ডিভোর্সি বউ নাটক রিভিউ।(10% Beneficiary To shy-fox)
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইংরেজি।
২৮ ভাদ্র ১৪৩০ বাংলা।
২৬ সফর ১৪৪৫ হিজরি।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আমি @kosto আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি বাংলায় বলতে, লিখতে ও প্রকাশ করতে অনেক ভালোবাসি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।নাটকের নাম -ডিভোর্সি বউ।নাটকটি আট দিন আগে রিলিজ হয়েছে তবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দেখে।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।আজ নাটকটি দেখে ভালো লাগলো তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে এই নাটকটি শেয়ার করি।
নাটক এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নাটকের নাম | ডিভোর্সি বউ। |
---|---|
চেনেল | Eagle Team। |
পরিচালক | ঈগল টিম। |
অভিনয় | আনোয়ারুল আলম সজল, রাবিনা রাফিন,রেজা, আঞ্জুম আরা নিশি, লিপু মামা,মনি। |
পোস্ট | ঈগল ক্রিয়েটিভ হাউস। |
প্রোডাকশন ম্যানেজার | সুমন পাটোয়ারী,রানা সেখ। |
প্রযোজনা | জাহাঙ্গীর আলম,আলমগীর। |
ভাষা | বাংলা। |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম। |
সময় | ৩৯.৩২ মিনিট। |
রিলিজ | ০৫-০৯-২০২৩। |
সংক্ষেপে নাটকের বর্ণনা।
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই নায়িকা তার স্বামীকে অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যাগ ও খাবারের বাটি রেডি করে তার হাতে পৌঁছে দিচ্ছে।নায়িকা তার স্বামীর কাছে টিভির জন্য বায়না করেছে। বিভিন্ন ধরনের ধার দেনা ও অল্প বেতন হওয়ায় সে কিনে দিতে পারছে না জানালে নায়িকা সরাসরি তাকে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে। নায়কের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে তাকে খুশি রাখার কিন্তু সে মোটেও খুশি নয়। কিছুক্ষণ পর পাশের বাসার ভাবির কাছে গিয়ে তার মনের দুঃখের কথাগুলো বলে। ভাবিও তাকে উৎসাহিত করে ডিভোর্স দেয়ার জন্য।
নায়িকাকে ডিভোর্স দেয়ার পর নায়িকা কিছু সময় পার্কে বসে থাকে। হঠাৎ তখন নায়ক সজলের আগমন এবং প্রথম দেখাতেই সজল তাকে ভালোবেসে ফেলে। কথাবার্তার মাধ্যমে সকল তথ্য সংগ্রহ করার পর সজল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।হ্যাকার যখন সদরকে তার বাবার কাছে নিয়ে যায়। তখন নায়িকার বাবা আগের স্বামীকে ছেড়ে আসার কারণ গুলো সজলের কাছে তুলে ধরে। সজল সবকিছু জেনে শুনে বিয়ে করতে রাজি হয়। এদিকে সজলের মা রাজি নয় বাধ্য হয়েছে বিয়ে দিয়ে নিয়ে আসে।
সংসারে টুকিটাকি সবারি কথা কাটাকাটি গ্যাঞ্জাম হয়।সজলতার বউয়ের সাথে রাগ করে সবাই ঘুমাতে যাচ্ছিল সে সময় নায়িকা তাকে বাধা দেয়।পরের দিন সকালে দেখতে পাই সজলতার স্ত্রী হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপের জন্য এসেছে। রিপোর্টে ডাক্তার বলেন নায়িকা সুস্থ আছে ঈদের নায়কের একটু সমস্যা রয়েছে যে কারণে কোন সন্তান হচ্ছে না। সে কথা শুনে মাত্র নায়িকা সজলকে ছেড়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে প্রথম স্বামীর কাছে ফেরত যায় কিন্তু প্রথম স্বামী তাকে আর মেনে নিতে চায় না। অনেকভাবে কাকাতি মিনতি করে রিকোয়েস্ট করার পরেও কখনো মেনে নিতে চায় না। তাই নায়িকা আবার ফিরে আসে তার বাবার বাড়ির রাস্তায়।এখানে নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
প্রথমে বলবো নায়ক সজলের অভিনয় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।প্রতিটা মানুষের ভেতরে লোভ কাজ করে। কেউ লোভ সামলাতে পারে কেউ সামলাতে পারে না।আমরা যে যেখানে আছি সেখান থেকেই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বলে আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করা উত্তম।আমরা সব সময় টাকাও সুখের পেছনে ছুটি। আমাদের চারিপাশে সমাজে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোই নাটকের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।আমাদের সমাজে বিভিন্ন নারীরা এভাবে একটি করে বিয়ে করে আর দেনমোহরের টাকা আদায় করে তাদের ডিভোর্স দিয়ে দেন।এই নাটক থেকে আমরা বেশ কিছু শিক্ষা অর্জন করতে পারবো আশা করছি। |
---|
লোকেসন | কুমিল্লা,বাংলাদেশ। |
---|---|
ডিভাইজ | স্যামসাং এম ২১। |
পোষ্ট | নাটক রিভিউ |
রিভিউ | @kosto |
নাটকটা রিলিজ হওয়ার পরপরই আমার দেখা হয়েছিল এই নাটকটা। আমি নাটক দেখতে যেমন পছন্দ করি, আমার কাছে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তেও অনেক বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্য হলেও নাটক দেখতে ভালো লাগে। সুন্দর করে নাটকের রিভিউ টা লেখা হয়েছে। সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর ছিল আপনার নাটকটার রিভিউ।
বাংলা নাটক গুলা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে দেখতে পছন্দ করি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষা থাকে। প্রতিটা নাটকের ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা আমাদেরকে দিয়ে থাকে। আপনি আজকে ডিভোর্সিং বউ নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। এই নাটকটি রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম এর মধ্যেও কিছু শিক্ষা আমাদের জন্য তুলে ধরেছে। বর্তমান সমাজে অহরহ মেয়েরা দেনমোহরের আসায় বিয়ে করে এবং একজনকে ডিভোর্স দিয়ে আবার অন্যজনকে বিয়ে করছে। এটা বর্তমান বাংলাদেশের একটা কালচারে দাঁড়িয়েছে। আর এ ঘটনা গুলো বেশি ঘটছে শহর অঞ্চলে।
ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে এরকম দেখা যায়। টাকার পিছনে ছুঁতে ছুটতে জীবন পার করে দেয়। তাছাড়া এই নাটকটি অনেক শিক্ষনীয়ও বটে। এ ধরনের নাটক দেখতে ভালই লাগে। অল্প কয়েকদিন আগে নাটকটি রিলিজ করার পরও আপনি দেখে ফেলেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জিয়াপুর টাকার পেছনে ছোট ছোট জীবন পার করে দেয় কিন্তু পরবর্তীতে কিভাবে সেগুলো ভাবে না। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ঈগল টিমের নাটকগুলো আমার সবসময় দেখা হয়। আর এই নাটকটাও আমি দেখেছিলাম। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এই নাটকটা দেখার পর। আর সজলের নাটক অনেক সুন্দর হয়। আর সজলের অভিনয় সব সময় অনেক সুন্দর হয় যার কারণে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনি নাটকটার রিভিউ করেছেন দেখে দ্বিতীয়বার আপনার রিভিউর মাধ্যমে দেখতে পেরে এবং পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
ঈগল টিমের নাটকগুলো আমার কাছে ভালো লাগে।জিয়া বই নাটকটির মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটিতে শিক্ষনীয় অনেক ব্যাপার রয়েছে। আমরা আসলে কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারিনা, এটাই আমাদের সমস্যা। তবে এখানে নায়িকার উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
আপনার পোস্ট ঠিক আছে তবে বেশ কিছু জায়গায় বানানের ভুল রয়েছে, এতে পোস্টের মান খারাপ হয়ে যায়। আশাকরি ভুলগুলো সংশোধন করবেন।
গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ দারুন একটা নাটকের রিভিউ করেছেন ভাই। আসলে এই নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।আর তাই দেখার ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকি আছে। এমন মেয়েদের সাথে এমন হওয়াই উচিৎ। স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী সংসার চালাবে।
এখানে সম্ভবত নায়ক হবে। আর পোস্ট এ আরো কিছু বানান ভুল আছে। সেগুলো ঠিক করে নিয়েন।
ডিভোর্সি বউ নাটক দেখেছি চমৎকার লেগেছে। সজল এর অভিনয় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈগল টিমের নাটক গুলো দেখে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। ভালো লাগলো আপনার রিভিউ দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সজলের নাটক খুবই মজার অভিনয় তিনি অনেক সুন্দর করেন।মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবা।
সামাজিক প্রতিচ্ছবি এখন আমাদের দেশে প্রচলিত নাটকে মধ্যে তুলে ধরা হয়। এখনকার নাটকগুলো আগের মতো শিক্ষামূলক না হলেও কিছু কিছু নাটক আছে যেগুলা সত্যিই অনেক শিক্ষানীয়। নাটকের কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের আশেপাশে ও সমাজের যে সকল বিষয়ে ঘটে যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে নাটকগুলো তৈরি করা মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।