পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ২২
নমস্কার বন্ধুরা,
মধ্যযুগের পরবর্তী সময়ে ভারত উপমহাদেশে বহিরাগত আক্রমণের পর মুসলিম শাসকরা যখন ধীরে ধীরে তাদের রাজত্ব স্থাপন করেছিল সেই সাথে তারা ভারতীয় উপমহাদেশের মুদ্রার মধ্যেও তাদের ওই ইসলামিক ঐতিহ্য জুড়েছিলো। যদিও প্রথম দিকে মুসলিম শাসকরা হিন্দু রাজাদের মুদ্রার অনুকরণ করে নিজেদের মুদ্রা প্রচলন করেন। তবে দিল্লি সুলতানি যুগ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের স্বাধীন শাসকেরা তাদের মুদ্রায় তারিখ শাসক ও টাকশালের উল্লেখ মুদ্রায় ভিন্নতা নিয়ে আসে।
দিল্লি সুলতানি যুগের ১২০০ সাল থেকে ১৬০০ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত মুদ্রা বিভিন্ন শাসকদের সময় তৈরি হয়েছিল সেগুলো তাদের সমসাময়িক বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে খোদিত করা হয়েছে। রাজিয়া সুলতানা, গিয়াসউদ্দিন বলবন, আলাউদ্দিন খিলজী ইব্রাহিম লোদী, শেরশা প্রত্যেকেই তাদের সময়ে মুদ্রা চালু করেছিলেন যেগুলো ভারতীয় সংগ্রহালয়ের কাছে সুন্দরভাবে সংরক্ষিত করা রয়েছে।
তাছাড়া ভারতবর্ষের আনুমানিক ১২ শতক থেকে ১৬ শতক পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্বাধীন শাসকরা তাদের মুদ্রা চালু করেছিলেন তার মধ্যে বাংলার সুলতান মোবারক শাহ, বাহাদুর শাহ ইলিয়াস শাহর মুদ্রা গুলো রয়েছে। তবে এর মধ্যে বিজাপুরের মোহাম্মদ আদিল শাহের চালু করা রুপোর মুদ্রা গুলো ছিল একদম ভিন্ন রকমের। যেখানে সাধারণত রাজাদের এবং বিভিন্ন সুলতানদের মুদ্রা গুলো গোলাকৃতি হয় সেখানে আদিল শাহের মুদ্রা ছিল লম্বা।
প্রাথমিকভাবে সুলতানি যুগের বিভিন্ন রাজাদের মুদ্রার মধ্যে পূর্বের হিন্দুরাজাদের মুদ্রার ছাপ পরিলক্ষিত হলেও ধীরে ধীরে পরবর্তী সময়ে সেখানে পরিবর্তন আসে। পারসিক ভাষার ব্যবহার বেশি পরিমাণে দেখা যায়। তার থেকেই বোঝা যায় যে সেই সময়ে বিভিন্ন সুলতানদের কাছে পারসিক ভাষা প্রচলন ছিল সর্বাধিক।
ইংরেজ রা আসার পূর্বে থেকেই দেখছি ভারতবর্ষ এদিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই সময়ে বিভিন্ন সুলতান রা তাদের মুদ্রা প্রচলন করেন। এবং মুদ্রাগুলো বেশ দারুণ। মুসলিম শাসকদের পর হিন্দু রাজাদের মুদ্রার ছাপ পরিলক্ষিত হয়। অনেক তথ্য পেলাম আপনার এই পোস্ট থেকে দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।