিবীর সব ভাগ্নিরাই মনে হয় মামার পাগল হয়।আমার মেয়েও ওর মামার পাগল।ছোট বেলায় জেদ উঠলে মামার কোলে গিয়েই চুপ হয়ে যেত।ভাবির কি হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আপনার ভাগিনী আপনাকে খুব ভালোবাসে এবং মামিকেও খুব ভালোবাসে তাই তো আপনার পিছু নিয়েছিলো হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। মামা ভাগিনীদের এমন ভালোবাসা বেঁচে থাকুক হাজার বছর ধরে সেই কামনা করছি।এবং ভাবির সুস্থতা কামনা করছি।
আপু হঠাৎ করে আমার ওয়াইফ এর শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তার পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরিক্ষা করে দেখে রক্তের পটাশিয়াম ও লবণ কমে গেছে। আগের চেয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়েছে দোয়া করবেন। আপনার জন্য দোয়া রইল ভালো থাকবেন।
ছোট বাচ্চারা সারাদিন বাসায় থাকে জন্য কাউকে বাইরে যেতে দেখলেই তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বায়না করে এজন্যই তো আপনার ভাগ্নি ও আপনার যাওয়া দেখে সঙ্গে সঙ্গে রেডি হয়ে এসেছে। ভালো করেছেন ভাগ্নিকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। মামা ভাগ্নি মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আপনার ভাগ্নিকে অনেক কিউট লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
প্রথমে আপনার ওয়াইফ এর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইল ভাইয়া। আশা করছি আপনার ওয়াইফ দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। আপনার ভাগ্নে তার মামীকে দেখার কথা বলছিল তাই আপনি তাকে সাথে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। মামা ও ভাগ্নে মিলে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আপনার সুচিন্তিত মতামত এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ব্যতিগতভাবে আমি মনে করি পৃথিবীতে যত রকম সম্পর্ক আছে তার মধ্যে মামা ভাগ্নের সম্পর্কটা অন্যরকম এক সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মাঝে কোন দেয়াল থাকেনা এ সম্পর্কের মাঝে শুধু থাকে ভালোবাসা খুনসুটি। ভাগ্নির সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে এরকম মুহূর্ত বারবার আপনার জীবনে ফিরে আসুক এই কামনা করি। সত্যি বলতে যাদের ভাগ্নে অথবা ভাগ্নি নেই একমাত্র তারাই বুঝতে পারে যে তারা কত কিছু মিস করেছে এবং কি হারিয়েছে। আপনাদের এই সম্পর্ক সারা জীবন অটল থাকুক এই কামনা করি, শুভকামনা রইল।
আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ❣️
ফারিয়া যে ভীষণ খুশি হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। বাসায় রেখে গেলে হয়তো অনেক কান্নাকাটি করতো। যাক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভালো করেছেন ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।